ঢাকা ০৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

ব্যক্তি স্বার্থ-দায়বদ্ধতার মাত্রাটা একটু অন্য আঁচের

  নিজস্ব প্রতিবেদক :  একজনের ছলে ছলে বলা দায়বদ্ধতা ও ব্যক্তি স্বার্থের কিছু বিষয়। স্বপ্ন দেখেন, পুরোটা ধাপে ধাপে পরিকল্পনার ছক। একজনের ছলে ছলে বলা দায়বদ্ধতা ও ব্যক্তি স্বার্থের কিছু বিষয়। এমন পরিকল্পনায় যারা আছেন, এদের কেউ কেউ সমাজের বুবিধাবঞ্চিত ছিন্নমূল মানুষ, কেউ আবার নেশাগ্রস্থ। কখনো সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীর ক্ষমতায়নে, জীবনমান উন্নয়নে এগিয়ে এসেছেন। এমন একজন সফল সমাজ কর্মী। সবার পরিচিত তিনি আর কেউ না সবাই আদর করে ডাকে অপূর্ব। পুরো নাম মোঃ মুনিরুজ্জামান অপূর্ব।

দেশের অন্যতম একজন সফল ব্যক্তিত্ব পর্যায়ে আসতে সেসব অভিঞ্জতার সম্মুখীন হয়েছেন, সেইসব কথা জানতে চাই?

জীবনের এ পর্যায়ে আসতে বিভিন্ন অভিঞ্জতার সম্মুখীন হয়েছি।সত্যি বলতে শুরুটা খুব একটা সহজ ছিল না।  ১৯৯৪ সালে প্রথম সংগঠন শুরু করি শুভেচ্ছা সাংস্কৃতিক ফোরাম নামে। সে সময়টায় দেশের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বদের কাছে গিয়েছি। মূল্যায়নের ক্ষেত্রটায় বলব সীমাবদ্ধতা ছিল প্রচুর। কখনো এমনও হয়েছে পাঁচ-ছয় ঘন্টা অফিসের ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করেছি। এরপর উপরে যাবার, দেখা করার সুযোগ হত। সে ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়টাতেই ফিরে আসতে হয়েছে। এক পর্যায়ে হানিফ সংকেতের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়। এরপরই  বিভিন্ন জায়গায় পরিচিতিটা হু হু করে বাড়তে থাকে। বিভিন্ন জায়গা হতে সুযোগগুলো  আসতে থাকে। ধীরে ধীরে সে পর্যায়ে সংগঠন নিয়ে আগাতে শুরু করি।

সংগঠনের আনুষ্ঠানিকতার বিষয়ে প্রথম আনুষ্ঠানিক যাত্রার বিষয়ে বলুন;

ঢাকার পিজি অডিটোরিয়ামে প্রথম পোগ্রাম করি। বিষয়টা যদিও খুব একটা আনন্দদায়ক ছিল না। সংগঠক হিসেবে সে সময়টায় কিছুটা হোঁচট খেয়েছি। বিষয়টায় প্রথম শুরু হিসেবে নিজেকে অনেকটা অভিঞ্জতা দিয়েছিল। সে সময়টায় আব্দুর নূর তুষার, হেনা পারভিন (বিটিভির উপস্থাপিকা), নায়িকা পপি এরা অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সর্বোপরি যদি বলিসে ক্ষেত্রটায় কিছু ব্যর্থতা স্বপ্নকে একটা ভিন্ন মাত্রায় উপস্থাপন করেছে নিজের সামনে। একটা উপলব্ধির জায়গা তৈরি করেছে। 

বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে আপনি এমন কার্যক্রমের পেছনে ব্যক্তি স্বার্থদায়বদ্ধতা কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন?

হা, এমন বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে এমন কিছু চোখে পড়ছে হরহামেশাই। যেখানে দায়বদ্ধতার চেয়ে ব্যক্তি স্বার্থ অনেকটাই অন্য মাত্রাকে প্রকাশ করছে। যারা করছেন, এমন কিছু নিজেদের ছোট করছে। আর নিজের বিষয়ে যদি বলতে হয়, সে ক্ষেত্রে বলব পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কিছু করতে পারাটাই। এমনটাই নিজের ব্যক্তি স্বার্থ -স্বার্থকতা।

এবার একটু পেছনের বিষয়টি জানতে চাইছি; সিলেক্টেড কিছু মানুষদের নিয়ে। যাদের ইন্সপেরেশন আপনাকে এগিয়ে রেখেছে দায়বদ্ধ সামাজিক কর্মী হিসেবে – ব্যক্তি মানুষ হিসেবে?

সিলেক্টেড কারো বিষয়ে জানাতে হলেকৃতজ্ঞতা আমার বড় বোনের প্রতি (সুইডেন প্রবাসী), নিজের মাবাবার প্রতিকণা রেজাএশিয়ান টিভির চেয়্যাম্যান আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ সি আই পি। উনাদের উপদেশ সামগ্রিকভাবে নিজেকে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কাজ করতে নিজেকে এগিয়ে রেখেছে। উনারা সবসময় পিছিয়ে পড়া মানুষদের প্রতি সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে।

একজন সামাজিক কর্মী সফল সংগঠক হিসেবে অর্জনগুলোকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

কার্যক্ষেত্রে নিজের অর্জনগুলো খুঁজে পেয়েছি। পারিপার্শ্বিক সামগ্রিক ক্ষেত্রগুলো কাজের মূল্যায়নকে সামনে এনেছে। পূর্ববর্তী – সমসাময়িক এ্যাওয়ার্ড/সম্মাননা পুরো বিষয়টাই অনেকটা অপ্রত্যাশিত; যে/যারা সম্মানিত করছেন সে বিষয়গুলো নিজের ইন্সপেরেশনকে এগিয়ে রাখছে অনেকটাই। গোপালগঞ্জের কোটালী পাড়ায় জন্ম।  নিজের মধ্যে আদর্শিকটার একটা মাত্রা হয়ত আছে। কিছু ব্যর্থতা নিজের স্বপ্নকে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে। স্বপ্নটা এখনও দেখিএকটু ভিন্নতা নিয়ে। সর্বশেষ নিজ স্বপ্নের ক্ষেত্রটায় নতুন এক মাত্রা যোগ করে; মাননীয় প্রধানমন্ত্রীদেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রদান করেন সমাজ কর্মী হিসেবে বিশেষ সম্মাননা পুরষ্কার।  যদিও এর আগে মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড, কবি সুফিয়া কামাল পদক, কবি কাজীনজরুল ইসলাম পদক সহ বহু সম্মাননা পেয়েছি।এটা একটা প্রাপ্তিনিজ কর্মের মূল্যায়ন। এমন কিছু নিজেকে সম্মানিত করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে সামনে রেখেউনাকে দেখে আমি কাজ করতে চাই। উনার আদর্শকে ঘিরে মানুষ হতে চাই।’

আপনার এ পর্যন্ত আসার ক্ষেত্রে কোন কোন সফলতাকে আপনি বিশেষ অগ্রাধিকার দেবেন?

কোন প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই সবার অনুপ্রেরণা, পাশে থাকার মানুষিকতা। একজন সামাজিক কর্মী হিসেবে সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি। মাঝে মধ্যেই নানা ধরণের সমস্যা ও জটিলতা তৈরি হত। সে ক্ষেত্রে সমস্যা উত্তোরণে সম্মিলিত প্রয়াস ছিল। মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে একটা দৃঢ় প্রত্যয় ছিল। অনাথ, পথ শিশু, বৃদ্ধ মা-বাবা, শীতার্ত ও ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে সাহায্য নিয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছি এটাই জীবনের বড় সাফল্য। চারপাশের বিত্তবানরা এমন মানুষদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসবে এমনটাই খুব বেশী প্রত্যাশা করি।বিশেষ করে প্রতিবন্ধী, দুস্থ, ছিন্নমূল মানুষদের; এদের নিয়েই  কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিবছরই এ সুবিধাবঞ্চিত সমাজটির প্রতি কিছু কাজ করার চেষ্টা করছি। সেটা নিজের সাধ্যানুযায়ী। এমনটাই সবসময় প্রত্যশা করি যাতে সুবিধাবঞ্চিত সমাজটির জন্য কিছু না কিছু সবসময় করতে পারি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল উনিও প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধিদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। যেহেতু উনার একটি সন্তান অটিস্টিক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এমন বিষয়টির উপর জোর দিচ্ছেন।

দেশের নির্দিষ্ট একটি সমাজ মাদকের মত ব্যাধিতে আক্রান্ত, এর বিরুদ্ধে আপনার আপনার সংগঠনের ভূমিকা বেশ চোখে পড়ার মত। এমন কিছুর বিরুদ্ধে সামাজিক অবস্থানটাকে কিভাবে দেখছেন?

মাদকের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানটা বেশ জোরালো। এ বিষয়ে সমসাময়িক সময়ে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আমাদের করনীয় শীর্ষক এর র‍্যালী, সমাবেশ এমন বিষয়গুলো ছিল। এখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেলাডেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট, সাবেক তথ্য সচিব, অতিরিক্ত অর্থ সচিব। এখানে আলোচনার বিশেষ অংশটাই ছিল মাদকের বিরুদ্ধে।এখানে মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে সাথে নিয়ে যারা সমাজ কর্মী, সাংস্কৃতিক সংগঠন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সহ সকলকে একাত্মতা হয়ে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি মনে করছি প্রত্যকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার মানুষিকতা তৈরি হলে এদের কিছুটা হলেও সাপোর্ট হবে। যা মাদকের মত বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে কিছুটা হলেও অবদান রাখবে। বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উনি জিরো ডট বাংলাদেশের উপর বেশ জোর দিচ্ছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, পুলিশের আইজি, র‍্যাবের ডিজিকে।

 সরকারের কোন বিষয়গুলোতে তত্ত্বাবধানের লেকিংস আছে বলে আপনি মনে করেন, যে বিষয়গুলোতে আরো জোরালো ভূমিকা রাখা উচিত?

লেকিংস আছে বলে মনে করছি না একদমই। মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভূমিকা বেশ জোরালো। এমন বিষয়ে সার্বক্ষণিক তৎপর রাষ্ট্রীয় প্রশাসন। এরপরও সচেতনতার দৃষ্টিটা রাষ্ট্রের পাশাপাশি পরিবারকেও রাখা উচিত বলে মনে করছি। এর বিরুদ্ধে অবস্থান অব্যাহত আছে। প্রতিদিনই প্রশাসন বিপুল পরিমান ইয়াবা, ফেনসিডিল সহ মাদকদ্রব্য অভিযান চালিয়ে জব্ধ করছে। সামগ্রিক একটা সচেতনতা এটি নির্মূলে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করি।

কি কৌশল আপনি সঙ্কট উত্তরণে হস্তক্ষেপ হিসেবে ব্যবহার করবেন?

অবশ্যই সচেতনতা। এমন বিষয়ে এটিই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছি।

সংগঠন পরিচালনায় কিছু প্রতিবন্ধকতার ব্যাপারে আপনার কাছে জানতে চাই?

কোন দায়িত্ব নেয়ার পর কাজ করতে গেলেই বুঝা যায় কাজ করার প্রতিবন্ধকতাগুলো ঠিক কেমন। সবসময় সব কাজ সময়মত করা সম্ভব হয় না। ঠিক সে সময়টাতেই তৈরি হয় জটিলতা। কোন কাজ হাতে নেয়ার পর হটাত অনেক সঙ্কটই সামনে চলে আসে। সে ক্ষেত্রে প্রত্যশিত সহযোগিতার বিষয়গুলো অনেক ক্ষেত্রেই খুঁজে পাওয়াটা কষ্টসাধ্য কিছু বিষয়। আবার অনেকেই আমাকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। নিজ পক্ষ হতে অর্থায়ন ও ছিল। ছিল নিজের কর্ম যঞ্জও। সব মিলিয়ে প্রতিবন্ধকতাগুলো উতরে গিয়েছি।

সামাজিক কর্মে এগিয়ে আসার প্রতি তরুণ সমাজের প্রতি আপনার পরামর্শ কি?

নতুন যে প্রজন্ম বেড়ে উঠছে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের একটি বিশেষ অংশ। এদের সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি জাগ্রত হওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রেই ওরা এগিয়ে আসবে। এমন দায়বদ্ধতার জায়গা তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের প্রবীনদেরও কাজ করতে হবে সঠিক্ মানুষিকতা নিয়ে। তরুন প্রজন্মের যোগ্যতাকর্ম-উদ্দীপনা দুটো ব্যাপারই প্রবল। এমন জায়গা থেকে তরুনদের কাছে প্রত্যাশাটাও খুব বেশি।

এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি, সামাজিক কর্মী এর চেয়ে বড় পরিচয় একজন সাংবাদিক। বহু দেশ ভ্রমন করেছেন। সে ব্যাপারে আপনার কাছে জানতে চাই?

সাংগঠনিক কার্যক্রমের জন্য ও মাদকমুক্ত যুব সমাজ গঠনে শুভেচ্ছা সাংস্কৃতিক ফোরাম প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে দেশ-বিদেশে বহু প্রশংসা ও সুনাম কুড়িয়েছে। সে ক্ষেত্রে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের হয়ে আমেরিকা, ইউরোপ ও মধ্য প্রাচ্যের বহু দেশ ভ্রমনের সুযোগ হয়েছে। সুযোগ হয়েছে বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক কর্মী, সমাজ সেবক, সামাজিক আন্দোলনের সাথে সংপৃক্ত বহু গুণীজনের সাথে মতবিনিময়ের। যা নিজের কাজের ক্ষেত্রে একটা বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

নারীর ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকারের ভূমিকা বিশ্বব্যাপী প্রশংসনীয়; সামাজিক কর্মী হিসেবে এমন সফলতাকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

বর্তমান সমাজে কোন নারী বেকার নেই। কর্ম ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা। এর পেছনের ভূমিকার পুরো গল্পটাই দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার। যার অবদান ও অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকের সমাজে নারীর এ অবস্থান। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই। আজ দেশে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বেড়েছে, নিজের অবস্থানের পরিবর্তন তারা ঘটিয়েছে। নারীরা কুটিরশিল্প সহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

 

সামাজিক কাজের ক্ষেত্রে যদি আগামী পাঁচ বছরের পরিকল্পনার কথা বলা হয়সে পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাই?

প্রথমত ইচ্ছে একটি বৃদ্ধাশ্রম, একটি মসজিদ ও একটি মাদ্রাসা করব। এটিই এখন আমার সবচেয়ে বড় পরিকল্পনা। একজন সাধারণ  মানুষ হিসেবে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই সাধারণ মানুষের মাঝে।

সর্বশেষ প্রশ্ন আপনার কাছে; সফল সংগঠক হিসেবে আপনার সফলতা কি কি?

স্বপ্রণোদিত হয়ে সমাজ সেবার লক্ষ্য হতে দাঁড় করানোর পর আমার অনেক সহকর্মী আমাকে বলতেন, আমরাও সামাজিক দায়বদ্ধতা হতে আপনার সাথে কাজ করতে চাই। অন্য সহকর্মীরা এতে আমাকে দেখে যে অনুপ্রেরণা ও আস্থা পান একজন সমাজ সেবক হিসেবে এটাই আমার সফলতা। অন্যরাও এগিয়ে আসবে এটাই সবসময় প্রত্যাশা করতাম।

 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ মির্জাগঞ্জের আরিফুল স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান

ব্যক্তি স্বার্থ-দায়বদ্ধতার মাত্রাটা একটু অন্য আঁচের

আপডেট টাইম : ১২:৪৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

  নিজস্ব প্রতিবেদক :  একজনের ছলে ছলে বলা দায়বদ্ধতা ও ব্যক্তি স্বার্থের কিছু বিষয়। স্বপ্ন দেখেন, পুরোটা ধাপে ধাপে পরিকল্পনার ছক। একজনের ছলে ছলে বলা দায়বদ্ধতা ও ব্যক্তি স্বার্থের কিছু বিষয়। এমন পরিকল্পনায় যারা আছেন, এদের কেউ কেউ সমাজের বুবিধাবঞ্চিত ছিন্নমূল মানুষ, কেউ আবার নেশাগ্রস্থ। কখনো সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীর ক্ষমতায়নে, জীবনমান উন্নয়নে এগিয়ে এসেছেন। এমন একজন সফল সমাজ কর্মী। সবার পরিচিত তিনি আর কেউ না সবাই আদর করে ডাকে অপূর্ব। পুরো নাম মোঃ মুনিরুজ্জামান অপূর্ব।

দেশের অন্যতম একজন সফল ব্যক্তিত্ব পর্যায়ে আসতে সেসব অভিঞ্জতার সম্মুখীন হয়েছেন, সেইসব কথা জানতে চাই?

জীবনের এ পর্যায়ে আসতে বিভিন্ন অভিঞ্জতার সম্মুখীন হয়েছি।সত্যি বলতে শুরুটা খুব একটা সহজ ছিল না।  ১৯৯৪ সালে প্রথম সংগঠন শুরু করি শুভেচ্ছা সাংস্কৃতিক ফোরাম নামে। সে সময়টায় দেশের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বদের কাছে গিয়েছি। মূল্যায়নের ক্ষেত্রটায় বলব সীমাবদ্ধতা ছিল প্রচুর। কখনো এমনও হয়েছে পাঁচ-ছয় ঘন্টা অফিসের ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করেছি। এরপর উপরে যাবার, দেখা করার সুযোগ হত। সে ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়টাতেই ফিরে আসতে হয়েছে। এক পর্যায়ে হানিফ সংকেতের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়। এরপরই  বিভিন্ন জায়গায় পরিচিতিটা হু হু করে বাড়তে থাকে। বিভিন্ন জায়গা হতে সুযোগগুলো  আসতে থাকে। ধীরে ধীরে সে পর্যায়ে সংগঠন নিয়ে আগাতে শুরু করি।

সংগঠনের আনুষ্ঠানিকতার বিষয়ে প্রথম আনুষ্ঠানিক যাত্রার বিষয়ে বলুন;

ঢাকার পিজি অডিটোরিয়ামে প্রথম পোগ্রাম করি। বিষয়টা যদিও খুব একটা আনন্দদায়ক ছিল না। সংগঠক হিসেবে সে সময়টায় কিছুটা হোঁচট খেয়েছি। বিষয়টায় প্রথম শুরু হিসেবে নিজেকে অনেকটা অভিঞ্জতা দিয়েছিল। সে সময়টায় আব্দুর নূর তুষার, হেনা পারভিন (বিটিভির উপস্থাপিকা), নায়িকা পপি এরা অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সর্বোপরি যদি বলিসে ক্ষেত্রটায় কিছু ব্যর্থতা স্বপ্নকে একটা ভিন্ন মাত্রায় উপস্থাপন করেছে নিজের সামনে। একটা উপলব্ধির জায়গা তৈরি করেছে। 

বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে আপনি এমন কার্যক্রমের পেছনে ব্যক্তি স্বার্থদায়বদ্ধতা কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন?

হা, এমন বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে এমন কিছু চোখে পড়ছে হরহামেশাই। যেখানে দায়বদ্ধতার চেয়ে ব্যক্তি স্বার্থ অনেকটাই অন্য মাত্রাকে প্রকাশ করছে। যারা করছেন, এমন কিছু নিজেদের ছোট করছে। আর নিজের বিষয়ে যদি বলতে হয়, সে ক্ষেত্রে বলব পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কিছু করতে পারাটাই। এমনটাই নিজের ব্যক্তি স্বার্থ -স্বার্থকতা।

এবার একটু পেছনের বিষয়টি জানতে চাইছি; সিলেক্টেড কিছু মানুষদের নিয়ে। যাদের ইন্সপেরেশন আপনাকে এগিয়ে রেখেছে দায়বদ্ধ সামাজিক কর্মী হিসেবে – ব্যক্তি মানুষ হিসেবে?

সিলেক্টেড কারো বিষয়ে জানাতে হলেকৃতজ্ঞতা আমার বড় বোনের প্রতি (সুইডেন প্রবাসী), নিজের মাবাবার প্রতিকণা রেজাএশিয়ান টিভির চেয়্যাম্যান আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ সি আই পি। উনাদের উপদেশ সামগ্রিকভাবে নিজেকে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কাজ করতে নিজেকে এগিয়ে রেখেছে। উনারা সবসময় পিছিয়ে পড়া মানুষদের প্রতি সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে।

একজন সামাজিক কর্মী সফল সংগঠক হিসেবে অর্জনগুলোকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

কার্যক্ষেত্রে নিজের অর্জনগুলো খুঁজে পেয়েছি। পারিপার্শ্বিক সামগ্রিক ক্ষেত্রগুলো কাজের মূল্যায়নকে সামনে এনেছে। পূর্ববর্তী – সমসাময়িক এ্যাওয়ার্ড/সম্মাননা পুরো বিষয়টাই অনেকটা অপ্রত্যাশিত; যে/যারা সম্মানিত করছেন সে বিষয়গুলো নিজের ইন্সপেরেশনকে এগিয়ে রাখছে অনেকটাই। গোপালগঞ্জের কোটালী পাড়ায় জন্ম।  নিজের মধ্যে আদর্শিকটার একটা মাত্রা হয়ত আছে। কিছু ব্যর্থতা নিজের স্বপ্নকে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে। স্বপ্নটা এখনও দেখিএকটু ভিন্নতা নিয়ে। সর্বশেষ নিজ স্বপ্নের ক্ষেত্রটায় নতুন এক মাত্রা যোগ করে; মাননীয় প্রধানমন্ত্রীদেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রদান করেন সমাজ কর্মী হিসেবে বিশেষ সম্মাননা পুরষ্কার।  যদিও এর আগে মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড, কবি সুফিয়া কামাল পদক, কবি কাজীনজরুল ইসলাম পদক সহ বহু সম্মাননা পেয়েছি।এটা একটা প্রাপ্তিনিজ কর্মের মূল্যায়ন। এমন কিছু নিজেকে সম্মানিত করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে সামনে রেখেউনাকে দেখে আমি কাজ করতে চাই। উনার আদর্শকে ঘিরে মানুষ হতে চাই।’

আপনার এ পর্যন্ত আসার ক্ষেত্রে কোন কোন সফলতাকে আপনি বিশেষ অগ্রাধিকার দেবেন?

কোন প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই সবার অনুপ্রেরণা, পাশে থাকার মানুষিকতা। একজন সামাজিক কর্মী হিসেবে সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি। মাঝে মধ্যেই নানা ধরণের সমস্যা ও জটিলতা তৈরি হত। সে ক্ষেত্রে সমস্যা উত্তোরণে সম্মিলিত প্রয়াস ছিল। মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে একটা দৃঢ় প্রত্যয় ছিল। অনাথ, পথ শিশু, বৃদ্ধ মা-বাবা, শীতার্ত ও ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে সাহায্য নিয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছি এটাই জীবনের বড় সাফল্য। চারপাশের বিত্তবানরা এমন মানুষদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসবে এমনটাই খুব বেশী প্রত্যাশা করি।বিশেষ করে প্রতিবন্ধী, দুস্থ, ছিন্নমূল মানুষদের; এদের নিয়েই  কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিবছরই এ সুবিধাবঞ্চিত সমাজটির প্রতি কিছু কাজ করার চেষ্টা করছি। সেটা নিজের সাধ্যানুযায়ী। এমনটাই সবসময় প্রত্যশা করি যাতে সুবিধাবঞ্চিত সমাজটির জন্য কিছু না কিছু সবসময় করতে পারি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল উনিও প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধিদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। যেহেতু উনার একটি সন্তান অটিস্টিক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এমন বিষয়টির উপর জোর দিচ্ছেন।

দেশের নির্দিষ্ট একটি সমাজ মাদকের মত ব্যাধিতে আক্রান্ত, এর বিরুদ্ধে আপনার আপনার সংগঠনের ভূমিকা বেশ চোখে পড়ার মত। এমন কিছুর বিরুদ্ধে সামাজিক অবস্থানটাকে কিভাবে দেখছেন?

মাদকের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানটা বেশ জোরালো। এ বিষয়ে সমসাময়িক সময়ে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আমাদের করনীয় শীর্ষক এর র‍্যালী, সমাবেশ এমন বিষয়গুলো ছিল। এখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেলাডেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট, সাবেক তথ্য সচিব, অতিরিক্ত অর্থ সচিব। এখানে আলোচনার বিশেষ অংশটাই ছিল মাদকের বিরুদ্ধে।এখানে মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে সাথে নিয়ে যারা সমাজ কর্মী, সাংস্কৃতিক সংগঠন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সহ সকলকে একাত্মতা হয়ে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি মনে করছি প্রত্যকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার মানুষিকতা তৈরি হলে এদের কিছুটা হলেও সাপোর্ট হবে। যা মাদকের মত বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে কিছুটা হলেও অবদান রাখবে। বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উনি জিরো ডট বাংলাদেশের উপর বেশ জোর দিচ্ছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, পুলিশের আইজি, র‍্যাবের ডিজিকে।

 সরকারের কোন বিষয়গুলোতে তত্ত্বাবধানের লেকিংস আছে বলে আপনি মনে করেন, যে বিষয়গুলোতে আরো জোরালো ভূমিকা রাখা উচিত?

লেকিংস আছে বলে মনে করছি না একদমই। মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভূমিকা বেশ জোরালো। এমন বিষয়ে সার্বক্ষণিক তৎপর রাষ্ট্রীয় প্রশাসন। এরপরও সচেতনতার দৃষ্টিটা রাষ্ট্রের পাশাপাশি পরিবারকেও রাখা উচিত বলে মনে করছি। এর বিরুদ্ধে অবস্থান অব্যাহত আছে। প্রতিদিনই প্রশাসন বিপুল পরিমান ইয়াবা, ফেনসিডিল সহ মাদকদ্রব্য অভিযান চালিয়ে জব্ধ করছে। সামগ্রিক একটা সচেতনতা এটি নির্মূলে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করি।

কি কৌশল আপনি সঙ্কট উত্তরণে হস্তক্ষেপ হিসেবে ব্যবহার করবেন?

অবশ্যই সচেতনতা। এমন বিষয়ে এটিই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছি।

সংগঠন পরিচালনায় কিছু প্রতিবন্ধকতার ব্যাপারে আপনার কাছে জানতে চাই?

কোন দায়িত্ব নেয়ার পর কাজ করতে গেলেই বুঝা যায় কাজ করার প্রতিবন্ধকতাগুলো ঠিক কেমন। সবসময় সব কাজ সময়মত করা সম্ভব হয় না। ঠিক সে সময়টাতেই তৈরি হয় জটিলতা। কোন কাজ হাতে নেয়ার পর হটাত অনেক সঙ্কটই সামনে চলে আসে। সে ক্ষেত্রে প্রত্যশিত সহযোগিতার বিষয়গুলো অনেক ক্ষেত্রেই খুঁজে পাওয়াটা কষ্টসাধ্য কিছু বিষয়। আবার অনেকেই আমাকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। নিজ পক্ষ হতে অর্থায়ন ও ছিল। ছিল নিজের কর্ম যঞ্জও। সব মিলিয়ে প্রতিবন্ধকতাগুলো উতরে গিয়েছি।

সামাজিক কর্মে এগিয়ে আসার প্রতি তরুণ সমাজের প্রতি আপনার পরামর্শ কি?

নতুন যে প্রজন্ম বেড়ে উঠছে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের একটি বিশেষ অংশ। এদের সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি জাগ্রত হওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রেই ওরা এগিয়ে আসবে। এমন দায়বদ্ধতার জায়গা তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের প্রবীনদেরও কাজ করতে হবে সঠিক্ মানুষিকতা নিয়ে। তরুন প্রজন্মের যোগ্যতাকর্ম-উদ্দীপনা দুটো ব্যাপারই প্রবল। এমন জায়গা থেকে তরুনদের কাছে প্রত্যাশাটাও খুব বেশি।

এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি, সামাজিক কর্মী এর চেয়ে বড় পরিচয় একজন সাংবাদিক। বহু দেশ ভ্রমন করেছেন। সে ব্যাপারে আপনার কাছে জানতে চাই?

সাংগঠনিক কার্যক্রমের জন্য ও মাদকমুক্ত যুব সমাজ গঠনে শুভেচ্ছা সাংস্কৃতিক ফোরাম প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে দেশ-বিদেশে বহু প্রশংসা ও সুনাম কুড়িয়েছে। সে ক্ষেত্রে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের হয়ে আমেরিকা, ইউরোপ ও মধ্য প্রাচ্যের বহু দেশ ভ্রমনের সুযোগ হয়েছে। সুযোগ হয়েছে বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক কর্মী, সমাজ সেবক, সামাজিক আন্দোলনের সাথে সংপৃক্ত বহু গুণীজনের সাথে মতবিনিময়ের। যা নিজের কাজের ক্ষেত্রে একটা বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

নারীর ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকারের ভূমিকা বিশ্বব্যাপী প্রশংসনীয়; সামাজিক কর্মী হিসেবে এমন সফলতাকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

বর্তমান সমাজে কোন নারী বেকার নেই। কর্ম ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা। এর পেছনের ভূমিকার পুরো গল্পটাই দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার। যার অবদান ও অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকের সমাজে নারীর এ অবস্থান। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই। আজ দেশে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বেড়েছে, নিজের অবস্থানের পরিবর্তন তারা ঘটিয়েছে। নারীরা কুটিরশিল্প সহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

 

সামাজিক কাজের ক্ষেত্রে যদি আগামী পাঁচ বছরের পরিকল্পনার কথা বলা হয়সে পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাই?

প্রথমত ইচ্ছে একটি বৃদ্ধাশ্রম, একটি মসজিদ ও একটি মাদ্রাসা করব। এটিই এখন আমার সবচেয়ে বড় পরিকল্পনা। একজন সাধারণ  মানুষ হিসেবে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই সাধারণ মানুষের মাঝে।

সর্বশেষ প্রশ্ন আপনার কাছে; সফল সংগঠক হিসেবে আপনার সফলতা কি কি?

স্বপ্রণোদিত হয়ে সমাজ সেবার লক্ষ্য হতে দাঁড় করানোর পর আমার অনেক সহকর্মী আমাকে বলতেন, আমরাও সামাজিক দায়বদ্ধতা হতে আপনার সাথে কাজ করতে চাই। অন্য সহকর্মীরা এতে আমাকে দেখে যে অনুপ্রেরণা ও আস্থা পান একজন সমাজ সেবক হিসেবে এটাই আমার সফলতা। অন্যরাও এগিয়ে আসবে এটাই সবসময় প্রত্যাশা করতাম।