ঢাকা ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা বাজারের প্রধান সড়ক যেন মরণ ফাঁদে পরিণত

মিহিরুজ্জামান, সাতক্ষীরার

 

সাতক্ষীরার ব্যস্ততম মহাসড়ক যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারের প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কটির উপরের পিচ বসে গিয়ে পিচগুলো ডানে বামে সরে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত।আর সেই উঁচু-নিচু স্থান ও গর্তে পড়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ। সড়কে এ বেহাল দশার কারণে যানবাহন চলে হেলেদুলে। আর বৃষ্টি হলে পিচের রাস্তা পানি-কাঁদা-তেল-মবিল, মিলেমিশে একাকার হয়ে রূপ নেয় মেঠো রাস্তায়। উঁচু-নিচু আর খানাখন্দে ভরা মহাসড়কটিতে চলার উপায় নেই। রাস্তাটির জরাজীর্ণতায় দুর্ভোগে পড়ে অনেকেই মনের খেদ মিটাচ্ছেন নিজের উপরেই। এসড়কে ২৪ ঘন্টায় অসংখ্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা যানবাহনে চলাচল করলেও নজর নেই জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের। স্থানীয় জনগণ ও পরিবহন শ্রমিকরা এটিকে ‘টিউমার সড়ক’ বলে আখ্যায়িত করছেন। এই ব্যস্ততম সড়কটির কোন অভিভাবক আছে কিনা তা বোঝা যায় না। দিন থেকে মাস, মাস থেকে বছর এভাবে বছরের পর বছর চলে যায়, কিন্তু ঝাউডাঙ্গা বাজারের প্রধান সড়কের বেহাল চিত্র এমনিভাবে থেকে যায়।তবে সাধারণ মানুষ আশাবাদী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা একটু সুনজর দিলেই এরাস্তা সংস্কার করা সম্ভব। অন্যথায় সুষ্ঠুভাবে চলাচলের উপযোগী করে তুলতে বাজার কেন্দ্রীক মানসম্মত কংক্রিটের সড়ক তৈরীর দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। তাই এলাকাবাসী অবিলম্বে সড়কটি সংস্কার করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।পয়েন্টগুলো ঘুরে দেখা যায়, ঝাউডাঙ্গা বাজার একটি বড় বাণিজ্যিক এলাকা হওয়া শর্তেও এলাকার প্রধান সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কোথাও টিউমার আবার কোথাও খানাখন্দ এমন এক রুপ ধারণ করেছে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে সেখানে প্রতিনিয়ত হালকা ও ভারী যানবাহন পড়ে লক্কড়-ঝক্কড় হয়ে যাচ্ছে। সড়কের ওপরের পিচ উঠে কার্পেটিং, ঝিল, পাথরের ছড়াছড়ি হয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারও মানুষ ও যানবাহন। জানা গেছে, গত কয়েকবছর আগের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিদের্শনায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ এসড়ক নির্মাণ করেন। কিন্তু এসড়কে কী পরিমান অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে তা বলার অবকাশ রাখেনা। গত মাসে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা সংস্কারের নামে একদিন একটিস্থানে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে কাজ করে গেলেও পরে আর আসেনি। যে স্থানটি সংস্কার করে রেখে গিয়েছিল সে জায়গাটি পূর্বের চেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এমন সংস্কারের নামে তালবাহানা নানান অজুহাত থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই এলাকাবাসী।

নিয়মিত চলাচলকারী বাস চালক আলী হোসেন বলেন,সাতক্ষীরা টার্মিনাল থেকে যশোর টার্মিনালে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় ঝাউডাঙ্গার এই মহাসড়কে নিয়মিত অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। প্রায় দেড় কিলোমিটার এসড়ক পথ পেরতে যেখানে ৫মি: সময় লাগে, সেখানে ১৫-২০মিনিট সময় লেগে যাচ্ছে। আর রাতে তো কথাই নেই। অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাত-পা ভেঙে বাড়ি যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এভাবে আর কতদিন চলবে তাই সাধারণ মানুষের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে নিয়ে আনবেন এটায় প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা বাজারের প্রধান সড়ক যেন মরণ ফাঁদে পরিণত

আপডেট টাইম : ০৯:৪৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১

মিহিরুজ্জামান, সাতক্ষীরার

 

সাতক্ষীরার ব্যস্ততম মহাসড়ক যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারের প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কটির উপরের পিচ বসে গিয়ে পিচগুলো ডানে বামে সরে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত।আর সেই উঁচু-নিচু স্থান ও গর্তে পড়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ। সড়কে এ বেহাল দশার কারণে যানবাহন চলে হেলেদুলে। আর বৃষ্টি হলে পিচের রাস্তা পানি-কাঁদা-তেল-মবিল, মিলেমিশে একাকার হয়ে রূপ নেয় মেঠো রাস্তায়। উঁচু-নিচু আর খানাখন্দে ভরা মহাসড়কটিতে চলার উপায় নেই। রাস্তাটির জরাজীর্ণতায় দুর্ভোগে পড়ে অনেকেই মনের খেদ মিটাচ্ছেন নিজের উপরেই। এসড়কে ২৪ ঘন্টায় অসংখ্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা যানবাহনে চলাচল করলেও নজর নেই জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের। স্থানীয় জনগণ ও পরিবহন শ্রমিকরা এটিকে ‘টিউমার সড়ক’ বলে আখ্যায়িত করছেন। এই ব্যস্ততম সড়কটির কোন অভিভাবক আছে কিনা তা বোঝা যায় না। দিন থেকে মাস, মাস থেকে বছর এভাবে বছরের পর বছর চলে যায়, কিন্তু ঝাউডাঙ্গা বাজারের প্রধান সড়কের বেহাল চিত্র এমনিভাবে থেকে যায়।তবে সাধারণ মানুষ আশাবাদী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা একটু সুনজর দিলেই এরাস্তা সংস্কার করা সম্ভব। অন্যথায় সুষ্ঠুভাবে চলাচলের উপযোগী করে তুলতে বাজার কেন্দ্রীক মানসম্মত কংক্রিটের সড়ক তৈরীর দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। তাই এলাকাবাসী অবিলম্বে সড়কটি সংস্কার করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।পয়েন্টগুলো ঘুরে দেখা যায়, ঝাউডাঙ্গা বাজার একটি বড় বাণিজ্যিক এলাকা হওয়া শর্তেও এলাকার প্রধান সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কোথাও টিউমার আবার কোথাও খানাখন্দ এমন এক রুপ ধারণ করেছে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে সেখানে প্রতিনিয়ত হালকা ও ভারী যানবাহন পড়ে লক্কড়-ঝক্কড় হয়ে যাচ্ছে। সড়কের ওপরের পিচ উঠে কার্পেটিং, ঝিল, পাথরের ছড়াছড়ি হয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারও মানুষ ও যানবাহন। জানা গেছে, গত কয়েকবছর আগের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিদের্শনায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ এসড়ক নির্মাণ করেন। কিন্তু এসড়কে কী পরিমান অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে তা বলার অবকাশ রাখেনা। গত মাসে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা সংস্কারের নামে একদিন একটিস্থানে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে কাজ করে গেলেও পরে আর আসেনি। যে স্থানটি সংস্কার করে রেখে গিয়েছিল সে জায়গাটি পূর্বের চেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এমন সংস্কারের নামে তালবাহানা নানান অজুহাত থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই এলাকাবাসী।

নিয়মিত চলাচলকারী বাস চালক আলী হোসেন বলেন,সাতক্ষীরা টার্মিনাল থেকে যশোর টার্মিনালে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় ঝাউডাঙ্গার এই মহাসড়কে নিয়মিত অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। প্রায় দেড় কিলোমিটার এসড়ক পথ পেরতে যেখানে ৫মি: সময় লাগে, সেখানে ১৫-২০মিনিট সময় লেগে যাচ্ছে। আর রাতে তো কথাই নেই। অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাত-পা ভেঙে বাড়ি যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এভাবে আর কতদিন চলবে তাই সাধারণ মানুষের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে নিয়ে আনবেন এটায় প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।