মোঃ রুবেল রানা, মাগুরাঃ মাগুরা মহম্মদপুরের পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের নারিকেল বাড়ীয়ার অন্তঃসত্ত্বা মুক্তা পারভীনের পেটে আঘাতের ফলে তার সাত মাসের নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। আর এই ঘটনায় জড়িত সাবেক বিএনপি কর্মী এবং নব্য আঃলীগের নেতা সৈয়দ সিকান্দার আলীর ও জাহাগীর খান সহ সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়ে এলাকাবাসী আজ রবিবার বিকালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
আরো পড়ুন : রিফাত হত্যাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা চেয়ে রিট
এসময় উপস্থিত ছিলেন পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব রেজাউল করিমচুন্নু,বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব রবিউল ইসলাম, বিভিন্ন ওয়ার্ড আঃলীগের নেতৃবৃন্দ ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সকলের একটাই দাবী উক্ত সিকান্দার আলীর ফাঁসি।
উল্লেখ্য, মাগুরা হাসপাতাল ৪দিন পর চিকিৎসাধীন নবজাতকটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে পথেই তার মৃত্যু হয়। হামলার ঘটনায় মুক্তার স্বামী মসলেম আলী মোল্যা বাদি হয়ে পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ সিকান্দার আলীকে প্রধান আসামী করে মহম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ১৬। এদিকে ৮ দিন পার হয়ে গেলেও আসামীদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাঁশ বিক্রয়ের পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৪ জুন নব আওয়ামীলীগ নেতা সিকান্দার আলীসহ জন মুক্তার পিতার বাড়ি উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুক্তার ভাই আহাদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ডাকতে থাকে। আহাদ ভয়ে আত্মগোপন করলে ৭ মাসের অন্তঃসত্তা মুক্তা বেরিয়ে এসে গালিগালাজ বন্ধ করতে বলে। এতে সিকান্দার আলীসহ মামলার আসামীগন ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তার পারভীনকে রক্তাক্ত এবং ফোলা বেদনাযুক্ত জখম করে। মুক্তা অজ্ঞান হয়ে পড়লে আসামীরা ভাংচুর ও লুটপাট করে। এরপর তার ভাই আহাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে এবং আসামীরা স্থান ত্যাগ করে।