মো: রেজাউল ইসলাম, রামপাল (বাগেরহাট)
আষাড় মাস শেষ সামনে শ্রাবন ও ভাদ্রমাস আশানুরুপ বৃষ্টি না হওয়ার কারনে এখন আমন ধানের বীজতলা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না এতে করে চিন্তিত হয়ে পড়েছে আমন চাষিরা। চাষিরা জানায় অন্যন্য বছর আষাড়ের শেষ সময় আমনের বীজতলা তৈরির কাজ সম্পন্য হয়ে যায় এবং বীজতলা রোপনের প্রস্তুতির কাজও এগিয়ে যায়। উপজেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে যানা যায় জুন মাসে বৃষ্টির পরিমান বেশি না হওয়ার করনে এমতঅবস্থায় বীজতলা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে গত বছর বৃষ্টির পরিমান স্বাভাবিক থাকার কারনে প্রতান্ত অঞ্চলের কিছু কিছু জায়গায় বীজতলা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এবার বৃষ্টির পরিমান কম হওয়ায় কৃষকরা চিন্তিত। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আমন চাষিদের নিকট থেকে যানা যায় পানির অভাবে আমনের বীজতলা তৈরি করা সম্ভাব হচ্ছে না। মনে হচ্ছে এটা যেন বর্ষাকাল নয়। কারন চাষিরা বলেন, জলবায়ু পরির্বতনের কারনে বৃষ্টি কম হওয়ায় আমন চাষ ব্যহত হচ্ছে। সঠিক সময় বর্ষা না হওয়ার কারনে ফলনে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে মনে হচ্ছে। খুলনা বিভাগের দক্ষিন অঞ্চলে রামপাল মংলার প্রধান ফসল আমন ধান যাকে ঘিরে কৃষকরা অনেক স্বপ্ন দেখে থাকেন। সে স্বপ্ন হারিয়ে যেতে বসেছে। এব্যপারে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে যানা যায় গত বছরের আমনের ফলন লক্ষ মাত্রার চেয়ে এবার আমনের ফলন লক্ষ মাত্রা অর্ধেকের ও কমে নেমে আসার আশাংকা প্রকাশ করছেন। কারন বর্ষার অভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকয় আমনের বীজতলা তৈরি করার চিন্তাও করেন নাই অনেক কৃষকরা। আরও বলেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের রিকর্ডিও খাল গুলি খনন করে বর্ষার পানি ধরে রাখার মত ব্যবস্থা থাকলে হয়ত কৃষকরা তাদের কৃষি কাজে বর্ষার পানি ইচ্ছা মত ব্যবহার করে সময় মত আমন ধানের বীজতলা তৈরি ও রোপন করে ফসল ফলাতে পারতেন বলে মনে করেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসরন অধিদপ্তর থেকে যানায় ঠিক মত বর্ষার পানি দিয়ে বীজতলা তৈরি ও রোপনের উপযুগি করে ফসল ফলাতে পারলে কৃষকদের মনে হাসি ফোটানো সম্ভব।