নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরের মতলব উত্তরের চাঞ্চল্যকর উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যা মামলার ৪ আসামি আদালতে জামিন চাইতে গেলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা হলো- মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের মৃত. শাহাবুদ্দিন খালাশীর ছেলে জজ মিয়া খালাশী (৫২), জজ মিয়া খালাশীর ছেলে নাহিদ খালাশী (৩০), কবির খালাশীর ছেলে তুষার (২৮) ও মুন্সিগঞ্জ জেলার জাজিরা সৈয়দপুর গ্রামের মজি রহমানের ছেলে বিকু (৩৮)। এরা এ মামলার এজাহারভূক্ত আসামী।
রবিবার (৩ জুলাই) আসামীরা চাঁদপুর চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক আসামীদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এ মামলাটি তদন্ত করছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), চাঁদপুর। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান জানান, এ মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর থেকে পিবিআই আসামীদের আাটকসহ মামলার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।
৫ মে বৃহস্পতিবার রাতে চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নে ষাটনল পর্যটক কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজীকে কুপিয়ে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। নৌ ডাকাত বাবলা ওরফে উজ্জ্বল খালাশী, কবির খালাসি’সহ এ চক্রের সহযোগীরা এ হত্যাকাটি ঘটিয়েছে বলে এজাহারে বলা হয়। নিহতের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া মিয়াজি বাদি হয়ে মতলব উত্তর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এক ঈদ পুর্নমীলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিজ শশুরবাড়ী চাঁদপুরে যান রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের মোবাইল ব্যবসায়ী উজ্জল মিয়াজী। রাতে তিনি অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করতে গেলে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রে তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে নৌ ডাকাত কবির খালাসী, জজ মিয়া খালাসী, নাহিদ খালাসী, তুষার খালাসী ও বাবলা ডাকাত ও ফরিদ গাজী’সহ এ চক্রের আরও ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য। পরে উজ্জলের মৃত্যু নিশ্চিত করে তার ক্ষতবিক্ষত দেহ মাটিতে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। এ ঘটনায় কবির খালাসিকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুরের উত্তর মতলব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া মিয়াজী।