ঢাকা ০২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

কলকাতা বইমেলায় পালিত বাংলাদেশ দিবস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :    কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা প্রাঙ্গনে শনিবার উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশ দিবস। এই উপলক্ষে রোববার সন্ধ্যায় কলকাতার উপকন্ঠে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের বইমেলা প্রাঙ্গনের এসবিআই মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলা সাহিত্য ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্যক আলোচনা।

এদিনের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, একটি ভাষাকে কেন্দ্র করে কোনো রাষ্ট্রের জন্ম হতে পারে বা একটি ভাষার জন্য মানুষ জীবন দিতে পারে তার প্রমাণ হলো বাংলাদেশ। দেশের স্বাধীনতা লাভের জন্য আমরা যেমন রক্ত দিয়েছি, তেমনি ভারতের সেনা সদস্যেরাও রক্ত দিয়েছে। তার জন্য আমরা চির কৃতজ্ঞ।

সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের ধমনীতে এ রক্তস্রোত প্রবাহিত হয়, সেই রক্তের স্রোতে যে গর্জন, ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু আমাদের ধমনীর রক্তে গর্জন তৈরি করে দিয়েছেন। নেতাজী বলতে যেমন সুবাষচন্দ্র বসু, স্বামীজি বলতে যেমন বিবেকানন্দকে বোঝায়, তেমনি বঙ্গবন্ধু বলতে শেখ মুজিবুর রহমানকে বোঝায়। দুই বাংলাতে অনেক বন্ধু ঘুরে বেড়াচ্ছে, কিন্ত কেউই আমাদের বন্ধু নয়। বঙ্গবন্ধু ছিলেন সম্পূর্ণপুরুষ, তার মধ্যে কোনও দুর্বলতা বা ন্যাকামো ছিলো না।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় আগামী দিনে কলকাতা ও বঙ্গবন্ধু নামে একটি বই লেখার চেষ্টা করবেন বলেও জানান।

বাংলাদেশের সাংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করে। তার ডাকে সাড়া দিয়েই শিল্পী, গায়ক, কবি, সাহিত্যিক সকলেই মিছিলে সমবেত হয়েছিলেন। ৭ মার্চ ভাষনের পর সাড়ে সাত কোটি বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো। সকলের কন্ঠে ছিলো, আমরা সবাই বাঙালি, তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা।

এদিনের এই আলোচনাঅনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব বেগম আকতারী মমতাজ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজি, বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, কলকাতা বুক সেলার্স এন্ড গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ দুতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান প্রমুখ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

কলকাতা বইমেলায় পালিত বাংলাদেশ দিবস

আপডেট টাইম : ০৩:৩৮:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :    কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা প্রাঙ্গনে শনিবার উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশ দিবস। এই উপলক্ষে রোববার সন্ধ্যায় কলকাতার উপকন্ঠে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের বইমেলা প্রাঙ্গনের এসবিআই মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলা সাহিত্য ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্যক আলোচনা।

এদিনের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, একটি ভাষাকে কেন্দ্র করে কোনো রাষ্ট্রের জন্ম হতে পারে বা একটি ভাষার জন্য মানুষ জীবন দিতে পারে তার প্রমাণ হলো বাংলাদেশ। দেশের স্বাধীনতা লাভের জন্য আমরা যেমন রক্ত দিয়েছি, তেমনি ভারতের সেনা সদস্যেরাও রক্ত দিয়েছে। তার জন্য আমরা চির কৃতজ্ঞ।

সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের ধমনীতে এ রক্তস্রোত প্রবাহিত হয়, সেই রক্তের স্রোতে যে গর্জন, ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু আমাদের ধমনীর রক্তে গর্জন তৈরি করে দিয়েছেন। নেতাজী বলতে যেমন সুবাষচন্দ্র বসু, স্বামীজি বলতে যেমন বিবেকানন্দকে বোঝায়, তেমনি বঙ্গবন্ধু বলতে শেখ মুজিবুর রহমানকে বোঝায়। দুই বাংলাতে অনেক বন্ধু ঘুরে বেড়াচ্ছে, কিন্ত কেউই আমাদের বন্ধু নয়। বঙ্গবন্ধু ছিলেন সম্পূর্ণপুরুষ, তার মধ্যে কোনও দুর্বলতা বা ন্যাকামো ছিলো না।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় আগামী দিনে কলকাতা ও বঙ্গবন্ধু নামে একটি বই লেখার চেষ্টা করবেন বলেও জানান।

বাংলাদেশের সাংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করে। তার ডাকে সাড়া দিয়েই শিল্পী, গায়ক, কবি, সাহিত্যিক সকলেই মিছিলে সমবেত হয়েছিলেন। ৭ মার্চ ভাষনের পর সাড়ে সাত কোটি বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো। সকলের কন্ঠে ছিলো, আমরা সবাই বাঙালি, তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা।

এদিনের এই আলোচনাঅনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব বেগম আকতারী মমতাজ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজি, বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, কলকাতা বুক সেলার্স এন্ড গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ দুতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান প্রমুখ।