মিহিরুজ্জামান ,সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একটি মাদ্রাসায় ৪জন শিক্ষক থাকলেও একজন শিক্ষার্থীও নেই। এমনকি ওই মাদ্রাসায় কোন ভবনও নেই। শিক্ষকদের নামের তালিকা রয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে। গত ২০১৮ সাল থেকে ওই মাদ্রাসাটি বন্ধ থাকলেও নিয়মিতভাবে শিক্ষকরা সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার পৌর সদরের মুরারীকাটি গ্রামের স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। বর্তমানে ওই মাদ্রাসাটির সভাপতি হলেন-কলারোয়া পৌরসভার কাউন্সিলর শেখ ইমাদুল ইসলাম। তিনি জানান, মাদ্রাসাটির সভাপতি এক সময়ে ছিলেন কিন্তু ওই মাদ্ররাসার প্রধান শিক্ষক ভাল লোক না। সে কারণে তার সাথে প্রায় সময় কথাকাটি হতো। গোপনে প্রধান শিক্ষক তাকে বাদ দিয়ে এডহক কমিটি করেন। সেই কমিটির সভাপতি হলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তিনি আরও বলেন-মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ইমান আলী, সহকারী জেনারেল শিক্ষক রেশমি সুলতানা, এবতেদায়ী ক্বারী আসলাম হোসেন, মৌলভী শিক্ষক নাছিরউল্লাহ’র নাম রয়েছে। বাস্তবে কোন মাদ্রাসার ভবন নেই, একজন শিক্ষার্থীও নেই। অনলাইনের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে প্রধান শিক্ষক ২৫০০ আর সহকারী শিক্ষক ২৩০০ টাকা করে সম্মানির ভাতা তুলছেন। প্রধান শিক্ষক ইমান আলী এবিষয়ে বলেন, তিনি ১৯৯৪ সালে ওই মাদ্রাসায় যোগদান করেন। আর সেই থেকে ওই মাদ্রাসায় আছেন। তিনি দীর্ঘ দিন চাকরি করার পরে ২০০৭ সাল থেকে সর্ব প্রথম ডিজি থেকে ৫০০ টাকা হারে সম্মানি পেতেন। এর পরে-৭০০, ১০০০, ১২০০, সর্বশেষ ২৫০০ করে সম্মানি ভাতা পাচ্ছেন। আর সহকারি পাচ্ছেন ২৩০০ টাকা করে। এছাড়া তিনি বলেন, ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে করোনা আসায় ওই মাদ্রাসা বন্ধ রাখা হয়। যেখানে মাদ্রাসা ভবণ ছিলো সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদা ওই ভবণটি তৈরী করছেন। সেখানে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা ও এতিমখানা করা হবে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে সেই থেকে ক্লাস করার জন্য জামে মসজিদের গায়ে একটি চালা ঘর করেছি। ওই ঘরটি আম্পান ঝড়ে ভেঙে গেছে বলে তিনি দাবী করেন।