ঢাকা ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নবীগঞ্জে আউশকান্দি টু কারখানা কিবরিয়া সড়কে সিএনজি শ্রমিক ও জনতার মধ্যে বিরোধের নিষ্পত্তি

স্টাফ রিপোর্টারঃ
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার টু কারখানা গ্রাম পর্যন্ত কিবরিয়া সড়কে রিক্সায় যাত্রী বহনকে কেন্দ্র করে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ও সাধারণ জনতার মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে তীব্র ক্ষোভ ও চরম উত্তেজনা দেখা দেয়৷ জানাজায়,গত ২২ মার্চ দুপুরে রিক্সায় যাত্রী বহনকে কেন্দ্রকরে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের সাথে চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়, এঘটনায় রশিক মিয়া নামের এক গ্রীস প্রবাসী দুই সন্তানের জনক নিহত হন৷ এঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ দিনধরে এলাকায় সচেতন নাগরিকদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছিলো৷ এরই প্রেক্ষিতে ওই এলাকার বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তি বর্গের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় বিরোধপূর্ণ ঘটনার মিমাংসার স্বার্থে ৫ দফা সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ সর্বশেষ
গতকাল ৮ এপ্রিল সকাল ১০টায় উপজেলার দাউদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয৷
নবীগঞ্জ উপজেলার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি লিডার অধ্যাপক আব্দুল হান্নান এঁর সভাপতিত্বে ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী সমাজ সেবক সুরুজ্জামান মান্নান এর সঞ্চালনায় সৃস্ট বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সালিশ বৈঠকে বক্তব্য রাখেন এলাকার বিশিষ্ট প্রবীণ সালিশ বিচারক শামসুল আলম কনা মাস্টার, দীঘল বাক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ছালিক মিয়া, হাজী শাহনুর আলম সানুর,হাজী আব্দুল মালিক,, আব্দুল হামিদ নিক্সন,আব্দুল গফ্ফার শাহীন, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি শাহ্ সুলতান আহমেদ,কার্য নির্বাহী সদস্য এম.মুজিবুর রহমান,ইউপি সদস্য ফখরুল ইসলাম জুয়েল, সিএনজি অটোরিকশা সমবায় সমিতির সভাপতি দিলশাদ মিয়া,সাধারণ সম্পাদক রোমান মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু সালেহ জীবন,
,সালিশ বিচারক ফকির ফজলু মিয়া, কাছন মিয়া, কনা মিয়া, দুধু মিয়া, সিরাজ মিয়া,এলাইছ মিয়া, হাজী আব্দুল রউফ, মানিক মিয়া, নুনু মিয়া, নুর মিয়া, হাজী শফিক মিয়া,ধন মিয়া,গুলজার মিয়া, আবির মিয়া, সুপন মিয়া, অজয় সুত্রধর সহ এলাকার বিশিষ্ট সালিশ বিচারকগন,সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ও সাধারণ জনতার মধ্যে দীর্ঘ দিনের সৃস্ট বিরোধ লিখিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়৷ উল্লেখ্যঃ গত ২২ মার্চ সকালে উক্ত সড়কে চলাচলরত রিক্সাযোগে স্থানীয় আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারে যাবার পথিমধ্যে দরবেশ পুর সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যন্ডের ম্যানেজার রাসেল মিয়া কর্তৃক রিক্সার যাত্রী দাউদপুর গ্রামের বশির মিয়া ও আক্কাছ মিয়াকে রিক্সায় যেতে বাঁধা প্রদান করে চরম লাঞ্চিত করেনন এঘটনায় চরম হট্টগোল দেখা দিলে দাউদ পুর গ্রামের গ্রীস প্রবাসী ২ সন্তানের জনক রশিক মিয়া নিহত হন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে তাকে দাফন করা হয়৷ এঘটনায় আউশকান্দি টু কারখানা কিবরিয়া রোডের দেওতৈল, দরবেশ পুর, দাউদপুর, বোয়ালজুর,
,কারখানা ও বহরমপুর গ্রামের হাজার হাজার জনসাধারণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়া তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি শান্ত করেন৷ এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, এই সড়ক দিয়ে সিএনজি অটোরিকশার শ্রমিকরা কোন ধরনের ছোট্র যানবাহনে যাত্রীগন চলাচলে বাঁধা প্রদান করে রিক্সার চালকদের প্রায়ই মারপিট করে যাত্রীদের লাঞ্চিত করে আসছিলন শ্রমিকরা এতে উক্ত আঞ্চলিক সড়কে
চলাচলের একমাত্র রাস্তা কিবরিয়া রোডে সিএনজি শ্রমিক ও সাধারণ জনতার মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ দেখা দেয় তুঙ্গে৷
অবশেষে বিশিষ্ট সালিশ বিচারক কমিউনিটি লিডার অধ্যাপক আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে দোষী ব্যক্তিরা তাদের দোষ স্বীকার করে নিয়ে ক্ষমাপ্রার্থী হলে এবং একটি লিখিত শান্তি চুক্তি নামায় উভয় পক্ষের নেতৃবৃন্দ এতে স্বাক্ষর করেন৷ ভবিষ্যতে এধরনের জুলুম অত্যাচার হবেনা মর্মে অঙ্গীকারবদ্ধ হন৷ এতে এলাকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত হয৷

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

নবীগঞ্জে আউশকান্দি টু কারখানা কিবরিয়া সড়কে সিএনজি শ্রমিক ও জনতার মধ্যে বিরোধের নিষ্পত্তি

আপডেট টাইম : ১১:৩৩:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার টু কারখানা গ্রাম পর্যন্ত কিবরিয়া সড়কে রিক্সায় যাত্রী বহনকে কেন্দ্র করে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ও সাধারণ জনতার মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে তীব্র ক্ষোভ ও চরম উত্তেজনা দেখা দেয়৷ জানাজায়,গত ২২ মার্চ দুপুরে রিক্সায় যাত্রী বহনকে কেন্দ্রকরে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের সাথে চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়, এঘটনায় রশিক মিয়া নামের এক গ্রীস প্রবাসী দুই সন্তানের জনক নিহত হন৷ এঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ দিনধরে এলাকায় সচেতন নাগরিকদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছিলো৷ এরই প্রেক্ষিতে ওই এলাকার বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তি বর্গের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় বিরোধপূর্ণ ঘটনার মিমাংসার স্বার্থে ৫ দফা সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ সর্বশেষ
গতকাল ৮ এপ্রিল সকাল ১০টায় উপজেলার দাউদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয৷
নবীগঞ্জ উপজেলার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি লিডার অধ্যাপক আব্দুল হান্নান এঁর সভাপতিত্বে ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী সমাজ সেবক সুরুজ্জামান মান্নান এর সঞ্চালনায় সৃস্ট বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সালিশ বৈঠকে বক্তব্য রাখেন এলাকার বিশিষ্ট প্রবীণ সালিশ বিচারক শামসুল আলম কনা মাস্টার, দীঘল বাক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ছালিক মিয়া, হাজী শাহনুর আলম সানুর,হাজী আব্দুল মালিক,, আব্দুল হামিদ নিক্সন,আব্দুল গফ্ফার শাহীন, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি শাহ্ সুলতান আহমেদ,কার্য নির্বাহী সদস্য এম.মুজিবুর রহমান,ইউপি সদস্য ফখরুল ইসলাম জুয়েল, সিএনজি অটোরিকশা সমবায় সমিতির সভাপতি দিলশাদ মিয়া,সাধারণ সম্পাদক রোমান মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু সালেহ জীবন,
,সালিশ বিচারক ফকির ফজলু মিয়া, কাছন মিয়া, কনা মিয়া, দুধু মিয়া, সিরাজ মিয়া,এলাইছ মিয়া, হাজী আব্দুল রউফ, মানিক মিয়া, নুনু মিয়া, নুর মিয়া, হাজী শফিক মিয়া,ধন মিয়া,গুলজার মিয়া, আবির মিয়া, সুপন মিয়া, অজয় সুত্রধর সহ এলাকার বিশিষ্ট সালিশ বিচারকগন,সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ও সাধারণ জনতার মধ্যে দীর্ঘ দিনের সৃস্ট বিরোধ লিখিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়৷ উল্লেখ্যঃ গত ২২ মার্চ সকালে উক্ত সড়কে চলাচলরত রিক্সাযোগে স্থানীয় আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারে যাবার পথিমধ্যে দরবেশ পুর সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যন্ডের ম্যানেজার রাসেল মিয়া কর্তৃক রিক্সার যাত্রী দাউদপুর গ্রামের বশির মিয়া ও আক্কাছ মিয়াকে রিক্সায় যেতে বাঁধা প্রদান করে চরম লাঞ্চিত করেনন এঘটনায় চরম হট্টগোল দেখা দিলে দাউদ পুর গ্রামের গ্রীস প্রবাসী ২ সন্তানের জনক রশিক মিয়া নিহত হন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে তাকে দাফন করা হয়৷ এঘটনায় আউশকান্দি টু কারখানা কিবরিয়া রোডের দেওতৈল, দরবেশ পুর, দাউদপুর, বোয়ালজুর,
,কারখানা ও বহরমপুর গ্রামের হাজার হাজার জনসাধারণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়া তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি শান্ত করেন৷ এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, এই সড়ক দিয়ে সিএনজি অটোরিকশার শ্রমিকরা কোন ধরনের ছোট্র যানবাহনে যাত্রীগন চলাচলে বাঁধা প্রদান করে রিক্সার চালকদের প্রায়ই মারপিট করে যাত্রীদের লাঞ্চিত করে আসছিলন শ্রমিকরা এতে উক্ত আঞ্চলিক সড়কে
চলাচলের একমাত্র রাস্তা কিবরিয়া রোডে সিএনজি শ্রমিক ও সাধারণ জনতার মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ দেখা দেয় তুঙ্গে৷
অবশেষে বিশিষ্ট সালিশ বিচারক কমিউনিটি লিডার অধ্যাপক আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে দোষী ব্যক্তিরা তাদের দোষ স্বীকার করে নিয়ে ক্ষমাপ্রার্থী হলে এবং একটি লিখিত শান্তি চুক্তি নামায় উভয় পক্ষের নেতৃবৃন্দ এতে স্বাক্ষর করেন৷ ভবিষ্যতে এধরনের জুলুম অত্যাচার হবেনা মর্মে অঙ্গীকারবদ্ধ হন৷ এতে এলাকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত হয৷