ঢাকা ১২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

বাংলা নববর্ষ ও রমজান উপলক্ষে কলাপাড়ায় নেই কোন উৎসব লকডাউনের কারণে নেই কোন আমেজ

মোঃ মাসুম খন্দকার কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি :
বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে এবং পহেলা রমজান উপলক্ষে কলাপাড়ার মার্কেটগুলো জনমানব শূন্য। সড়ক-মহাসড়কগুলো রয়েছে গাড়ি শূন্য একদম ফাঁকা। বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ সনের পহেলা বৈশাখ হলেও নেই কোন বর্ষবরনের আনুষ্ঠানিকতা। মানুষের মধ্যে নেই কোন উৎসবের আমেজ।
১৪ ই এপ্রিল বুধবার কলাপড়ার নতুন বাজার স্বর্নকার পট্রি, কাপড়িয়াপট্রি, কুমারপট্রি, ফলপট্রি, সহ ব্যাস্ততম সড়ক ও মার্কেট গুলো সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের কারনে ও পহেলা রমজান উপলক্ষে একেবারে জনমানব শুন্য কোলাহল বিবর্জিত। সড়কও মহাসড়কে ছোট-বড় কোন ধরনের গাড়ি চলছে না। দুই, একটা ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল এবং অটো রিক্সায় যাত্রী নিয়ে বের হলেও পুলিশি বাধার মুখে পরতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট কারণ বলতে না পারলে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে রিকশা, অটো মোটরসাইকেল থেকে। শেষ পর্যন্ত পায়ে হেটে চলতে হচ্ছে অনেক’কে।
তবে মোটামুটি সকলের মধ্যে লকডাউন ও স্বাস্থ্য বিধি মানার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।অধিকাংশ মানুষই মুখে মাস্ক পরিধান করছেন।প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবারই মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে অযথা বাইরে ঘোরাফেরা করবেন না। তবে অনেকের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বেশিরভাগ খেটে খাওয়া মানুষ গুলি লকডাউন মানতে নারাজ, তাদের ভাষ্য পেটে ভাত না থাকলে লকডাউন দিয়ে কি হবে। এনজিওর কিস্তি বন্ধ হচ্ছে না, সরকার পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে না এভাবে চলতে থাকলে তাদের না খেয়ে মরতে হবে। তাদের অনেকের মতামত করোনায় মরবো কখন তার আগে তো না খেয়ে মারা যাবো। অন্যদিকে ব্যবসায়ী মহল রয়েছে চিন্তিত অবস্থায় গত বছরের লাগাতার লকডাউন এর কারণে তারা রমজানে ভালোভাবে বেচা বিক্রি করতে পারেনি এবারও সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাই ব্যবসায়ীরা শংকিত রয়েছেন আদৌ তারা এবারের রমজানে উম্মুক্ত ভাবে বেচাকেনা করতে পারবে কিনা।
কলাপাড়া প্রবেশ অভিমুখে শেখ কামাল সেতুর দক্ষিণপাড় টোল প্লাজা এবং উত্তর পাড় পৌর শহরের প্রবেশ মুখে পুলিশ টহলরত অবস্থায় রয়েছে। যাতে অযথা কেউ শহরে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য এই ব্যবস্থা তারা জানিয়েছে। তবে তারা বলেছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাষন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

বাংলা নববর্ষ ও রমজান উপলক্ষে কলাপাড়ায় নেই কোন উৎসব লকডাউনের কারণে নেই কোন আমেজ

আপডেট টাইম : ০৮:২৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১

মোঃ মাসুম খন্দকার কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি :
বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে এবং পহেলা রমজান উপলক্ষে কলাপাড়ার মার্কেটগুলো জনমানব শূন্য। সড়ক-মহাসড়কগুলো রয়েছে গাড়ি শূন্য একদম ফাঁকা। বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ সনের পহেলা বৈশাখ হলেও নেই কোন বর্ষবরনের আনুষ্ঠানিকতা। মানুষের মধ্যে নেই কোন উৎসবের আমেজ।
১৪ ই এপ্রিল বুধবার কলাপড়ার নতুন বাজার স্বর্নকার পট্রি, কাপড়িয়াপট্রি, কুমারপট্রি, ফলপট্রি, সহ ব্যাস্ততম সড়ক ও মার্কেট গুলো সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের কারনে ও পহেলা রমজান উপলক্ষে একেবারে জনমানব শুন্য কোলাহল বিবর্জিত। সড়কও মহাসড়কে ছোট-বড় কোন ধরনের গাড়ি চলছে না। দুই, একটা ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল এবং অটো রিক্সায় যাত্রী নিয়ে বের হলেও পুলিশি বাধার মুখে পরতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট কারণ বলতে না পারলে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে রিকশা, অটো মোটরসাইকেল থেকে। শেষ পর্যন্ত পায়ে হেটে চলতে হচ্ছে অনেক’কে।
তবে মোটামুটি সকলের মধ্যে লকডাউন ও স্বাস্থ্য বিধি মানার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।অধিকাংশ মানুষই মুখে মাস্ক পরিধান করছেন।প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবারই মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে অযথা বাইরে ঘোরাফেরা করবেন না। তবে অনেকের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বেশিরভাগ খেটে খাওয়া মানুষ গুলি লকডাউন মানতে নারাজ, তাদের ভাষ্য পেটে ভাত না থাকলে লকডাউন দিয়ে কি হবে। এনজিওর কিস্তি বন্ধ হচ্ছে না, সরকার পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে না এভাবে চলতে থাকলে তাদের না খেয়ে মরতে হবে। তাদের অনেকের মতামত করোনায় মরবো কখন তার আগে তো না খেয়ে মারা যাবো। অন্যদিকে ব্যবসায়ী মহল রয়েছে চিন্তিত অবস্থায় গত বছরের লাগাতার লকডাউন এর কারণে তারা রমজানে ভালোভাবে বেচা বিক্রি করতে পারেনি এবারও সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাই ব্যবসায়ীরা শংকিত রয়েছেন আদৌ তারা এবারের রমজানে উম্মুক্ত ভাবে বেচাকেনা করতে পারবে কিনা।
কলাপাড়া প্রবেশ অভিমুখে শেখ কামাল সেতুর দক্ষিণপাড় টোল প্লাজা এবং উত্তর পাড় পৌর শহরের প্রবেশ মুখে পুলিশ টহলরত অবস্থায় রয়েছে। যাতে অযথা কেউ শহরে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য এই ব্যবস্থা তারা জানিয়েছে। তবে তারা বলেছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাষন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।