ঢাকা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

শৈল্পিকতার শক্তি আজ অসহায়দের পাশে

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনার কারণে মানবেতর জীবন যাপন করা মানুষদের সহযোগিতায় উদ্যোগ নিয়েছে অনেকেই। ছবি আঁকা, ছবি তোলা ,গান গাওয়া সৃজনশীল নানা কাজের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে এই প্রথম  “বিশ্বের প্রথম ডোনেশন প্রজেক্ট অনলাইনে আর্টের প্রদর্শনীর মাধ্যমে ফান্ড কালেকশন করে অসহায়দের পাশে দাঁড়াচ্ছেন আন্তর্জাতিক শিল্পী সমাজ।”

“কি হবে গান করে?”, “কে দেখবে তোর ছবি?”, “নাচ দিয়ে সমাজের কি উপকার করতে পারবি?” – এমন নানা কথা আমরা প্রতিনিয়তই শুনে থাকি, আমাদের কাছের মানুষদের থেকেই হয়ত শুনে থাকি। আমাদেরকে প্রতিনিয়তই বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে আমাদের সৃজনশীলতার কোন মূল্য নেই, আমাদের চারুর কোন মূল্য নেই।

We are often told that, “Art cannot make a difference.”তবে আসলেই কি তাই? আমরা কি আসলেই পারবো না সমাজের জন্য কিছু করতে, আমাদের শিল্পের মাধ্যমে?না, অবশ্যই পারবো, এবং তাই বুঝিয়ে দিয়েছেন আমাদের সকলকে সাংস্কৃতিক সংস্থা “International Society of Artists”. শিল্প নিয়েই পাঁশে দাঁড়িয়েছেন সমাজের দুস্থ অবহেলিত মানুষদের পাশে।

তাঁদের ইভেন্ট “Project: Art For Smiles” এই উদ্দেশ্যেই শুরু করেছেন তারা।তারা এই উদ্যোগ গ্রহন করেন ২৬এ এপ্রিল ২০২১ খ্রীঃ এবং ইভেন্টটি চলবে ৭ই মে ২০২১ খ্রীঃ পর্যন্ত।ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তাঁদের ইভেন্টও অনুষ্ঠিত হচ্ছে সম্পূর্ণ অনলাইন প্লাটফর্মে, ফেসবুক এর মাধ্যমে।

উদ্যোগটির সহযোগী হিসেবে থাকছেন :

সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং পাঁচরুখি বেগম আনোয়ারা কলেজ এর মত সম্মানজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।শিল্পের মাধ্যমে সমাজের দুস্থ-অবহেলিত মানুষদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার জন্য তাঁদের পরিকল্পনা কিছুটা এরুপ:

অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা তাঁদের শিল্পের সাথে সমাজের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা লিখছেন।

যারা তাঁদের সৃজনশীলতায় মুগ্ধ হয়েছেন এবং সমাজের দুস্থ মানুষদের উদ্দেশ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চান, তারা সরাসরি “International Society of Artists” কে অনুদানের মাধ্যমে সাহায্য করতে পাড়বেন, এবং যাদের পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না তারা অন্ততপক্ষে শিল্পীদের “Post”-টি সামান্য “Share” দাওয়ার মাধ্যমেও উদ্যোগটির বার্তা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে সাহায্য করে পাঁশে থাকতে পাড়ছেন। সংগৃহীত অনুদানের মাধ্যমে কমপক্ষে ৫০ টি অসহায়-সুবিধাবঞ্চিত পরিবারকে খাদ্যদ্রব্য ঈদের উপহার হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে।

প্রতিটি পরিবারের ১ সপ্তাহের ত্রানের মধ্যে থাকবে:

চাল(৫ কেজি), পোলাওয়ের চাল (২ কেজি ), ডাল(১ কেজি), পেঁয়াজ(১ কেজি ), আলু (২ কেজি ), তেল (১ লিটার ), লবন (০.৫ কেজি ), সেমাই (১টা ), দুধ (১ লিটার ), সাবান (২টা ), মুরগি (১ কেজি), চিনি (১ কেজি) ।

দাতাদের দাওয়া অনুদান তারা কোন খাঁতে কিভাবে খরচ করল তার সম্পূর্ণ হিসাব “International Society of Artists” তাঁদের ফেসবুক পেইজ থেকে সরাসরি লাইভ এ এসে জানাবে। প্রত্যেক পরিবারের জন্য ন্যায্যতা ১৪০০ টাকা প্রয়োজন পড়বে, এই অনুযায়ী তারা হিসাব করেছেন এবং দাতাদের কাছে অর্থায়ন চেয়েছেন।

২১ টি “Segment” অন্তর্ভুক্ত এই উদ্যোগটির সাহায্যে ইতমধ্যেই এগিয়ে এসেছেন অসংখ্য শিল্পী এবং অনেক দাতা। সকল “Segment” এই শিল্পীদের উৎসাহ যেমন অসীম, সকল শিল্পীর সৃজনশীলতাও তেমনই মনোমুগ্ধকর।

ইতোমধ্যেই উদ্যোগটির সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ডদল “শিরোনামহীন” এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বেইজিস্ট “জিয়াউর রহমান জিয়া” এবং কণ্ঠশিল্পী “শেখ ইশতিয়াক”।

তারা ইভেন্টটির “Singing” এবং “Instrumental” সেগমেন্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং তাঁদের মূল্যবান মতামতের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের পথপ্রদর্শন করবেন। আমাদের সমাজের দুস্থ-অসহায় মানুষদের পাঁশে দারাবার জন্য আমাদের তরুণ সমাজ এবং শিল্পীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রকৃতপক্ষেই একটি অনুপ্রেরণার বিষয়।  আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে সক্ষম হাতেই রক্ষিত।

https://www.facebook.com/groups/internationalsocietyofartists/

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

শৈল্পিকতার শক্তি আজ অসহায়দের পাশে

আপডেট টাইম : ০৭:১৩:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনার কারণে মানবেতর জীবন যাপন করা মানুষদের সহযোগিতায় উদ্যোগ নিয়েছে অনেকেই। ছবি আঁকা, ছবি তোলা ,গান গাওয়া সৃজনশীল নানা কাজের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে এই প্রথম  “বিশ্বের প্রথম ডোনেশন প্রজেক্ট অনলাইনে আর্টের প্রদর্শনীর মাধ্যমে ফান্ড কালেকশন করে অসহায়দের পাশে দাঁড়াচ্ছেন আন্তর্জাতিক শিল্পী সমাজ।”

“কি হবে গান করে?”, “কে দেখবে তোর ছবি?”, “নাচ দিয়ে সমাজের কি উপকার করতে পারবি?” – এমন নানা কথা আমরা প্রতিনিয়তই শুনে থাকি, আমাদের কাছের মানুষদের থেকেই হয়ত শুনে থাকি। আমাদেরকে প্রতিনিয়তই বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে আমাদের সৃজনশীলতার কোন মূল্য নেই, আমাদের চারুর কোন মূল্য নেই।

We are often told that, “Art cannot make a difference.”তবে আসলেই কি তাই? আমরা কি আসলেই পারবো না সমাজের জন্য কিছু করতে, আমাদের শিল্পের মাধ্যমে?না, অবশ্যই পারবো, এবং তাই বুঝিয়ে দিয়েছেন আমাদের সকলকে সাংস্কৃতিক সংস্থা “International Society of Artists”. শিল্প নিয়েই পাঁশে দাঁড়িয়েছেন সমাজের দুস্থ অবহেলিত মানুষদের পাশে।

তাঁদের ইভেন্ট “Project: Art For Smiles” এই উদ্দেশ্যেই শুরু করেছেন তারা।তারা এই উদ্যোগ গ্রহন করেন ২৬এ এপ্রিল ২০২১ খ্রীঃ এবং ইভেন্টটি চলবে ৭ই মে ২০২১ খ্রীঃ পর্যন্ত।ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তাঁদের ইভেন্টও অনুষ্ঠিত হচ্ছে সম্পূর্ণ অনলাইন প্লাটফর্মে, ফেসবুক এর মাধ্যমে।

উদ্যোগটির সহযোগী হিসেবে থাকছেন :

সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং পাঁচরুখি বেগম আনোয়ারা কলেজ এর মত সম্মানজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।শিল্পের মাধ্যমে সমাজের দুস্থ-অবহেলিত মানুষদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার জন্য তাঁদের পরিকল্পনা কিছুটা এরুপ:

অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা তাঁদের শিল্পের সাথে সমাজের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা লিখছেন।

যারা তাঁদের সৃজনশীলতায় মুগ্ধ হয়েছেন এবং সমাজের দুস্থ মানুষদের উদ্দেশ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চান, তারা সরাসরি “International Society of Artists” কে অনুদানের মাধ্যমে সাহায্য করতে পাড়বেন, এবং যাদের পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না তারা অন্ততপক্ষে শিল্পীদের “Post”-টি সামান্য “Share” দাওয়ার মাধ্যমেও উদ্যোগটির বার্তা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে সাহায্য করে পাঁশে থাকতে পাড়ছেন। সংগৃহীত অনুদানের মাধ্যমে কমপক্ষে ৫০ টি অসহায়-সুবিধাবঞ্চিত পরিবারকে খাদ্যদ্রব্য ঈদের উপহার হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে।

প্রতিটি পরিবারের ১ সপ্তাহের ত্রানের মধ্যে থাকবে:

চাল(৫ কেজি), পোলাওয়ের চাল (২ কেজি ), ডাল(১ কেজি), পেঁয়াজ(১ কেজি ), আলু (২ কেজি ), তেল (১ লিটার ), লবন (০.৫ কেজি ), সেমাই (১টা ), দুধ (১ লিটার ), সাবান (২টা ), মুরগি (১ কেজি), চিনি (১ কেজি) ।

দাতাদের দাওয়া অনুদান তারা কোন খাঁতে কিভাবে খরচ করল তার সম্পূর্ণ হিসাব “International Society of Artists” তাঁদের ফেসবুক পেইজ থেকে সরাসরি লাইভ এ এসে জানাবে। প্রত্যেক পরিবারের জন্য ন্যায্যতা ১৪০০ টাকা প্রয়োজন পড়বে, এই অনুযায়ী তারা হিসাব করেছেন এবং দাতাদের কাছে অর্থায়ন চেয়েছেন।

২১ টি “Segment” অন্তর্ভুক্ত এই উদ্যোগটির সাহায্যে ইতমধ্যেই এগিয়ে এসেছেন অসংখ্য শিল্পী এবং অনেক দাতা। সকল “Segment” এই শিল্পীদের উৎসাহ যেমন অসীম, সকল শিল্পীর সৃজনশীলতাও তেমনই মনোমুগ্ধকর।

ইতোমধ্যেই উদ্যোগটির সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ডদল “শিরোনামহীন” এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বেইজিস্ট “জিয়াউর রহমান জিয়া” এবং কণ্ঠশিল্পী “শেখ ইশতিয়াক”।

তারা ইভেন্টটির “Singing” এবং “Instrumental” সেগমেন্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং তাঁদের মূল্যবান মতামতের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের পথপ্রদর্শন করবেন। আমাদের সমাজের দুস্থ-অসহায় মানুষদের পাঁশে দারাবার জন্য আমাদের তরুণ সমাজ এবং শিল্পীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রকৃতপক্ষেই একটি অনুপ্রেরণার বিষয়।  আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে সক্ষম হাতেই রক্ষিত।

https://www.facebook.com/groups/internationalsocietyofartists/