মোঃ ইব্রাহিম মিয়া
সদর প্রতিনিধি ঝিনাইদহ।
ঝিনাইদহ পৌরসভা কর্তৃক ঝিনাইদহের বিআরটিএ সার্কেল অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে প্রতি পরিক্ষার বোর্ডে জনপ্রতি অতিরিক্ত একশত টাকা নেওয়া হচ্ছে। জানা যায় ঝিনাইদহের ট্রাফিক অফিসের অধীনে চার জন কমিউনিটি পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যাদের কাজ শহরের বিভিন্ন সড়কে দ্বায়িত্ব পালন করা,১! মো: ফতেহ আলী, ২! বাকের আলী,৩! মো: সামসুল আলম। ৪! মো: মিজানুর রহমান, যাদের প্রত্যেকের মাসিক মোট বেতন ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার করে অর্থাৎ চার জন কমিউনিটি পুলিশের বেতন (২০) বিশ হাজার টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই চার জনের বেতনের টাকা নেওয়া হচ্ছে ঝিনাইদহের বিআরটিএ সার্কেল অফিসে যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসেন তাদের কাছ থেকে, ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফিঙ্গার দেবার লাইনে দাড়াবার প্রত্যেকের কাছে একটি পৌরসভার বিবিধ রশিদের মাধ্যমে(১০০) একশত টাকা করে নেওয়া হচ্ছে, যার কারনে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
জনগণের অভিযোগ সাপেক্ষে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে জানা যায় প্রতি মাসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা দিতে আসা সেবা প্রার্থীদের কাছ থেকে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা আদায় করা হচ্ছে।আর এই চার জন কমিউনিটি পুলিশের (২০) বিশ হাজার টাকা বেতন বাদ দিলেও প্রায় এক লক্ষ টাকা প্রতিমাসে ও প্রতিবছরে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা জনগণের কাছ থেকে জোরপূর্বক করে নেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে সেবা প্রার্থীদের সাথে কথা হলে লাইনে দাড়িয়ে থাকা মো: তানভির, মো: সুমন, মোহন কুমার দাস, ও উপস্থিত প্রায় সকলেই জানান আমাদের কাছ থেকে পৌরসভার বিবিধ খরচের রশিদ ধরিয়ে একশত করে টাকা নিচ্ছে আমাদের উপরে জুলুম করা হচ্ছে, সারা বাংলাদেশের কোথাও এই ধরনের টাকা নেওয়া হয় না বা নিয়মও দেখিনি।
এবিষয়ে ঝিনাইদহের বিআরটিএ সার্লেক এর মোটরযান পরিদর্শক(ইন্সপেক্টর) এস এম সবুজের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার জানা মতে দেশে অন্য কোথাও এরকম ভাবে পৌরসভার টাকা বিআরটিএ মাধ্যম থেকে নেওয়া হয় না। কিন্তু ঝিনাইদহের পৌরসভা চার জন কমিউনিটি পুলিশের বেতনের জন্যে এই টাকা নিচ্ছেন। কিন্তু অতিরিক্ত টাকা পৌরসভার কতৃপক্ষ কি করেন আমি বলতে পারবো না। এবিষয়ে কথা হয় ঝিনাইদহের বিআরটিএ সার্কেলের সহকারী পরিচালক আতিয়ার রহমানের সাথে, তিনি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এবিষয়ে আরো জানতে কথা হয়,ঝিনাইদহের (টি,আই এডমিন) ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো: মোরশেদ আলম এর সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান,আমাদের অধিনে মোট চারজন কমিউনিটি পুলিশ নিয়োজিত রয়েছেন,যার মধ্যে তিন জন শহরে বিভিন্ন স্থানে নিয়োজিত রয়েছেন আর একজন রয়েছেন বিআর টি অফিসে,তাদের বেতন দেবার দ্বায়িত্ব পৌরসভার উপরে,কিন্তু পৌরসভার কর্তৃপক্ষ সেই টাকার বিষয়ে সর্বশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় মেয়র মহোদয় এই বিষয়ে বলেছেন আমরা বিআরটিএ থেকে এই চারজনের বেতনের আশানুরূপ টাকা তুলেতে পারি না,তাই পৌরসভার ফান্ড থেকেই তাদের বেতন দিতে হয়। এটুকুই আমর জানা,এছাড়া আমি আর কিছুই জানি না।
এই বিষয়ে কথা বলতে ঝিনাইদহের পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার হিজল এর মোবাইল ফোনে ফোন করা হলে ফোন রিসিভ করেন মেয়রের প্রধান সহকারী(১) এরশাদ তিনি বলেন মেয়র সাহেব ঢাকায় রয়েছেন।
জেলার সকল সেবা প্রার্থীরা জানান,কমিউনিটি পুলিশের বেতনের টাকা এভাবে নিতে হলে জনপ্রতি সর্বোচ্চ দশটাকা করে নিলেও অতিরিক্ত হয়ে যায় সেখানে একশত টাকা করে নেওয়া মানে জনগনের উপরে নির্যাতন করা। আমরা ঝিনাইদহের মান্যবর জেলা প্রশাসক মহাদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।