ঢাকা ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় দুদকের অভিযানে সাব-রেজিস্ট্রারসহ আটক ২

(কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের চকরিয়ায় সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার নাহিদুজ্জামানসহ দুই কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে দুদক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত টানা ৮ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে ঘুষের ৬ লাখ ৪২১০০ টাকা জব্দ সহ তাদের গ্রেফতার করে দুদকের আভিযানিক দল। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মোঃ রিয়াজ উদ্দীন ও রতন কুমার দাশের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। সহকারী পরিচালক মোঃ রিয়াজ উদ্দীন জানান, চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ পেয়ে ১ এপ্রিল দুদকের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানের শুরুতে অফিস সহকারী শ্যামল বড়ুয়া ও অফিস মোহরাব দুর্জয় কান্তি পালের টেবিলের ড্রয়ার থেকে পৃথকভাবে ২ লাখ ৮৯৫৫০ টাকা ও এক লাখ ৬০ হাজার করা জব্দ করা হয়। এরপর একইভাবে সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ নাহিদুজ্জামানের ব্যবহৃত টেবিলের ড্রয়ার তল্লাশি করে জব্দ করা হয় এক লাখ ৯২৫৫০ টাকা। জব্দকৃত টাকাগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি সাব-রেজিস্ট্রারসহ অন্য দুই কর্মচারী। তাই টাকাগুলো ঘুষ লেনদেনের বলে প্রতীয়মান করে জানান দুদক কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ উদ্দীন। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ নাহিদুজ্জামান নাটোর জেলার গুরুদাশপুর উপজেলা গুরুদাশপুর এলাকার মোঃ মোজাম্মেল হকের পুত্র, অফিস মোহরাব দুর্জয় কান্তি পাল কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলের মধুরামের পুত্র এবং পলাতক অফিস সহকারী শ্যামল বড়ুয়া কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়া দীনবন্ধুর পুত্র। দুদক কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ উদ্দীন বলেন, চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ঘুষ লেনদের মাধ্যমে দলিল সম্পাদনের অভিযোগ ছিলো। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে ঝটিকা অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ঘুষ লেনদের ৬ লাখ ৪২১০০ টাকা জব্দ করা হয় এবং ঘুষ লেনদেনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সাব-রেজিস্ট্রারসহ দুইজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। তবে অভিযান টের পেয়ে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে দুদক কর্মকর্তা ও পুলিশের সামনেই পালিয়ে যায় অফিস সহকারী শ্যামল বড়ুয়া। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকরা এমন বিষয়টি দুদকের রহস্যজনক আচরণ বলে মনে করেন। তবে তিনজনকে এজাহারভুক্ত করে ঘুষ লেনদেন ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

চকরিয়ায় দুদকের অভিযানে সাব-রেজিস্ট্রারসহ আটক ২

আপডেট টাইম : ০৬:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ এপ্রিল ২০২১

(কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের চকরিয়ায় সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার নাহিদুজ্জামানসহ দুই কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে দুদক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত টানা ৮ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে ঘুষের ৬ লাখ ৪২১০০ টাকা জব্দ সহ তাদের গ্রেফতার করে দুদকের আভিযানিক দল। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মোঃ রিয়াজ উদ্দীন ও রতন কুমার দাশের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। সহকারী পরিচালক মোঃ রিয়াজ উদ্দীন জানান, চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ পেয়ে ১ এপ্রিল দুদকের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানের শুরুতে অফিস সহকারী শ্যামল বড়ুয়া ও অফিস মোহরাব দুর্জয় কান্তি পালের টেবিলের ড্রয়ার থেকে পৃথকভাবে ২ লাখ ৮৯৫৫০ টাকা ও এক লাখ ৬০ হাজার করা জব্দ করা হয়। এরপর একইভাবে সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ নাহিদুজ্জামানের ব্যবহৃত টেবিলের ড্রয়ার তল্লাশি করে জব্দ করা হয় এক লাখ ৯২৫৫০ টাকা। জব্দকৃত টাকাগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি সাব-রেজিস্ট্রারসহ অন্য দুই কর্মচারী। তাই টাকাগুলো ঘুষ লেনদেনের বলে প্রতীয়মান করে জানান দুদক কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ উদ্দীন। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ নাহিদুজ্জামান নাটোর জেলার গুরুদাশপুর উপজেলা গুরুদাশপুর এলাকার মোঃ মোজাম্মেল হকের পুত্র, অফিস মোহরাব দুর্জয় কান্তি পাল কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলের মধুরামের পুত্র এবং পলাতক অফিস সহকারী শ্যামল বড়ুয়া কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়া দীনবন্ধুর পুত্র। দুদক কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ উদ্দীন বলেন, চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ঘুষ লেনদের মাধ্যমে দলিল সম্পাদনের অভিযোগ ছিলো। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে ঝটিকা অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ঘুষ লেনদের ৬ লাখ ৪২১০০ টাকা জব্দ করা হয় এবং ঘুষ লেনদেনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সাব-রেজিস্ট্রারসহ দুইজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। তবে অভিযান টের পেয়ে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে দুদক কর্মকর্তা ও পুলিশের সামনেই পালিয়ে যায় অফিস সহকারী শ্যামল বড়ুয়া। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকরা এমন বিষয়টি দুদকের রহস্যজনক আচরণ বলে মনে করেন। তবে তিনজনকে এজাহারভুক্ত করে ঘুষ লেনদেন ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ।