নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
মতলব দক্ষিণ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দগরপুর গ্রামে আইয়ূব আলী পাঠানের বড় ছেলে সিএনজি চালক ইয়াছিন পাঠান মাদক বিক্রি না করার কারণে গত ৯ জুন বুধবার সন্ধ্যার দিকে দগর বাজারে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে।
সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, ইয়াছিন পাঠান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সিএনজি চালাই মাদক ব্যবসায়ী ডালিম আমাকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে মাদক বিক্রি করার জন্য প্রতিনিয়ত আমায় জোরপূর্বক সেবন করায় ওই সময় ভিডিও রেকর্ড করে রাখে। পরবর্তিতে এলাকার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মানুষের কাছে মাদক সরবরাহ করার জন্য আমাকে বলে। আর ওই মাদক সরবরাহ করার জন্য রাজি না হলে ওই খাওয়ানো ভিডিও দেখিয়ে আমাকে মাদক সরবরাহ করতে বাধ্য করে। পরে আমারই এলাকার দুর সম্পর্কে মামা সাংবাদিক তপছিল হাছান এ বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি বলেছেন, তুমি এলাকা থেকে দূরে চলে যাও। তাই আমি সর্বদিক বিবেচনা করে আমার নিজ এলাকা ছেড়ে ২ মাস ধরে আমার শ্বশুরের এলাকা নারায়নপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে ফ্যামিলিসহ জীবন জাপন করছি। পরবতীর্তে গত ০৯ জুন সন্ধ্যা ৭ টার সময় আমার চালিত মিসুক অটো রিক্সায় যাত্রী নিয়ে মতলবের উদ্দেশ্য আসার সময় আমাকে দগরপুর বাজার সংলগ্নে রিক্সা থামিয়ে বলেন, আগামী কাল থেকে তুই এলাকার মধ্যে মাদক সরবরাহ করবি। আর যদি না করছ তাহলে তোকে মাদক দিয়ে ডিবি পুলিশের হাতে তুলে দিব। আমি অস্বীকার করলে রিক্সা থেকে নামিয়ে ১। একাদিক মাদক মামলার আসামী ডালিম পাঠান, ২। সুজন পাঠান, ৩। দিলু পাঠান তারা তিনজন মিলে আমাকে এলোপাতালি মারধর করে ফলে আমার দাঁত ভেঙ্গে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে নীলা জখম করে এবং সারা দিনের রোজগার করা আমার বুক পকেট থাকা ১,৮৩৫/—(এক হাজার আটশত পয়ত্রিশ) টাকা জোর করে নিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ী ১নং বিবাদী ডলিম পাঠান। ১নং বিবাদী ডালিম পাঠানের কারনে আমার নিজের বসত ঘর বিক্রি করিতে হয়েছে। কিছু দিন পূর্বে চাঁদপুর ডিবি পুলিশের হাতে আটক হন অন্য এক ব্যক্তি। সেই লোককে টাকা দিয়ে ডিবির হাত থেকে রাখতে যেই টাকা খরচ হয় সেই টাকা আমার দিতে হয়েছে। ডালিম পাঠান বলেন আমি নাকি তাহাকে ডিবি’র হাতে তুলে দিয়েছি। কিন্তু আমি এ বিষয়ে কিছুই জানতাম না। ডালিমের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ট। তারা যুবসমাজের হাতে তুলে দিচ্ছে ইয়াবা ও গাজা নামক মাদক সেবন করার জন্য প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষন দিচ্ছে। যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
এ বিষয়ে ডালিম পাঠান কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য মোবাইল মুঠো ফোনে কয়েকবার চেষ্টা করার পরও তাকে পাওয়া যায়নি ।
এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, একটি আবেদন পত্র পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেন জানান।
Attachments area