ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

এই প্রথম যুবকদেরকে জীবন বাঁচাতে মাদক ব্যবসায়ীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মতলবের এএসপি সার্কেল ইয়াসির আরাফাত

ক্রাইম রিপোর্টার ,
মো: তপছিল হাছান ,চাঁদপুর
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর ও দক্ষিণে যারা মাদক ব্যবসা করে ও মাদক সেবন করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন এএসপি সার্কেল ইয়াসির আরাফাত।সেই সঙ্গে যারা মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের প্রশ্রয় দেয় তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান।
গত (১৭ জুন) বৃহস্পতিবার বিকেলে মতলব দক্ষিন সদর উপজেলায় জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর জাতীয় দৈনিক আলোর জগত এবং একুশে বাণীর পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার ও বিশেষ প্রতিনিধি দের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নৈতিক ও আদর্শের সাথে,মতলবে এই প্রথম কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন এএসপি সার্কেল ইয়াসির আরাফাত। মাদকের বিরুদ্ধে মতলব দুইটি উপজেলায় মধ্যে কঠোর অবস্থানে। মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় দেওয়া হবে না সে যে কেউ হোক এবং যুবসমাজকে অন্ধকার জগত থেকে ফিরে আনতে ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে আনার জন্য ইনশাল্লাহ আমি যতদিন আছি ততদিন পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে ।
তিনি ওই সময় বলেন:যেসকল আমার যুবসমাজের ভাইয়েরা আছেন আপনারা মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে নিজেদের জীবনকে ভয়ানক হুমকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ প্রবণতা রোধ করা না গেলে একটি প্রজন্মের সব সম্ভাবনা ধূলিসাত্ হয়ে যাবে এবং দেশ মাথা তুলে দাঁড়াবার শক্তি হারিয়ে ফেলবে। তাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।মাদকাসক্তির ফলে বিভিন্ন শারীরিক,মানসিক ও সামাজিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। শারীরিক সমস্যার মধ্যে খাদ্যে অরুচি, পুষ্টিহীনতা,শরীরের বিভিন্ন স্থানে সংক্রমণ, যকৃত, অন্ত্র, কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষতিকর রোগ সৃষ্টি হয় যার শেষ পরিণতি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আপনাদের মানসিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন হওয়া। মাদকাসক্তির ফলে ব্যক্তি তার স্বাভাবিক আচরণ দিন দিন হারিয়ে ফেলে। স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, খিটখিটে মেজাজ, ধৈর্যচ্যুতি ইত্যাদি নেতিবাচক আচরণ ব্যক্তির মধ্যে প্রকট হয়ে উঠে যা ক্রমাগত তাকে মানসিক রোগীতে পরিণত করে। সামাজিক সমস্যার মধ্যে চুরি, ছিনতাই, সামাজিক সহিংসতা, বিবাহ বিচ্ছেদ ইত্যাদি অন্যতম। মাদকাসক্তি কোনো দিক থেকেই ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনতে পারে না, বরং সমাজকে গভীর অন্ধকারের দিকে ধাবিত করে।মাদকের ভয়াবহতা থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত যথাযথ আইন থাকা জরুরি। বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন তৈরি হয়। পরবর্তীকালে এ আইনের সংস্কার হয়েছে।আমাদের বাংলাদেশ সরকার মাদকের ওপর জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। আমাদের বাঙালি ও জাতির অহংকার এবং বাংলাদেশের মানুষের স্পন্দন জনো নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার  ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর মাদক নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দিয়েছেন।আর যে কাজেই যারা মাদকের সাথে জড়িত আছেন তারা সময় থাকতে ভাল হয়ে যান। অভিভাবক ও ছেলে সন্তানদের দিক চিন্তা ভাবনা করে এবং তওবা করে ফিরে আসেন। ভালো হতে কিন্তু পয়সা লাগে না। আআপনাদের দের ভালো একটি সিদ্ধান্তে ফিরে আসবে সংসারের সুখ ও শান্তির ছায়া।
মতলবের এএসপি সার্কেল ইয়াসিন আরাফাত তিনি আরো বলেন,মাদকের চিকিত্সা দীর্ঘমেয়াদী ও ব্যয়বহুল হওয়ায় প্রতিরোধই উত্কৃষ্ট পন্থা। এজন্য প্রয়োজন ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের সচেতনতা এবং সম্মিলিত প্রয়াস। যুবসমাজ আমাদের দেশের সম্পদ। তাই কোনো পক্ষের গাফিলতির কারণে এদের জীবন যাতে ঝুঁকিপূর্ণ পথে পরিচালিত না হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমরা যদি সকলে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে একযোগে মাদককে ‘না’ বলি তবে একত্রিত ‘না’ এর শক্তি আমাদের যুবসমাজকে রক্ষা করবে।আর আমি আপনাদের মাঝে যতদিন আছি ঠিক ততদিন পর্যন্ত মহান রাব্বুল আলামিনের ওপর ভরসা রেখে বলছি আমি আপনাদের সন্তানের মতন ও আমি একজন যুবসমাজদের ভাই হিসেবে পাশে থেকে কাজ করতে চাই। আর এই মতলব বাংলাদেশের মধ্যে সকলের কাছে সুপরিচিত ।  মতলবের দুই থানার পুলিশ জনগণের পাশে আছি এবং থাকবে। যে কোন প্রয়োজনে বা যে কোন মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য সরাসরি আমাকে জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে কাজ করতে সকলের সহযোগিতা ও সুদৃষ্টি কামনা করেন।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

এই প্রথম যুবকদেরকে জীবন বাঁচাতে মাদক ব্যবসায়ীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মতলবের এএসপি সার্কেল ইয়াসির আরাফাত

আপডেট টাইম : ১২:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১
ক্রাইম রিপোর্টার ,
মো: তপছিল হাছান ,চাঁদপুর
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর ও দক্ষিণে যারা মাদক ব্যবসা করে ও মাদক সেবন করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন এএসপি সার্কেল ইয়াসির আরাফাত।সেই সঙ্গে যারা মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের প্রশ্রয় দেয় তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান।
গত (১৭ জুন) বৃহস্পতিবার বিকেলে মতলব দক্ষিন সদর উপজেলায় জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর জাতীয় দৈনিক আলোর জগত এবং একুশে বাণীর পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার ও বিশেষ প্রতিনিধি দের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নৈতিক ও আদর্শের সাথে,মতলবে এই প্রথম কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন এএসপি সার্কেল ইয়াসির আরাফাত। মাদকের বিরুদ্ধে মতলব দুইটি উপজেলায় মধ্যে কঠোর অবস্থানে। মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় দেওয়া হবে না সে যে কেউ হোক এবং যুবসমাজকে অন্ধকার জগত থেকে ফিরে আনতে ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে আনার জন্য ইনশাল্লাহ আমি যতদিন আছি ততদিন পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে ।
তিনি ওই সময় বলেন:যেসকল আমার যুবসমাজের ভাইয়েরা আছেন আপনারা মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে নিজেদের জীবনকে ভয়ানক হুমকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ প্রবণতা রোধ করা না গেলে একটি প্রজন্মের সব সম্ভাবনা ধূলিসাত্ হয়ে যাবে এবং দেশ মাথা তুলে দাঁড়াবার শক্তি হারিয়ে ফেলবে। তাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।মাদকাসক্তির ফলে বিভিন্ন শারীরিক,মানসিক ও সামাজিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। শারীরিক সমস্যার মধ্যে খাদ্যে অরুচি, পুষ্টিহীনতা,শরীরের বিভিন্ন স্থানে সংক্রমণ, যকৃত, অন্ত্র, কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষতিকর রোগ সৃষ্টি হয় যার শেষ পরিণতি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আপনাদের মানসিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন হওয়া। মাদকাসক্তির ফলে ব্যক্তি তার স্বাভাবিক আচরণ দিন দিন হারিয়ে ফেলে। স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, খিটখিটে মেজাজ, ধৈর্যচ্যুতি ইত্যাদি নেতিবাচক আচরণ ব্যক্তির মধ্যে প্রকট হয়ে উঠে যা ক্রমাগত তাকে মানসিক রোগীতে পরিণত করে। সামাজিক সমস্যার মধ্যে চুরি, ছিনতাই, সামাজিক সহিংসতা, বিবাহ বিচ্ছেদ ইত্যাদি অন্যতম। মাদকাসক্তি কোনো দিক থেকেই ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনতে পারে না, বরং সমাজকে গভীর অন্ধকারের দিকে ধাবিত করে।মাদকের ভয়াবহতা থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত যথাযথ আইন থাকা জরুরি। বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন তৈরি হয়। পরবর্তীকালে এ আইনের সংস্কার হয়েছে।আমাদের বাংলাদেশ সরকার মাদকের ওপর জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। আমাদের বাঙালি ও জাতির অহংকার এবং বাংলাদেশের মানুষের স্পন্দন জনো নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার  ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর মাদক নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দিয়েছেন।আর যে কাজেই যারা মাদকের সাথে জড়িত আছেন তারা সময় থাকতে ভাল হয়ে যান। অভিভাবক ও ছেলে সন্তানদের দিক চিন্তা ভাবনা করে এবং তওবা করে ফিরে আসেন। ভালো হতে কিন্তু পয়সা লাগে না। আআপনাদের দের ভালো একটি সিদ্ধান্তে ফিরে আসবে সংসারের সুখ ও শান্তির ছায়া।
মতলবের এএসপি সার্কেল ইয়াসিন আরাফাত তিনি আরো বলেন,মাদকের চিকিত্সা দীর্ঘমেয়াদী ও ব্যয়বহুল হওয়ায় প্রতিরোধই উত্কৃষ্ট পন্থা। এজন্য প্রয়োজন ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের সচেতনতা এবং সম্মিলিত প্রয়াস। যুবসমাজ আমাদের দেশের সম্পদ। তাই কোনো পক্ষের গাফিলতির কারণে এদের জীবন যাতে ঝুঁকিপূর্ণ পথে পরিচালিত না হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমরা যদি সকলে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে একযোগে মাদককে ‘না’ বলি তবে একত্রিত ‘না’ এর শক্তি আমাদের যুবসমাজকে রক্ষা করবে।আর আমি আপনাদের মাঝে যতদিন আছি ঠিক ততদিন পর্যন্ত মহান রাব্বুল আলামিনের ওপর ভরসা রেখে বলছি আমি আপনাদের সন্তানের মতন ও আমি একজন যুবসমাজদের ভাই হিসেবে পাশে থেকে কাজ করতে চাই। আর এই মতলব বাংলাদেশের মধ্যে সকলের কাছে সুপরিচিত ।  মতলবের দুই থানার পুলিশ জনগণের পাশে আছি এবং থাকবে। যে কোন প্রয়োজনে বা যে কোন মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য সরাসরি আমাকে জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে কাজ করতে সকলের সহযোগিতা ও সুদৃষ্টি কামনা করেন।