ঢাকা ০৩:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন,সহোযোগিতায় নিহতের বাবা

খান রফিক, ক্রাইম রিপোর্টার

 

কিশোরগঞ্জ জেলায় সদর থানার মাইশাকান্দি গ্রামের মোঃ মুনসুর নামের এক ব্যাক্তিকে মেরে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে তার নিকটতম আত্মীয়স্বজন যেমন ঃ নিহতের বাবা,ভাই, ভাইয়ের বউ, বোন, এবং নিজের আগের সংসারের এক ছেলে সহ পরিবারের সবাই মিলে তাকে মেরে বাড়ির পিছনে জমির মধ্যে পুকুরপাড়ে একটি জাম্বুরা গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। তার পরনের কাপড়ের পিছনে প্রচুর শুকনো কাদা লেগে ছিলো।যাহা ছবিতে বিধ্যমান।
জানাযায় নিহতের তিনটি বিয়ে হয়েছে।আগের দুই স্ত্রী ডিফোর্স হয়ে গিয়াছে।কিন্তু আগের ঘরের একটি ছেলে আছে।ছেলের বয়স ২০ বছর।সে তার বাবার সাথে প্রায় ২ বছর কথা বলেনা। ছোট ছেলের কথা অনুযায়ী সে ও হত্যার সাথে জড়িত।
নিহতের ছোট বউ এর নাম মর্জিনা, তার বিয়ের বয়স ১১ বছর। কিন্তু এই ১১ বছরের মধ্যে সর্বোমোট এক বছর ও তার শশুরবাড়ীতে ছিল না। তারা প্রায় চার বছর তাদের বাড়ির পাশের বাজারে একটি ঘর ভারা করে বসবাস করতো।জানতে পারাজায় নিহতের দম্পতির সাথে দেবরদের /ছোট ভাইদের সাথে তেমন কোন ভাল সম্পর্ক ছিলো না।তবে এই মর্জিনাকে তার শশুর পছন্দ করেই তার বড় ছেলের জন্য এনে ছিলো।পারিবারিক ভাবেই তাদের বিয়ে হয়।মর্জিনার ছেলের বয়স ১০ বছর এবং তার গর্ভে সাত মাসের একটি সন্তান আছে। মর্জীনা ০৮/০৯/২৪ ইং তারিখে গার্মেন্সে চাকরীর বেতন পেয়ে ১৩,৫০০ টাকা পাশের একটি বিকাশের দোকানের মাধ্যমে তার স্বামী মুনসুর কে পাঠায়। এবং ০৯ তারিখ তাকে হত্যা করে। যাহা মর্জীনা সাংবাদিক দের বলে।
নিহতের বাবা বলেন, আমার বড়ছেলে মুনসুর, সে কোন কাজকর্ম করতো না।তাকে অনেক বার ব্যবসা করার জন্য টাকা দিয়েছি,দোকান দিয়ে দিয়েছি তবুও সে কোন কিছুই করতে পারেনী।সে কোন সময় কোন কাজ কর্ম করেনী এমন কি তার নিজের থাকার ঘরটি ও আমার টাকা দিয়ে উঠীয়ে দিয়েছি। সে অসুস্থ ছিল, তার অনেক টাকার ঔষধ লাগতো।।মুনসুর তার স্ত্রী মর্জিনার সাথে সবসময় ঝগড়া করতো।মৃত্যুর আগের দিন বিকালে তার বউয়ের সাথে ঝগরা করছিল টাকার জন্য।মুনসুর অসুস্থ ছিলো অনেকদিন থেকে।তার এ্যজমা,হার্ট,লিভারে সমস্যা ছিলো।

মর্জিনার দশ বছরের ছেলেটি মাদ্রাসায় পড়ে।ছেলেটি বলে আমি মাদ্রাসা থেকে এসে দেখি আমার কাকা,সৎ ভাই, কাকী,এবং দাদা মিলে আমার বাবাকে লাথী ঘুসি মারছে। তখন আমি আমার মা কে ফোন করে বলি আমার কাকা,দাদা,সৎ ভাই মিলে আমার বাবা কে মারছে। পরে আমার কাছ থেকে মোবাইল সরিয়ে নিয়ে যায়। আমাকে সরিয়ে দিয়ে কি করলো আর জানিনা।আমাকে আর কিছু দেখতে দেয় নাই।আমাকে একটা ঘরে আটকিয়ে রাখে।

নিহতের স্ত্রী মর্জীনা থানায় একাধিক বার যাবার পরেও থানায় কোন মামলা নেয়নি।
বাদী বাধ্য হয়ে কোর্টে একটি হত্যা মামলা করছে।মুনসুর এর ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।রিপোর্ট দিবার তারিখ ২৪/০৮/২৪ তারিখ।

এই মামলার উকিল সাইফুল হক খান, এ্যাডভোকোট জজ কোর্ট বলেন ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আমরা কিছুই করতে পারছিনা। আমাদের রিপোর্ট এর জন্য ২৪/০৮/২০২৪ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

নিহতের স্ত্রী মর্জিনা দৈনিক কালের দিন কে বলে আমি এবং আমার আত্নীয়রা মিলে তিন তিন বার থানায় গিয়েছিলাম। তারা মামলা নেয়নি।পরে বাধ্য হয়ে আমি কোর্টে মামলা করি।
তদন্তের জন্য এস আই বিল্লাল গিয়েচিলেন।তিনি এখন রেপিড একশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১৪ তে আছেন। তিনি বলেন আমি যে সকল আলামত পেয়েছি তাতে আত্ন হত্যা মনে হয় না।আমার কাছে এর জন্য যথেষ্ঠ প্রমান আছে।প্রয়োজনে আমি এস পি স্যারের কাছে সব আলামতের কথা বলবো। তিনি আরো বলেন সুস্ঠ ও সঠীক তদন্তের সাপেক্ষে আমি এর সঠীক বিচার চাই।সঠীক বিচারের জন্য আমার যাহা করনীয় আমি করবো।
নিহতের ছেলে এবং স্ত্রী মহামান্য আদালতের কাছে এর সঠীক বিচার চায়।

Tag :

মির্জাগঞ্জে কলেজ শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন

ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন,সহোযোগিতায় নিহতের বাবা

আপডেট টাইম : ১২:১৯:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

খান রফিক, ক্রাইম রিপোর্টার

 

কিশোরগঞ্জ জেলায় সদর থানার মাইশাকান্দি গ্রামের মোঃ মুনসুর নামের এক ব্যাক্তিকে মেরে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে তার নিকটতম আত্মীয়স্বজন যেমন ঃ নিহতের বাবা,ভাই, ভাইয়ের বউ, বোন, এবং নিজের আগের সংসারের এক ছেলে সহ পরিবারের সবাই মিলে তাকে মেরে বাড়ির পিছনে জমির মধ্যে পুকুরপাড়ে একটি জাম্বুরা গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। তার পরনের কাপড়ের পিছনে প্রচুর শুকনো কাদা লেগে ছিলো।যাহা ছবিতে বিধ্যমান।
জানাযায় নিহতের তিনটি বিয়ে হয়েছে।আগের দুই স্ত্রী ডিফোর্স হয়ে গিয়াছে।কিন্তু আগের ঘরের একটি ছেলে আছে।ছেলের বয়স ২০ বছর।সে তার বাবার সাথে প্রায় ২ বছর কথা বলেনা। ছোট ছেলের কথা অনুযায়ী সে ও হত্যার সাথে জড়িত।
নিহতের ছোট বউ এর নাম মর্জিনা, তার বিয়ের বয়স ১১ বছর। কিন্তু এই ১১ বছরের মধ্যে সর্বোমোট এক বছর ও তার শশুরবাড়ীতে ছিল না। তারা প্রায় চার বছর তাদের বাড়ির পাশের বাজারে একটি ঘর ভারা করে বসবাস করতো।জানতে পারাজায় নিহতের দম্পতির সাথে দেবরদের /ছোট ভাইদের সাথে তেমন কোন ভাল সম্পর্ক ছিলো না।তবে এই মর্জিনাকে তার শশুর পছন্দ করেই তার বড় ছেলের জন্য এনে ছিলো।পারিবারিক ভাবেই তাদের বিয়ে হয়।মর্জিনার ছেলের বয়স ১০ বছর এবং তার গর্ভে সাত মাসের একটি সন্তান আছে। মর্জীনা ০৮/০৯/২৪ ইং তারিখে গার্মেন্সে চাকরীর বেতন পেয়ে ১৩,৫০০ টাকা পাশের একটি বিকাশের দোকানের মাধ্যমে তার স্বামী মুনসুর কে পাঠায়। এবং ০৯ তারিখ তাকে হত্যা করে। যাহা মর্জীনা সাংবাদিক দের বলে।
নিহতের বাবা বলেন, আমার বড়ছেলে মুনসুর, সে কোন কাজকর্ম করতো না।তাকে অনেক বার ব্যবসা করার জন্য টাকা দিয়েছি,দোকান দিয়ে দিয়েছি তবুও সে কোন কিছুই করতে পারেনী।সে কোন সময় কোন কাজ কর্ম করেনী এমন কি তার নিজের থাকার ঘরটি ও আমার টাকা দিয়ে উঠীয়ে দিয়েছি। সে অসুস্থ ছিল, তার অনেক টাকার ঔষধ লাগতো।।মুনসুর তার স্ত্রী মর্জিনার সাথে সবসময় ঝগড়া করতো।মৃত্যুর আগের দিন বিকালে তার বউয়ের সাথে ঝগরা করছিল টাকার জন্য।মুনসুর অসুস্থ ছিলো অনেকদিন থেকে।তার এ্যজমা,হার্ট,লিভারে সমস্যা ছিলো।

মর্জিনার দশ বছরের ছেলেটি মাদ্রাসায় পড়ে।ছেলেটি বলে আমি মাদ্রাসা থেকে এসে দেখি আমার কাকা,সৎ ভাই, কাকী,এবং দাদা মিলে আমার বাবাকে লাথী ঘুসি মারছে। তখন আমি আমার মা কে ফোন করে বলি আমার কাকা,দাদা,সৎ ভাই মিলে আমার বাবা কে মারছে। পরে আমার কাছ থেকে মোবাইল সরিয়ে নিয়ে যায়। আমাকে সরিয়ে দিয়ে কি করলো আর জানিনা।আমাকে আর কিছু দেখতে দেয় নাই।আমাকে একটা ঘরে আটকিয়ে রাখে।

নিহতের স্ত্রী মর্জীনা থানায় একাধিক বার যাবার পরেও থানায় কোন মামলা নেয়নি।
বাদী বাধ্য হয়ে কোর্টে একটি হত্যা মামলা করছে।মুনসুর এর ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।রিপোর্ট দিবার তারিখ ২৪/০৮/২৪ তারিখ।

এই মামলার উকিল সাইফুল হক খান, এ্যাডভোকোট জজ কোর্ট বলেন ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আমরা কিছুই করতে পারছিনা। আমাদের রিপোর্ট এর জন্য ২৪/০৮/২০২৪ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

নিহতের স্ত্রী মর্জিনা দৈনিক কালের দিন কে বলে আমি এবং আমার আত্নীয়রা মিলে তিন তিন বার থানায় গিয়েছিলাম। তারা মামলা নেয়নি।পরে বাধ্য হয়ে আমি কোর্টে মামলা করি।
তদন্তের জন্য এস আই বিল্লাল গিয়েচিলেন।তিনি এখন রেপিড একশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১৪ তে আছেন। তিনি বলেন আমি যে সকল আলামত পেয়েছি তাতে আত্ন হত্যা মনে হয় না।আমার কাছে এর জন্য যথেষ্ঠ প্রমান আছে।প্রয়োজনে আমি এস পি স্যারের কাছে সব আলামতের কথা বলবো। তিনি আরো বলেন সুস্ঠ ও সঠীক তদন্তের সাপেক্ষে আমি এর সঠীক বিচার চাই।সঠীক বিচারের জন্য আমার যাহা করনীয় আমি করবো।
নিহতের ছেলে এবং স্ত্রী মহামান্য আদালতের কাছে এর সঠীক বিচার চায়।