ষ্টাফ রিপোর্টা

শাহরাস্তি সূচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নে জামায়েত ইসলাম এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রোকন মমতাজ উদ্দিন বিএসসি’র শোকসভা গত ১০ সেপ্টম্বর ২০২১ শুক্রবার সূচিপাড়া দক্ষিণ উচ্চ বিদ্যালয়ে (নরিংপুর) অনুষ্ঠিত হয়। শোকসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সূচিপাড়া দক্ষিণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি গোলাম মোস্তফা। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও নরিংপুর উদয়ন সংঘের সভাপতি হাম্মুদুর রহমান। এ নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা চলছে যে বিদ্যালয় জামাতের নেতার শোকসভা পালিত হয় এই বিদ্যালয় অনুদান দাতা আওয়ামী লীগ সরকার। আর সেই বিদ্যালয়ে জামায়ত নেতার শোকসভা পালন করায় আওয়ামী লীগ নেতাদের মনোবল হারিয়ে ফেলে। এই বিদ্যালয়ের মাঠে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা স্বাধীনতা বিরোধীতাকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলছিলেন। আর এই এলাকায় জামায়ত শিবির মুক্ত ঘোষণা করা হয়। আর সেই বিদ্যালয়ের মাঠে জামায়াতের শোকসভা মেনে নেওয়া যায় না। এলাকাবাসী জানান গোলাম মোস্তফার পিতা আব্দুল লতিফ ১৯৭১ সালে পাক-হানাদার বাহিনীর পরম বন্ধু ছিলেন এবং বৃহত্তর নরিংপুর গ্রামে শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন ও হাম্মুদুর রহমানের পিতা মৃত আব্দুল মালেক মৌলভী নরিংপুর গ্রামের শান্তিকমিটির সহ সভাপতি ছিলেন। আর বিতর্কিত হাম্মুদুর রহমান ও গোলাম মোস্তফা তথ্য গোপন করে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করিয়াছে। অভিযোগে জানা যায় হাম্মুদুর রহমান জাতীয় পার্টির ক্ষমতায় থাকাকালীন গুলশান থানার ফ্রীডম পার্টির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এই জামায়ত নেতা গোলাম মোস্তফার চাচা। আর তার একই বাড়িতে বসবাস করেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে সভাপতি গোলাম মোস্তফা যে বাড়িতে বসবাস করেন সেই বাড়িটি ৭১ সনে এই বাড়ির নাম ছিল জামায়াতের বাড়ি (কারী)। সেই বিতর্কিত জামায়াতের নেতা শোকসভায় আওয়ামী লীগের নেতারা যোগদান করায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এই বিতর্কিত অনুপ্রবেশকারী হাম্মুদুর রহমান ও গোলাম মোস্তফাকে বহিঃষ্কারের দাবী জানাচ্ছে স্থানীয় নেতা কর্মীরা।