ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ডাক্তার’ শব্দটি সাদা রং দিয়ে মুছে ফেলেছে হোমিও চিকিৎসক

মিহিরুজ্জামান,  সাতক্ষীরা

 

সাতক্ষীরায় বহুল সমালোচিত কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগরের সেই হোমিও চিকিৎসক রেজাউল ও তার স্ত্রী রিমা আক্তারের নামের আগে ‘ডাক্তার’ লেখা শব্দটি সাদা রং দিয়ে মুছে ফেলেছ।গতকাল সরেজমিন যেয়ে দেখা যায়, সাইনবোর্ডে রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী রিমা আক্তারের নাম থাকলেও নামের আগে ডাক্তার শব্দটি লেখা নেই। কয়েক বছর যাবত প্রতারণার মহাফাঁদে ফেলে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে রেজাউল ও তার স্ত্রী রিমা আক্তার নামের আগে ডাক্তার শব্দটি ব্যবহার করে অসহায় মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা।এবিষয়ে গত ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর রেজাউল ও তার স্ত্রীকে নিয়ে সাতক্ষীরার স্থানীয় দৈনিক সহ দেশের মূলধারার প্রথম সারির গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই নিজেদের বাঁচাতে বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের কাছে দৌডঝাঁপ শুরু করে রেজাউল ইসলাম ও তার পিতা সামছুর রহমান। এমনকি তারা সাংবাদিকদের চাঁদাবাজ ও মামলার হুমকি দিতে থাকে।কৃষ্ণনগর এলাকার রুবেল হোসেন ও আরিফুল ইসলামসহ স্থানীয় অনেকে জানান, বিগত কয়েক বছর আগে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে কোহিনুর হোমিও চিকিৎসালয় নামে প্রতিষ্ঠান খোলে রেজাউল ও তার স্ত্রী রিমা আক্তার।সেখানে সকল রোগের চিকিৎসা প্রদান করেন ওই দম্পতি। রোগী দেখলে তাদের ভিজিট দিতে হয় ৩শ’ টাকা। এছাড়া কম্পিউটার ও এনালাইজার মেশিনে ফুল বডি পরীক্ষা করে জার্মানী ঔষধ দ্বারা চিকিৎসাসেবা দেওয়ার নামে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতে থাকে মোটা অংকের টাকা।তারা আরও বলেন, কোন ব্যক্তি যদি রেজাউলের চিকিৎসা কেন্দ্রে রোগী নিয়ে যায় তাহলে যিনি নিয়ে যাবেন তিনি পাবেন ৫শ’ টাকা কমিশন। এমবিবিএস চিকিৎসকের মতোই করছেন জটিল সব রোগের চিকিৎসা। ডিজিটাল ব্যানার ও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজের নামে ভিজিটিং কার্ড ও প্যাড ছাপিয়ে আইন অমান্য করেছেন প্রতিনিয়ত।নামের আগে পদবী লিখছেন ‘ডাক্তার’। তাদের ভুল চিকিৎসা, মাত্রাতিরিক্ত ওষুধের প্রেসক্রিপশনের কারণে হরমামেশাই মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের। প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন সেবা নিতে আসা শহর ও গ্রামের সহজ-সরল মানুষ।এসব ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথেও কথা হয়েছে। তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ডাক্তার’ শব্দটি সাদা রং দিয়ে মুছে ফেলেছে হোমিও চিকিৎসক

আপডেট টাইম : ০৬:১৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১

মিহিরুজ্জামান,  সাতক্ষীরা

 

সাতক্ষীরায় বহুল সমালোচিত কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগরের সেই হোমিও চিকিৎসক রেজাউল ও তার স্ত্রী রিমা আক্তারের নামের আগে ‘ডাক্তার’ লেখা শব্দটি সাদা রং দিয়ে মুছে ফেলেছ।গতকাল সরেজমিন যেয়ে দেখা যায়, সাইনবোর্ডে রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী রিমা আক্তারের নাম থাকলেও নামের আগে ডাক্তার শব্দটি লেখা নেই। কয়েক বছর যাবত প্রতারণার মহাফাঁদে ফেলে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে রেজাউল ও তার স্ত্রী রিমা আক্তার নামের আগে ডাক্তার শব্দটি ব্যবহার করে অসহায় মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা।এবিষয়ে গত ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর রেজাউল ও তার স্ত্রীকে নিয়ে সাতক্ষীরার স্থানীয় দৈনিক সহ দেশের মূলধারার প্রথম সারির গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই নিজেদের বাঁচাতে বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের কাছে দৌডঝাঁপ শুরু করে রেজাউল ইসলাম ও তার পিতা সামছুর রহমান। এমনকি তারা সাংবাদিকদের চাঁদাবাজ ও মামলার হুমকি দিতে থাকে।কৃষ্ণনগর এলাকার রুবেল হোসেন ও আরিফুল ইসলামসহ স্থানীয় অনেকে জানান, বিগত কয়েক বছর আগে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে কোহিনুর হোমিও চিকিৎসালয় নামে প্রতিষ্ঠান খোলে রেজাউল ও তার স্ত্রী রিমা আক্তার।সেখানে সকল রোগের চিকিৎসা প্রদান করেন ওই দম্পতি। রোগী দেখলে তাদের ভিজিট দিতে হয় ৩শ’ টাকা। এছাড়া কম্পিউটার ও এনালাইজার মেশিনে ফুল বডি পরীক্ষা করে জার্মানী ঔষধ দ্বারা চিকিৎসাসেবা দেওয়ার নামে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতে থাকে মোটা অংকের টাকা।তারা আরও বলেন, কোন ব্যক্তি যদি রেজাউলের চিকিৎসা কেন্দ্রে রোগী নিয়ে যায় তাহলে যিনি নিয়ে যাবেন তিনি পাবেন ৫শ’ টাকা কমিশন। এমবিবিএস চিকিৎসকের মতোই করছেন জটিল সব রোগের চিকিৎসা। ডিজিটাল ব্যানার ও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজের নামে ভিজিটিং কার্ড ও প্যাড ছাপিয়ে আইন অমান্য করেছেন প্রতিনিয়ত।নামের আগে পদবী লিখছেন ‘ডাক্তার’। তাদের ভুল চিকিৎসা, মাত্রাতিরিক্ত ওষুধের প্রেসক্রিপশনের কারণে হরমামেশাই মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের। প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন সেবা নিতে আসা শহর ও গ্রামের সহজ-সরল মানুষ।এসব ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথেও কথা হয়েছে। তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।