নুরে আলম জিকু,শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বৈশাখী পাড়া গ্রামের মায়া বেগম নামে এক গৃহ বধূকে মারধর ও হারপিক খাইয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগটি উঠেছে গৃহবধূ মায়া বেগমের স্বামী মোঃ আলম ছৈয়াল,এবং গৃহবধূর দুই ননদ লাখি বেগম,ঝুমুর বেগম ও দুই ননদ জামাই দেলোয়ার হোসেন,রাসেদ তালুকদার এর বিরুদ্ধে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে মুমূর্ষু গৃহবধূকে দেখতে গিয়ে জানা যায়,গত শুক্রবার বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৃহবধূ মায়া বেগম কে তার স্বামী মোঃ আলম ছৈয়াল এবং তার দুই ননদ ও তাদের স্বামী মায়া বেগম কে বেধর মারধর করে বলে অভিযোগ করেছেন মায়া বেগম।তিনি আরো বলেন,তার স্বামী মোঃ আলম ছৈয়াল প্রায়ই তাকে মারধর করে,কিন্তু তার দুটি ছেলে সন্তানের দিকে তাকিয়ে তিনি নিরবে সবকিছু সহ্য করে যেতেন।কিন্তু এবার তাকে একেবারে মেরে ফেলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল তার স্বামী ও ননদ এবং ননদ জামাইরা।মায়া বেগম নামে ঐ গৃহবধূ মুমূর্ষু অবস্থায় কোন রকম ভাবে বলেন,আমি তাদের কাছে অনেক বার মাফ চাইছি তাতেও যখন তারা আমাকে পিটানো থামায়নি তখন বাচার জন্য আমি টয়লেটের ভিতরে ঢুকি প্রাণ বাঁচানোর জন্য।কিন্তু তাতেও আমাকে তারা ছাড়েনি,সেখানে গিয়েও আমাকে তারা সবাই মিলে জোর পূর্বক টয়লেটে দেওয়ার হারপিক খাইয়ে মেরে ফেলার জন্য আমার মুখের ভিতর ঢালে,এরপর আমি আর কিছু বলতে পারি না,কারা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করছে আমি জানিনা।এ ব্যাপারে গৃহবধূর বড় ছেলে মারুফ সাংবাদিকদের জানান,আমার বাবা এবং ফুফু আঙ্কেলরা মিলে আমার মাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।
এ ছাড়াও বাবা, মাকে প্রায়ই মারে এর সঠিক সমাধান আমি চাই।এদিকে গৃহবধূ মায়া বেগমের স্বামী মোঃ আলম ছৈয়ালের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি স্বীকার করেন যে তার স্ত্রী কে তিনি মারধর করেছেন তবে তার বোন এবং তাদের জামাইরা এরসাথে জড়িত নন,এবং হারপিক তার স্ত্রী নিজে জোর করে খেয়ে ফেলে তাকে বাচাতে দ্রুত তিনি নিজে স্ত্রী কে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় থানায় কোন অভিযোগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে মায়া বেগম বলেন,এখনো করিনি তবে আমি থানায় অভিযোগ করবো।আমি এতিম আমার বাবা মা কেউ নেই তারা থাকলে আজকে আমার এ অবস্থা হতো না,আমি এর সঠিক বিচার দাবি করি আপনাদের কাছে।