ক্লাস সিক্স থেকে দুজন এক সঙ্গে পুটিজুরী শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়া লেখা করে আসছিল। সেই থেকেই দুজনের মনের ভিতরে প্রেমের সঞ্চার হয়েছিল। আর এই ভালবাসার জের ধরে নীলা চক্রবর্তী গত ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ইং তারিখে ঘর ছেড়ে হবিগঞ্জ জজ কোর্টে অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমানের কার্যালয়ে হাজির হয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এভিডেভিট করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন।
এভিডেভিট নামায় নীলা চক্রবর্তী ইসলাম ধর্মের নামনুসারে এখন সালমা আক্তার নাম ধারন করেন। পরে তারা উভয়ের সম্মতিতে গত ১৮/০২/২০২১ ইং তারিখে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এভিডেভিট সম্পন্ন করে হবিগঞ্জ পৌরসভার কাজী মাওঃ মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরীর মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা দেন মোহর সাব্যস্থ করিয়া ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন,যার কপি গতকাল রেজিষ্ট্রি ডাক যোগে ছেলের পিতার নিকট পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে পালিয়ে যাওয়া ছেলে মেয়ে এখনো নিরুদ্দেশ রয়েছেন। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছেলে – মেয়ের উভয় পরিবার তাদের খোঁজছে।
এ বিষয়ে ছেলের পিতা ফটিক মিয়া বলেন, বুধবার দুপুরে আমার পুত্র জোবায়েদ মিয়া রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে তার বিবাহের যাবতীয় ডকুমেন্ট আমার কাছে পৌছালেও আমি দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারছিনা। কারন সে কোথায় আছে, কেমন আছে তা আমি কিছুই জানিনা।
তবে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ করেনি তাদের পরিবার বলে জানান বাহুবল মডেল থানার ডিউটি অফিসার সাইদুল।