ঢাকা ১২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

ময়ূর-২ লঞ্চের মালিকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় করা মামলায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হামিদ ছোয়াদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ থানার এসআই শাহিদুল আলম।

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা, সহকারী মাস্টার জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন সিপাই, সুকানি নাসির মৃধা, গ্রিজার হৃদয় হাওলাদার, সুপারভাইজার আব্দুস সালাম, সেলিম হোসেন হিরা, আবু সাঈদ ও দেলোয়ার হোসেন সরকার।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৯ জুন সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দোতলা ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চ ঢাকার নৌবন্দর সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগমুহূর্তে সেটিকে ধাক্কা দেয় চাঁদপুরগামী লঞ্চ ময়ূর-২। সঙ্গে সঙ্গে ‘মর্নিং বার্ড’ ডুবে যায়। লঞ্চডুবির ওই ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

‘মর্নিং বার্ড’কে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়ার সময় ‘ময়ূর-২’ এর মূল মাস্টার নয় এমন একজন শিক্ষানবিশ চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। লঞ্চের কোনো ত্রুটি নয়, মাস্টারের ভুলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

দুর্ঘটনার পর অবহেলাজনিত মৃত্যু এবং বেপরোয়াভাবে জাহাজ চালানোর অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন নৌ-পুলিশ সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামসুল। মামলায় দণ্ডবিধি ২৮০, ৩০৪ (ক) ও ৪৩৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মামলার এজহারনামী আসামিরা হলেন-এমভি ময়ূর-২-এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা ও জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার ও শাকিল হোসেন এবং সুকানি নাসির মৃধা ও মো. হৃদয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা

ময়ূর-২ লঞ্চের মালিকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

আপডেট টাইম : ০৮:০৯:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় করা মামলায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হামিদ ছোয়াদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ থানার এসআই শাহিদুল আলম।

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা, সহকারী মাস্টার জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন সিপাই, সুকানি নাসির মৃধা, গ্রিজার হৃদয় হাওলাদার, সুপারভাইজার আব্দুস সালাম, সেলিম হোসেন হিরা, আবু সাঈদ ও দেলোয়ার হোসেন সরকার।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৯ জুন সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দোতলা ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চ ঢাকার নৌবন্দর সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগমুহূর্তে সেটিকে ধাক্কা দেয় চাঁদপুরগামী লঞ্চ ময়ূর-২। সঙ্গে সঙ্গে ‘মর্নিং বার্ড’ ডুবে যায়। লঞ্চডুবির ওই ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

‘মর্নিং বার্ড’কে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়ার সময় ‘ময়ূর-২’ এর মূল মাস্টার নয় এমন একজন শিক্ষানবিশ চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। লঞ্চের কোনো ত্রুটি নয়, মাস্টারের ভুলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

দুর্ঘটনার পর অবহেলাজনিত মৃত্যু এবং বেপরোয়াভাবে জাহাজ চালানোর অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন নৌ-পুলিশ সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামসুল। মামলায় দণ্ডবিধি ২৮০, ৩০৪ (ক) ও ৪৩৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মামলার এজহারনামী আসামিরা হলেন-এমভি ময়ূর-২-এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা ও জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার ও শাকিল হোসেন এবং সুকানি নাসির মৃধা ও মো. হৃদয়।