ঢাকা ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ইরাকে ফেরি ডুবে ৭২ জন নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  ইরাকের মসুল শহরের অদূরে দজলা নদীতে ফেরি ডুবে অন্তত ৭২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ফেরি ডুবিতে এখনও ২০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।

ইরাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল সাদ মান ৭১ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন। তবে অন্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ৭২ জনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছে।

মসুলের সিভিল ডিফেন্স প্রধান হুসাম খলিল জানান, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। ফেরীটি ডুবে যাওয়ার পর সাঁতার না জানার কারণে তাদের বেশী মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, নওরোজ উদযাপন করতে কুর্দি সম্প্রদায়ের বহুসংখ্যক লোক দজলা নদীর পাড়ের পর্যটন এলাকায় যায়। সেসময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী ফেরিটিতে উঠে গেলে এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটে।

হুসাম খলিল আরও জানান, ফেরিটিতে প্রায় দেড়শ’ মানুষ ছিল। এরমধ্যে ১৯টি শিশুসহ ৫৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মসুল বাঁধ খুলে দেয়ার কারণে পানির স্তর বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে আগেই সতর্ক করেছিল। ফেরি চালকেরা এই সতর্কতা আমলে না নেয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তবে, স্থানীয়রা বলছেন, যান্ত্রিক সমস্যার কারণেই ফেরিটি ডুবেছে। ডুবে যাওয়া লোকদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত নৌকাও ছিল না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

ইরাকে ফেরি ডুবে ৭২ জন নিহত

আপডেট টাইম : ০২:৫১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  ইরাকের মসুল শহরের অদূরে দজলা নদীতে ফেরি ডুবে অন্তত ৭২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ফেরি ডুবিতে এখনও ২০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।

ইরাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল সাদ মান ৭১ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন। তবে অন্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ৭২ জনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছে।

মসুলের সিভিল ডিফেন্স প্রধান হুসাম খলিল জানান, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। ফেরীটি ডুবে যাওয়ার পর সাঁতার না জানার কারণে তাদের বেশী মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, নওরোজ উদযাপন করতে কুর্দি সম্প্রদায়ের বহুসংখ্যক লোক দজলা নদীর পাড়ের পর্যটন এলাকায় যায়। সেসময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী ফেরিটিতে উঠে গেলে এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটে।

হুসাম খলিল আরও জানান, ফেরিটিতে প্রায় দেড়শ’ মানুষ ছিল। এরমধ্যে ১৯টি শিশুসহ ৫৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মসুল বাঁধ খুলে দেয়ার কারণে পানির স্তর বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে আগেই সতর্ক করেছিল। ফেরি চালকেরা এই সতর্কতা আমলে না নেয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তবে, স্থানীয়রা বলছেন, যান্ত্রিক সমস্যার কারণেই ফেরিটি ডুবেছে। ডুবে যাওয়া লোকদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত নৌকাও ছিল না।