ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

বাড্ডায় গণপিটুনিতে নারী হত্যাকাণ্ডে আটক ৩

আলোর জগত ডেস্ক :  রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে তাছলিমা নামের নারীকে হত্যার ঘটনায় তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন জাফর, শাহীন, বাপ্পী।

আরো পড়ুন :  শাহজালালে যাত্রীর পায়ুপথে মিললো ১ হাজার ইয়াবা

বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন যুবককে বাড্ডা থেকে আটক করা হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ভাইরাল হওয়া হৃদয় নামের অভিযুক্ত একজনকে এখনও আটক করা যায়নি।

গত শনিবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাছলিমা বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। স্কুলের সামনের গেইটে অভিভাবকরা তাঁর কাছে ভেতরে যাওয়ার কারণ জানতে চান। তাছলিমা জানান, তাঁর সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করবেন। এ সময় অভিভাবকদের কাছে তাঁর কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে তাঁরা তাঁকে ধরে প্রধান শিক্ষিকার কাছে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর নাম-পরিচয় জানতে চাওয়া হয়।

এদিকে, স্কুলে ছেলেধরা এসেছে-এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সেখানে বাঁশের বাজারসহ আশপাশের এলাকার লোকজন ভিড় করে। কিছুক্ষণ পর তাছলিমা প্রধান শিক্ষিকার কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় জড়ো হওয়া লোকজন তাঁকে ধরে স্কুলের সামনেই পিটুনি দিতে শুরু করে। একপর্যায়ে তিনি নিথর হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করা হয়। তাছলিমার ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

 

উল্লেখ্য, আড়াই বছর আগে তাছলিমা বেগম রেনুর সঙ্গে তাঁর স্বামীর তালাক হয়। এ ঘটনার পর থেকে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তাঁর ১১ বছরের একটি ছেলে ও চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। ছেলে তাঁর স্বামীর কাছে থাকে। আর মেয়েটি থাকে তাঁর সঙ্গে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

বাড্ডায় গণপিটুনিতে নারী হত্যাকাণ্ডে আটক ৩

আপডেট টাইম : ০২:১০:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :  রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে তাছলিমা নামের নারীকে হত্যার ঘটনায় তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন জাফর, শাহীন, বাপ্পী।

আরো পড়ুন :  শাহজালালে যাত্রীর পায়ুপথে মিললো ১ হাজার ইয়াবা

বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন যুবককে বাড্ডা থেকে আটক করা হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ভাইরাল হওয়া হৃদয় নামের অভিযুক্ত একজনকে এখনও আটক করা যায়নি।

গত শনিবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাছলিমা বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। স্কুলের সামনের গেইটে অভিভাবকরা তাঁর কাছে ভেতরে যাওয়ার কারণ জানতে চান। তাছলিমা জানান, তাঁর সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করবেন। এ সময় অভিভাবকদের কাছে তাঁর কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে তাঁরা তাঁকে ধরে প্রধান শিক্ষিকার কাছে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর নাম-পরিচয় জানতে চাওয়া হয়।

এদিকে, স্কুলে ছেলেধরা এসেছে-এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সেখানে বাঁশের বাজারসহ আশপাশের এলাকার লোকজন ভিড় করে। কিছুক্ষণ পর তাছলিমা প্রধান শিক্ষিকার কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় জড়ো হওয়া লোকজন তাঁকে ধরে স্কুলের সামনেই পিটুনি দিতে শুরু করে। একপর্যায়ে তিনি নিথর হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করা হয়। তাছলিমার ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

 

উল্লেখ্য, আড়াই বছর আগে তাছলিমা বেগম রেনুর সঙ্গে তাঁর স্বামীর তালাক হয়। এ ঘটনার পর থেকে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তাঁর ১১ বছরের একটি ছেলে ও চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। ছেলে তাঁর স্বামীর কাছে থাকে। আর মেয়েটি থাকে তাঁর সঙ্গে।