ঢাকা ০১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে ডিসি অফিস সামনে পঁচাধান নিয়ে অবস্থান

মিহিরুজ্জামান জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা

 

সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে পঁচাধান নিয়ে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগী প্রান্তিক চাষীরা।বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মাহমুদুর রহমান কৃষকদের এধরনের ক্ষতিতে দু:খ প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয় অবগত হয়েছেন। দ্রুত সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক সুষ্ঠ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ^স্ত করেন।অবস্থান কর্মসূচিতে তিন গ্রামের পক্ষে পক্ষে বক্তব্য রাখেন, কলারোয়া পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সেচ কমিটির সভাপতি আরিজুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, নুর ইসলাম, রতœা খাতুন প্রমুখ।এসময় তারা বলেন, আমরা সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার মুরারীকাটি, কুমারনল ও কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করি। বিগত ২১ বছর যাবত আমাদের বিলটি জলাবদ্ধতা থাকায় আমরা অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটায়। এ পরিস্থিতিতে তিন গ্রামের সমন্বয়ে ধান চাষের জন্য একটি সেচ কমিটি গঠন করি। সেই কমিটির মাধ্যমে বিদ্যুতের শক্তিশালী মিটার ও পাম্প স্থাপন করে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে পানি নিস্কাশন করে ধান চাষের উপযোগী করা হয়। চলতি মৌসুসে আড়াই হাজার বিঘা জমি স্ব-স্ব কৃষক ধান করি। যা শীষ বরনীয় অবস্থায়।এদিকে পূর্বের জলাবদ্ধতার কারণে কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু জবর দখল করে একটি মৎস্য ঘের করে। সেচের কারণে তার ঘেরের পানি শুকিয়ে যায়। স¤প্রতি বর্ষার কারণে পানি জমে ধানের ক্ষতি হতে পারে ভেবে উজানের একটি কালভার্টের মুখ আটকিয়ে দেওয়া হয় এবং পাশ্ববর্তী সরকারি চাঁন মলি­কের খাল দিয়ে পানি বেতনানদীতে নামানোর জন্য একটি শক্তিশালী পাম্পের ব্যবস্থা করি। কিন্তু চেয়ারম্যান লাল্টু তার অবৈধ মৎস্যঘের রক্ষার ঘেরে পানি ঢোকানোর জন্য খালের মুখ বন্ধ করে কালভাটের মুখটি খুলে দিয়ে আড়াই হাজার বিঘা ধানী ফোলন্ত জমিতে পানি প্রবাহিত কর। ফলে সেখানে সমস্ত ধান পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২ হাজার প্রান্তিক কৃষক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পথে বসেছে অনেকেই। পরিকল্পিতভাবে একক স্বার্থে ২ হাজার কৃষকের পেটে লাথি মেরেছে। আমরা অবিলম্বে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

পরে দ্রুত জলাবদ্ধতার নিরসনের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন করা হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে ডিসি অফিস সামনে পঁচাধান নিয়ে অবস্থান

আপডেট টাইম : ০১:৪৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অগাস্ট ২০২১

মিহিরুজ্জামান জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা

 

সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে পঁচাধান নিয়ে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগী প্রান্তিক চাষীরা।বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মাহমুদুর রহমান কৃষকদের এধরনের ক্ষতিতে দু:খ প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয় অবগত হয়েছেন। দ্রুত সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক সুষ্ঠ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ^স্ত করেন।অবস্থান কর্মসূচিতে তিন গ্রামের পক্ষে পক্ষে বক্তব্য রাখেন, কলারোয়া পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সেচ কমিটির সভাপতি আরিজুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, নুর ইসলাম, রতœা খাতুন প্রমুখ।এসময় তারা বলেন, আমরা সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার মুরারীকাটি, কুমারনল ও কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করি। বিগত ২১ বছর যাবত আমাদের বিলটি জলাবদ্ধতা থাকায় আমরা অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটায়। এ পরিস্থিতিতে তিন গ্রামের সমন্বয়ে ধান চাষের জন্য একটি সেচ কমিটি গঠন করি। সেই কমিটির মাধ্যমে বিদ্যুতের শক্তিশালী মিটার ও পাম্প স্থাপন করে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে পানি নিস্কাশন করে ধান চাষের উপযোগী করা হয়। চলতি মৌসুসে আড়াই হাজার বিঘা জমি স্ব-স্ব কৃষক ধান করি। যা শীষ বরনীয় অবস্থায়।এদিকে পূর্বের জলাবদ্ধতার কারণে কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু জবর দখল করে একটি মৎস্য ঘের করে। সেচের কারণে তার ঘেরের পানি শুকিয়ে যায়। স¤প্রতি বর্ষার কারণে পানি জমে ধানের ক্ষতি হতে পারে ভেবে উজানের একটি কালভার্টের মুখ আটকিয়ে দেওয়া হয় এবং পাশ্ববর্তী সরকারি চাঁন মলি­কের খাল দিয়ে পানি বেতনানদীতে নামানোর জন্য একটি শক্তিশালী পাম্পের ব্যবস্থা করি। কিন্তু চেয়ারম্যান লাল্টু তার অবৈধ মৎস্যঘের রক্ষার ঘেরে পানি ঢোকানোর জন্য খালের মুখ বন্ধ করে কালভাটের মুখটি খুলে দিয়ে আড়াই হাজার বিঘা ধানী ফোলন্ত জমিতে পানি প্রবাহিত কর। ফলে সেখানে সমস্ত ধান পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২ হাজার প্রান্তিক কৃষক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পথে বসেছে অনেকেই। পরিকল্পিতভাবে একক স্বার্থে ২ হাজার কৃষকের পেটে লাথি মেরেছে। আমরা অবিলম্বে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

পরে দ্রুত জলাবদ্ধতার নিরসনের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন করা হয়।