খুলনার প্রতিটা রাস্তাতেই ট্রাফিক বিভাগে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। প্রতিটি মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার,ট্রাক এবং অন্যান্য যানবাহনের রুট পারমিট, যানবাহনের ফিটনেস এবং অন্যান্য কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যদি কোন গাড়ির কাগজপত্র মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে থাকে বা যানবাহনের ফিটনেস সঠিক না থাকে তবে সে সকল গাড়িকে দেওয়া হচ্ছে মামলা আর সাথে জরিমানা।
কেএমপি ট্রাফিক বিভাগের ডিসি মনিরা সুলতানার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ট্রাফিক বিভাগের কয়েকটি চৌকস টিম এ সকল অভিযান পরিচালনা করছে।
গতকাল খুলনা সদর থানার সামনে কথা হয় একজন ট্রাফিক বিভাগের টি আই সালাউদ্দিন সাহেবের সঙ্গে। তিনি জানান, বর্তমান খুলনা ট্রাফিক বিভাগের ডিসি মহোদয়ের আদেশের কারণে প্রতিটি যানবাহনের সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এর মধ্যে যে সকল যানবাহনের কাগজপত্রে ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা যাচ্ছে তাদেরকে জরিমানা সহকারে গাড়ি আটক এর মত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
এছাড়া অভিযান পরিচালনার সময় খুলনা সদর থানার সামনে ট্রাফিক সার্জেন্ট মোঃ মাসুদ রানা, ট্রাফিক সার্জেন্ট মোঃ তরিকুল ইসলাম, এটিএসআই মোঃ মিন্টু রহমানের সহ আরো কয়েকজন কনস্টেবল উক্ত অভিযান পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেন। উক্ত অভিযানে তারা পাঁচটি মোটরসাইকেল আরোহী কে কাগজপত্র বিহীন থাকায় উক্ত মোটরসাইকেল গুলোকে আটক করা হয়, বেশ কিছু মোটরসাইকেলকে মামলা দিয়ে কাগজপত্র আটকে রাখা হয়।
তিনি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এ ধরনের অভিযান সবসময়ের জন্য পরিচালিত থাকবে।
শুধুমাত্র খুলনা ট্রাফিক বিভাগের ডিসির নির্দেশ, যেই হোক না কেন অবৈধ কোন যানবাহনকে ছাড় দেয়া হবে না।
খুলনা ট্রাফিক বিভাগের ডিসির এই নির্দেশেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এ ধরনের অভিযান সবসময়ের জন্যই চলমান থাকবে।