ঢাকা ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নবীনগরে সূর্যমুখীর হলুদ চাদরে ঢেকে গেছে কৃষি মাঠ: বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সূর্যমুখী চাষ করে লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষকেরা। ইতিমধ্যে বপণকৃত গাছে ফুল ধরেছে। উপজেলার ২১ টি ইউনিয়নে এ রকম চিত্র দেখে মন জুড়িয়ে যায়। বিভিন্ন রাস্তার পাশে চাষ করা হয়েছে সূর্যমুখীর । জমিতে ফুল গুলো যেন হাসি মুখে সূর্র্যের আলো ছড়াচ্ছে, সবুজ গাছের হলুদ ফুলের অপরূপ দৃশ্য। সৌন্দর্য দেখতে আশে পাশের এলাকা থেকে ও ভিড় জমাচ্ছে অনেকেই। শ্যামগ্রামের কৃষক আমির খান জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়ে চলতি বছর আমি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জগলুল হায়দারের পরামর্শে ও মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এই সূর্যমুখী চাষ করা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশা করি ভালো আয় হবে। নবীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, ‌ গত বছর নবীনগর উপজেলার চল্লিশটি প্রজেক্টে পরীক্ষামূলক ভাবে সূর্যমুখী চাষ করা হয়। এতে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় এ বছর পুরো উপজেলার ২১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রচুর সূর্যমুখীর চাষ করা হয়। এটি লাভজনক ফসল, খরচ ও কম,তা ছাড়া সূর্যমুখী বীজের তেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী , তার গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায় বলে ও তিনি উল্লেখ করেন। নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান জানান-সূর্যমুখীর তেল অন্যান্য সাধারণ তেলের চাইতে একটু আলাদা। কোলেস্টেরল মুক্ত প্রচুর পরিমাণে প্রাণশক্তি থাকায় সূর্যমুখী তেল আমাদের শরীরের দুর্বলতা ও কার্যক্ষমতা বাড়ায়। রান্নার জন্য সয়াবিন তেল এর তুলনায় এ তেল দশগুণ বেশি পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ, তাই কৃষকরা দিন দিন সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। এ বছর পৌরসভার দোলাবাড়ি গ্রামে ৩০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। দেখে যেন মনে হয় হলুদের ক্যানভাসে আঁকা একটি অপরূপ গ্রাম। এখানে অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় করছে প্রতিনিয়ত। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে নবীনগরে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

নবীনগরে সূর্যমুখীর হলুদ চাদরে ঢেকে গেছে কৃষি মাঠ: বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

আপডেট টাইম : ০৩:৩২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সূর্যমুখী চাষ করে লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষকেরা। ইতিমধ্যে বপণকৃত গাছে ফুল ধরেছে। উপজেলার ২১ টি ইউনিয়নে এ রকম চিত্র দেখে মন জুড়িয়ে যায়। বিভিন্ন রাস্তার পাশে চাষ করা হয়েছে সূর্যমুখীর । জমিতে ফুল গুলো যেন হাসি মুখে সূর্র্যের আলো ছড়াচ্ছে, সবুজ গাছের হলুদ ফুলের অপরূপ দৃশ্য। সৌন্দর্য দেখতে আশে পাশের এলাকা থেকে ও ভিড় জমাচ্ছে অনেকেই। শ্যামগ্রামের কৃষক আমির খান জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়ে চলতি বছর আমি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জগলুল হায়দারের পরামর্শে ও মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এই সূর্যমুখী চাষ করা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশা করি ভালো আয় হবে। নবীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, ‌ গত বছর নবীনগর উপজেলার চল্লিশটি প্রজেক্টে পরীক্ষামূলক ভাবে সূর্যমুখী চাষ করা হয়। এতে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় এ বছর পুরো উপজেলার ২১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রচুর সূর্যমুখীর চাষ করা হয়। এটি লাভজনক ফসল, খরচ ও কম,তা ছাড়া সূর্যমুখী বীজের তেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী , তার গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায় বলে ও তিনি উল্লেখ করেন। নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান জানান-সূর্যমুখীর তেল অন্যান্য সাধারণ তেলের চাইতে একটু আলাদা। কোলেস্টেরল মুক্ত প্রচুর পরিমাণে প্রাণশক্তি থাকায় সূর্যমুখী তেল আমাদের শরীরের দুর্বলতা ও কার্যক্ষমতা বাড়ায়। রান্নার জন্য সয়াবিন তেল এর তুলনায় এ তেল দশগুণ বেশি পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ, তাই কৃষকরা দিন দিন সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। এ বছর পৌরসভার দোলাবাড়ি গ্রামে ৩০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। দেখে যেন মনে হয় হলুদের ক্যানভাসে আঁকা একটি অপরূপ গ্রাম। এখানে অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় করছে প্রতিনিয়ত। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে নবীনগরে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন হবে।