ঢাকা ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

দুদকের এনামুল বাছির গ্রেপ্তার

আলোর জগত ডেস্ক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘুষ কেলেঙ্কারি মামলার আসামি ছিলেন তিনি।সোমবার রাতে তাকে আটক করা হয়।তার আইনজীবী কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে দারুসসালামের একটি বাসা থেকে বাছিরকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।

আরো পড়ুন :  ৭ আগস্ট ভারত সফরে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

গত ১৬ জুলাই দুদক ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। এরই মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মিজানকে ঘুষ লেনদেনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একই মামলায় গ্রেপ্তার হলেন দুদকের বহিস্কৃত ও বহুল আলোচিত কর্মকর্তা এনামুল বাছির।

দুদকের জনসংযোগ শাখার উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ঘুষ লেনদেনের মামলায় এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে রাতে রমনা থানায় রাখা হয়। আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

দুদক সূত্র জানায়, ডিআইজি মিজানের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় ফাঁস হওয়ার পর অনেকটা আত্মগোপনে ছিলেন এনামুল বাছির। তার বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনি পুরোপুরি আত্মগোপনে চলে যান। এরপর তাকে গ্রেপ্তারের দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম রাজধানীর শাজাহানপুর ও আজিমপুরে তিন দফা অভিযান চালায়। ধারাবাহিক অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বাছিরের বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় বলা হয়, ডিআইজি মিজান তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে অভিযোগটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। একপর্যায়ে তিনি তার অপরাধলব্ধ আয় থেকে বাছিরকে ঘুষ হিসেবে ৪০ লাখ টাকা দেন। সম্প্রতি এ ঘুষ লেনদেনের ক্ষেত্রে মিজান-বাছিরের ফোনালাপের অডিও রেকর্ড একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হয়। পরে এটি ভাইরাল হয়। এর পরই কমিশন ওই ফোনালাপ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। অনুসন্ধান টিম ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারে (এনটিএমসি) তাদের ফোনালাপের রেকর্ডটি প্রযুক্তিগতভাবে পরীক্ষা করে। এতে সেই আলাপচারিতা তাদেরই কণ্ঠ বলে প্রমাণিত হয়। ফোনালাপে অভিযুক্ত মিজান দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন। আর দুদকের সঙ্গে বিশ্বাস ভঙ্গ করে মিজানকে রেহাই দিয়ে অভিযোগটি নথিভুক্ত করতে চেয়েছিলেন বাছির। এর বিনিময়ে মিজানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বাছির। পরে বাছির এ টাকার অবস্থান গোপন করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

দুদকের এনামুল বাছির গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ১২:৫৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘুষ কেলেঙ্কারি মামলার আসামি ছিলেন তিনি।সোমবার রাতে তাকে আটক করা হয়।তার আইনজীবী কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে দারুসসালামের একটি বাসা থেকে বাছিরকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।

আরো পড়ুন :  ৭ আগস্ট ভারত সফরে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

গত ১৬ জুলাই দুদক ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। এরই মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মিজানকে ঘুষ লেনদেনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একই মামলায় গ্রেপ্তার হলেন দুদকের বহিস্কৃত ও বহুল আলোচিত কর্মকর্তা এনামুল বাছির।

দুদকের জনসংযোগ শাখার উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ঘুষ লেনদেনের মামলায় এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে রাতে রমনা থানায় রাখা হয়। আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

দুদক সূত্র জানায়, ডিআইজি মিজানের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় ফাঁস হওয়ার পর অনেকটা আত্মগোপনে ছিলেন এনামুল বাছির। তার বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনি পুরোপুরি আত্মগোপনে চলে যান। এরপর তাকে গ্রেপ্তারের দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম রাজধানীর শাজাহানপুর ও আজিমপুরে তিন দফা অভিযান চালায়। ধারাবাহিক অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বাছিরের বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় বলা হয়, ডিআইজি মিজান তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে অভিযোগটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। একপর্যায়ে তিনি তার অপরাধলব্ধ আয় থেকে বাছিরকে ঘুষ হিসেবে ৪০ লাখ টাকা দেন। সম্প্রতি এ ঘুষ লেনদেনের ক্ষেত্রে মিজান-বাছিরের ফোনালাপের অডিও রেকর্ড একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হয়। পরে এটি ভাইরাল হয়। এর পরই কমিশন ওই ফোনালাপ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। অনুসন্ধান টিম ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারে (এনটিএমসি) তাদের ফোনালাপের রেকর্ডটি প্রযুক্তিগতভাবে পরীক্ষা করে। এতে সেই আলাপচারিতা তাদেরই কণ্ঠ বলে প্রমাণিত হয়। ফোনালাপে অভিযুক্ত মিজান দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন। আর দুদকের সঙ্গে বিশ্বাস ভঙ্গ করে মিজানকে রেহাই দিয়ে অভিযোগটি নথিভুক্ত করতে চেয়েছিলেন বাছির। এর বিনিময়ে মিজানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বাছির। পরে বাছির এ টাকার অবস্থান গোপন করেন।