লাইফস্টাইল ডেস্ক : হাসি সৌন্দর্যকে দ্বিগুণ করে। কিন্তু সেই হাসিতে কেবল প্রাণ থাকলেই চলে না, দাঁতকেও হতে হয় ঝকঝকে। তবেই সে ভুবনমোহিনী হাসির অধিকারী হতে পারেন আপনিও। দুধসাদা দাঁতের হাসি আর অপরিষ্কার বা হলুদ ছোপ ধরা দাঁতের হাসির মধ্যে ফারাক অনেক।
নানা অসুখবিসুখ থেকে বাঁচতে বা চেহারার দিকে নজর দিতে গিয়ে যে পরিমাণ যত্ন আমরা করি, তার সিকি ভাগও দাঁতের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে করি না। দাঁতের যত্ন বলতে আমরা বুঝি স্রেফ দু’বেলা দাঁত মাজা, ভাল করে কুলকুচি করা। এর বাইরে আলাদা করে দাঁতের য়ত্নের কথা ভাবেন না অনেকেই। কিন্তু দাঁত ভাল রাখতে বছরে একবার স্কেলিং (স্কেলিংয়ে দাঁত নড়ে যায় এমন মিথে আস্থা রাখবেন না) বা ওয়াশের যেমন প্রয়োজন, তেমনই দাঁতের সাদা ভাব ধরে রাখাটাও খুবই জরুরি।
ঘরোয়া কিছু উপায় মেনে চললে দাঁত যেমন ভাল থাকে, তেমনই এর সাদা রং টিকিয়ে রাখা যায় সহজেই। হলুদ ছোপ তুলে দাঁতকে ভাল রাখার সে সব উপায় জানেন?
বেইকিং সোডা ও লেবুর রস: বেইকিং সোডার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে তা দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের উপরের অংশের হলদে-ভাব দূর হয়। ব্রাশ করতে না চাইলে পেস্টটি ১ মিনিট দাঁতে মাখিয়ে রাখলেও উপকার মিলবে। তবে পেস্ট ব্যবহারের আগে দাঁত থেকে লালারস মুছে বা শুকিয়ে নিতে হবে।
নারিকেল তেল: সকালে দাঁত ব্রাশ করার আগে এক টেবিল-চামচ নারিকেল তেল নিয়ে কুলিকুচি করলে দাঁত হবে ঝকঝকে সাদা। শুনতে অবাক লাগলেও নারিকেল তেলে থাকা ‘লওরিক অ্যাসিড’ দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে। দাঁত ব্রাশ করার আগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভালোমতো তেলটি দিয়ে কুলিকুচি করতে হবে।
লবণ ও সরিষার তেল
দাঁত পরিষ্কার করার নানান উপায় রয়েছে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়। এরমধ্যে জনপ্রিয় হল সরিষার তেল, লবণ ও তুলসি পাতার মিশ্রণে তৈরি পেস্ট। নীমডালে এই পেস্ট মাখিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতে হবে।
ফিটকিরি ও কয়লা: দাঁত সাদা করার পুরানো পদ্ধতি কয়লা। টুথপেস্টের পরিবর্তে লবণ, কয়লার মাজন ও ভাজা ফিটকিরির মিশ্রণ দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত হবে ঝকঝকে।