বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পবন চন্দ্র বর্মণের আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনের প্রেক্ষিতে ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন
জানা যায়, গত (৩০ মে) সাতাইহাল ৬ মৌজার লোকজন কর্তৃক পানিউমদা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। অগ্নিসংযোগ-লুটপাটের ঘটনায় ১৩টি ঘর-বাড়ি আগুণে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় (১ জুন) নোয়াগাঁও গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে জামাল হোসাইন বাদী হয়ে সাতাইহাল গ্রামের নুর উদ্দিন, গজনাইপুর ইউনিয়নের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলসহ ৪৭জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মূলহোতা ইমদাদুর রহমান মুকুল আত্মগোপনে চলে যান। পরে হবিগঞ্জ থেকে অন্য জেলায় পালিয়ে আত্মগোপনের চেষ্টা করলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইমদাদুর রহমান মুকুলকে বাহুবল-হবিগঞ্জ সড়কের মশাজান ব্রীজ এলাকায় থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ মামলায় মুকুলসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত সোমবার (৭ জুন) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক কাওছার আলম অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলা তদন্তের স্বার্থে মামলার ২য় আসামী ইমদাদুর রহমান মুকুলের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বুধবার দীর্ঘ শুনানি শেষে পত্র-পত্রিকা,ঘটনার ছবি-ভিডিও পর্যালোচনা করে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পবন চন্দ্র বর্মণের আদালত আসামী মুকুলের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানিতে বাদী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এডভোকেট মো. নুরুজ্জামান। আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এডভোকেট আবুল ফজল, এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, এডভোকেট সুলতান মাহমুদ।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক কাওছার আলম বলেন, নোয়াগাঁও গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলা তদন্তের স্বার্থে মামলার ২য় আসামী ইমদাদুর রহমান মুকুলের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত আসামীর ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ReplyForward |