আলোর জগত ডেস্ক : ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার সহায়তায় থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য পুরুষদের অনুর্ধ-১৫ মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নিতে শনিবার (শুক্রবার দিবাগত রাতে) ঢাকা ছাড়ছে বাংলাদেশ দল। আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্টিত হবে চার জাতির এই টুর্নামেন্ট।
আসরে বাংলাদেশ ছাড়াও এ টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে মালদ্বীপ, সাইপ্রাস ও স্বাগতিক থাইল্যান্ড অনুর্ধ-১৫ ফুটবল দল। আগামী ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বনাম সাইপ্রাসের ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হবে। আগামী ১২ ডিসেম্বর স্বাগতিক থাইল্যান্ডের মোকাবেলা করবে সাফ-অনুর্ধ ১৫ চ্যাম্পিয়নরা। ১৪ ডিসেম্বর আসরের শেষ ম্যাচে সাফভুক্ত মালদ্বীপের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। পয়েন্টের ভিত্তিতে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ নির্ধারিত হবে।
মুলত এশিয়ার ফুটবলের উন্নয়নের জন্য উয়েফা ও এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের মধ্যকার একটি চুক্তির আওতায় এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। টুর্নামেন্টের ব্যয়ভার বহন করবে উয়েফা।
বাংলাদেশ দলের থাইল্যান্ড সফর উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলন আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পদক আবু নাঈম সোহাগ, টিম ম্যানেজার অমিত খান শুভ, প্রধান কোচ মোস্তফা মনোয়ার পারভেজ ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মেহেদি হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে সোহাগ বলেন, আসরের জন্য পুরুষ কিংবা মহিলা দলের মধ্যে যে কোন একটি দলকে অংশগ্রহনের আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল। যেহেতু পুরুষ দলের এ রকম আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অংশগ্রহণের সুযোগ কম তাই তাদেরকেই এই আসরে অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া হযেছে। যাতে এখন থেকেই দলটি আন্তর্জাতিক ফুটবলে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। বাফুফের আবেদনের প্রেক্ষিতেই এই সুযোগটি এসেছে বলে উল্লেখ করেন ফেডারেশনের এই নির্বাহী কর্মকর্তা।
প্রধান কোচ পারভেজ বলেন, আসন্ন টুর্নামেন্টে দলের সবার মধ্যেই ভাল করার একটি তাগিদ দেখা যাচ্ছে। যে কারণে সাফ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ শেষে তারা কেউ বাড়ীতে না ফিরে অনুশীলনে মনোযোগী হয়েছে। টুর্নামেন্টে মালদ্বীপকে হারানোই প্রধান লক্ষ্য। কারণ থাইল্যান্ড ও সাইপ্রাস আমাদের চেয়ে বেশ এগিয়ে রয়েছে।’
তবে তাদের সম্পর্কে কোন ধারনা নেই বাংলাদেশ কোচের। তার মতে দল দুটি অপেক্ষাকৃত শক্তিধর মনে করা হলেও বয়স ভিত্তিক দলে শক্তির পার্থক্য খুব একটা থাকেনা। তাই তাদের বিপক্ষে জয় না পেলেও অন্তত ড্র করে সম্মানজনক অবস্থান নিয়েই বাংলাদেশ দল দেশে ফিরতে চায় বলে মন্তব্য করেন প্রধান কোচ।
অধিনায়ক মেহেদি হাসান বলেন, ‘দীর্ঘ ৪ বছর ধরে এই দলটি একত্রে অনুশীলন করছে। সাফ অনুর্ধ-১৫ আসরে অংশগ্রহণের আগে আমাদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার কোন অভিজ্ঞতা ছিলনা। তারপরও সেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এবার আমরা অভিজ্ঞতা নিয়েই থাইল্যান্ড যাচ্ছি। তাই ভাল কিছু করার আশা রয়েছে। এই মুহুর্তে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ভালভাবে সাইপ্রাসের মোকাবেলা করা। পরে অন্য দলগুলো নিয়ে ভাবা যাবে।’
উল্লেখ্য, সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৫ পুরুষ দলটিই আসন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। তবে এখানে সদস্য সংখ্যা ১৮ জন হওয়ায় ওই দল থেকে বাদ পড়ছে ৫ জন।
দল: মেহেদি হাসান, মারুফ আহমেদ মুগ্ধ, নাহিদ জামান উচ্ছাশ, রাজা আনসারি, তহিদুল ইসলাম হৃদয়, রোস্তম ইসলাম , রবিউল আলম, নাজমুল আহমেদ শাকিল, আল আমিন, আশিকুর রহমান, হেলাল আহমেদ, কামরান উদ্দিন রাজু, মেহদি হাসান (২), মিতুল মার্মা, মঈনুল ইসলাম মঈন, রাজন হাওলাদার, রাসেল আহমেদ ও ইবনে আহাদ শাকিল।