মিহিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের ভিতরে ঘনবসতি এলাকায় প্রকাশ্যে অবৈধ মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। ঘনবসতি এলাকায় বালু উত্তোলণের ফলে হুমকির মুখে পড়তে পারে ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ তেল পাম্প পার্শ্ববর্তী কৃষি জমি ও ঝাউডাঙ্গা গ্রামে বাসিন্দারা।ওই গ্রামের উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, পলাশ ঘোষ সহ একাধিক ব্যক্তি জানান,ঝাউডাঙ্গা গ্রামের মাঠে তিন থেকে চার দিন প্রকাশ্যে চলছে অবৈধ মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন। কলারোয়া এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী মিজানুর রহমান কয়েক বছর আগে এই এলাকায় ১০/১২ বিঘা কৃষি জমি ক্রয় করে মাছের ঘের তৈরি করে মাছ চাষ করে আসছিল। হঠাৎ সেই ঘের থেকে বালু উত্তোলন করে ভরাট করছে। প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে তারা ইচ্ছামত বালু উত্তোলন করছে।এর কারণে হুমকির মুখে পড়েছে পার্শবর্তী ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ তেল পাম্প ফসলি জমি ও গ্রামের বাসিন্দারা।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাতের বেলাই বালু উত্তোলন করে দিনে মেশিন রেখে চলে গেছে কর্মচারীরা। ম্যানেজার ওবাইদুল্যাহ সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের এই জায়গা সংস্কার ও ভরাটের জন্য বালু উত্তোলণ করা হচ্ছে। ঘনবসতি এলাকায় বালু উত্তোলণে প্রশাসনের কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে মহাজনের সাথে কথা বলতে বলেন। এলাকার কৃষকরা জানান, এখানে বালু উত্তোলনের ফলে আমাদের ফসলি ও কৃষি জমি হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে।বালু উত্তোলণ করতে নিষেধ করলেও তারা শুনছে না।
এ বিষয়ে ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান জানান, মাঠের ভিতরে বালু উত্তোলণের কথা লোক মুখে শুনেছি। ওখান থেকে বালু উত্তোলণ হলে ভবিষ্যৎতে আমাদের কলেজটি হুমকির মুখে পড়তে পারে।অবৈধ বালু উত্তোলণ বন্দের জন্য তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে এলাকাবাসী বিষয়টি স্হানীয় ভূমি অফিসে জানালে ভূমি অফিস থেকে ফোন দিয়েছেন কিন্তু কোন কাজ হয়নি বলে জানিয়েছেন। এব্যাপারে অবৈধ বালু উত্তোলণ বন্ধে প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।