ঢাকা ০২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

যে কারণে রোজায় আপেল খাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক :  গোলাকার দেখতে মিষ্টি ফলটির নাম আপেল। ইফতারের প্লেটে খেজুরের পাশাপাশি কয়েক টুকরো আপেল না হলে মানায় না যেন। রোজায় আপেল খেলে মেলে নানা উপকারিতা। এটি বেশ পুষ্টিকর একটি ফল। সহজে ক্ষুধা কমিয়ে দেয় আপেল। অন্য ভাজাপোড়া বা মিষ্টি খাবার খাওয়ার থেকে আপেল খেয়ে ক্ষুধা মেটানো শরীরের জন্য অনেক উপকারি। কারণ আপেলে থাকে ৭০-১০০ ক্যালরি আছে।

আপেলে সাধারণত থাকে ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি। আপেলে পানি থাকে। যা মানবদেহে পানির অভাব দূর করে। আপেলে আছে ফ্ল্যাভানয়েড যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সবুজ, সোনালি, লাল, যেকোনো রকম আপেল থেকেই এইসব পুষ্টিকর উপাদানসমূহ পাওয়া যেতে পারে।

প্রতিদিন একটি থেকে দুইটি আপেল খেলে হার্টের সমস্যা কমে। গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে যে, দিনে একটি আপেল খেলে রক্তের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেসটরেল কমে। হার্টের অসুখ থেকে রক্ষা করে এবং ফুসফুস কে রক্ষা করে আপেল।

আপেল রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ফলে ডায়বেটিস হওয়া থেকে রক্ষা করে শরীরকে। বিভিন্ন রকম ক্যান্সার হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে আপেল। এতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা হজমের জন্য ভালো। তাই বাওয়েল পরিষ্কার রাখে কোলন ক্যান্সার হতে দেয় না। আপেল লিভার ও গলব্লাডার পরিষ্কার রাখে।

আপেল শরীরের ওজন কমায় ও তা নিয়ন্ত্রণ করে থেকে। এতে অন্যান্য ফলের তুলনায় প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। আপেল পেশী টনিক, মূত্রবর্ধক, জোলাপ, অ্যান্টিডাইয়েডরিল, ও হজমকারক।

অন্যান্য ফলের মত আপেল রক্তে চিনির মাত্র বাড়িয়ে দেয় না। ফলে ডাইয়াবেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে পরিমানমত আপেল খেতে পারেন।

আপেলে পেকটিন নামক ফাইবার থাকে যা সহজে তরলে মিশে যায়। এই ফাইবার অন্ত্র নালিতে কোলেসটরেল জমতে দেয় না। শরীর থেকে কোলেসটরেল খরচ করে কমাতে শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।

আপেলের প্রচুর পানি থাকে। আপেল পানির অভাব দূর করে শরীরের। তৃষ্ণা মেটায় ও শরীর ঠান্ডা করে আপেল। জ্বর হলে তা কমাতে সাহায্য করে।

আপেলে সামান্য ভিটামিন সিও আছে। তাই আপেল রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। তাছাড়া ভিটামিন সি তাড়াতাড়ি রোগ সারাতে সাহায্য করে। তাছাড়া আপেলের রস দাঁতের জন্য ও ভালো। কারণ ব্যাকটেরিয়া এর কারণে দাঁতের ক্ষয় হয়। আপেলের রস ৮০% পর্যন্ত দাঁতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংশ করে দেয়।

আপেলে কোনো লবণ নেই। তাই আপেল থেকে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ভয় থাকে না। তাই প্রতিদিনের ইফতারে অন্তত একটি আপেল রাখুন। রোজা কাটুক সুস্থতায়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

যে কারণে রোজায় আপেল খাবেন

আপডেট টাইম : ০১:৪০:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০১৯

লাইফস্টাইল ডেস্ক :  গোলাকার দেখতে মিষ্টি ফলটির নাম আপেল। ইফতারের প্লেটে খেজুরের পাশাপাশি কয়েক টুকরো আপেল না হলে মানায় না যেন। রোজায় আপেল খেলে মেলে নানা উপকারিতা। এটি বেশ পুষ্টিকর একটি ফল। সহজে ক্ষুধা কমিয়ে দেয় আপেল। অন্য ভাজাপোড়া বা মিষ্টি খাবার খাওয়ার থেকে আপেল খেয়ে ক্ষুধা মেটানো শরীরের জন্য অনেক উপকারি। কারণ আপেলে থাকে ৭০-১০০ ক্যালরি আছে।

আপেলে সাধারণত থাকে ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি। আপেলে পানি থাকে। যা মানবদেহে পানির অভাব দূর করে। আপেলে আছে ফ্ল্যাভানয়েড যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সবুজ, সোনালি, লাল, যেকোনো রকম আপেল থেকেই এইসব পুষ্টিকর উপাদানসমূহ পাওয়া যেতে পারে।

প্রতিদিন একটি থেকে দুইটি আপেল খেলে হার্টের সমস্যা কমে। গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে যে, দিনে একটি আপেল খেলে রক্তের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেসটরেল কমে। হার্টের অসুখ থেকে রক্ষা করে এবং ফুসফুস কে রক্ষা করে আপেল।

আপেল রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ফলে ডায়বেটিস হওয়া থেকে রক্ষা করে শরীরকে। বিভিন্ন রকম ক্যান্সার হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে আপেল। এতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা হজমের জন্য ভালো। তাই বাওয়েল পরিষ্কার রাখে কোলন ক্যান্সার হতে দেয় না। আপেল লিভার ও গলব্লাডার পরিষ্কার রাখে।

আপেল শরীরের ওজন কমায় ও তা নিয়ন্ত্রণ করে থেকে। এতে অন্যান্য ফলের তুলনায় প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। আপেল পেশী টনিক, মূত্রবর্ধক, জোলাপ, অ্যান্টিডাইয়েডরিল, ও হজমকারক।

অন্যান্য ফলের মত আপেল রক্তে চিনির মাত্র বাড়িয়ে দেয় না। ফলে ডাইয়াবেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে পরিমানমত আপেল খেতে পারেন।

আপেলে পেকটিন নামক ফাইবার থাকে যা সহজে তরলে মিশে যায়। এই ফাইবার অন্ত্র নালিতে কোলেসটরেল জমতে দেয় না। শরীর থেকে কোলেসটরেল খরচ করে কমাতে শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।

আপেলের প্রচুর পানি থাকে। আপেল পানির অভাব দূর করে শরীরের। তৃষ্ণা মেটায় ও শরীর ঠান্ডা করে আপেল। জ্বর হলে তা কমাতে সাহায্য করে।

আপেলে সামান্য ভিটামিন সিও আছে। তাই আপেল রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। তাছাড়া ভিটামিন সি তাড়াতাড়ি রোগ সারাতে সাহায্য করে। তাছাড়া আপেলের রস দাঁতের জন্য ও ভালো। কারণ ব্যাকটেরিয়া এর কারণে দাঁতের ক্ষয় হয়। আপেলের রস ৮০% পর্যন্ত দাঁতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংশ করে দেয়।

আপেলে কোনো লবণ নেই। তাই আপেল থেকে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ভয় থাকে না। তাই প্রতিদিনের ইফতারে অন্তত একটি আপেল রাখুন। রোজা কাটুক সুস্থতায়।