রং: কুশনের রং বাছতে হবে আগে। এমন কোনও রং বাছবেন না, যা চোখে লাগে। যে ঘরের জন্য কুশন কিনবেন, সেই ঘরের দেওয়াল, পর্দা, ফুলদানি, সোফা ইত্যাদির রং আগে ভাল করে লক্ষ করুন। তার মধ্যে থেকেই দু’-একটা রং বাছুন। এ বার সেই রং অনুযায়ী আপনাকে কুশন কভার বাছতে হবে। পাশাপাশি সব একই রঙের কুশন না রেখে বিভিন্ন রঙের কুশন দিয়ে সাজাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, রংগুলি যেন একে অপরের সঙ্গে মানানসই হয়।
আকার: ঘরের সাজের উপরেই নির্ভর করবে কুশনের আকার। গোল, ত্রিকোণ, চৌকো ইত্যাদি জিয়োমেট্রিক শেপ ছাড়াও একফালি তরমুজ, স্ট্রবেরি, পেঁচা, মাছ, হাতি, কেট্ল ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের ফাঙ্কি কুশন এখন খুব ইন। কিন্তু সেই কুশন আপনার ঘরের সাজের সঙ্গে মানাচ্ছে কি না সেটা দেখে নিন।
কভারের নকশা: দু’রকম হতে পারে কুশন কভারের নকশা। প্রিন্টেড বা এমব্রয়ডারি করা। কাশ্মীরি, গুজরাতি ইত্যাদি স্টিচের উপরে ফুলেল নকশার কুশন কভার বেশ ভাল লাগে। এ ছাড়াও বোল্ড সলিড, জিয়োমেট্রিক প্রিন্ট, পেজলি প্রিন্ট, ফ্লোরাল মোটিফ, লিভিং মোটিফ ইত্যাদি প্রিন্টের কুশন কভার দেখতে বেশ ভাল লাগে।
কাপড়ের ফ্যাব্রিক: পাশের বাড়ির বেড়ালটাকে ধরে রোজ কি আদর করেন? ও রকমই নরম পরশ পাবেন এই তুলতুলে ফারের কুশনে। তবে এই ধরনের কুশন খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই এর উপরে পরিয়ে রাখতে পারেন সাধারণ কুশন কভার। এ ছাড়াও পাবেন খাদি, খেস, মটকা, তসর, রেশম ইত্যাদি বিভিন্ন ফ্যাব্রিকের কুশন। তবে এগুলো একটু ব্যয়সাপেক্ষ। কুশনে পমপম বা টাস্ল থাকলে খেয়াল রাখবেন তা যেন খুলে পড়ে না যায়।
সাজাবেন কী ভাবে
• সব সময়ে একাধিক কুশন বাছুন। সোফার উপরে পাশাপাশি তিনটে কুশন না রেখে আগে পিছে করে ছ’সাতটা কুশন দিয়ে সাজাতে পারেন। এতে বসার সময়ে একটা কুশনে হেলান দিয়ে একটা কুশন তুলে পেটের সামনে রাখতে পারবেন। এতে আরাম বাড়বে বই কমবে না।
• কুশনের প্রিন্ট বাছার সময়ে একই ধরনের প্রিন্ট বাছবেন না। সলিড, প্রিন্টেড মিলিয়ে মিশিয়ে কুশন কভার বাছতে পারেন। সলিড প্রিন্ট পিছনের দিকে রেখে সামনে প্রিন্টেড কুশন রাখলে দেখতে ভাল লাগে।
• ঘরের জানালায় বসার ব্যবস্থা থাকলে সেখানেও দু’চারটে কুশন দিয়ে সাজিয়ে ফেলতে পারেন।
• বিছানায় কুশন রাখার সময়ে বেডের মাথার দিকটা ব্যবহার করুন। বালিশের উপরে অসম নাম্বারে কুশন রেখে সাজান।
• এক ধরনের গোল বা চৌকো আকারের কুশন কিনতে পাওয়া যায় বসার জন্য। এই কুশন বসার ঘরে দেওয়াল ঘেষে রেখে তার উপরে পিঠের কাছে দু’টো কুশন দিয়ে সাজিয়ে নিলেই নতুন বসার জায়গা তৈরি হয়ে যাবে।
• কুশন যেমনই হোক না কেন তার কভার পরিষ্কার রাখতে হবে। দাগ পড়ে গেলে তা পালটে ফেলুন।