ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :

ডিআইজি মিজানের ঘুষকাণ্ড তদন্তে কমিটি গঠন

আলোর জগত ডেস্ক :  দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত প্রতিবেদন প্রভাবিত করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে ডিআইজি মিজানের ঘুষ দেয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছে পুলিশ সদর দফতর। অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (অ্যাডমিন অ্যান্ড অপারেশন) ড. মইনুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের এ তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) শাহাবুদ্দীন কোরেশী ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মিয়া মাসুদ হোসেন।

আরো পড়ুন :   ত্যাগীদের অবহেলা করলে আ.লীগ টিকবে না : যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের

আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এআইজি সোহেল রানা বলেন, ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একটি জাতীয় পত্রিকায় ‘তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার’ শিরোনামে মিজানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হলে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরসহ দুদকের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সম্প্রতি দুদকের প্রতিবেদনে তার দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির তার (মিজান) কাছ থেকে রিপোর্ট পরিবর্তনের জন্য ৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

তথ্য পাচারের অভিযোগে ইতিমধ্যে ওই তদন্ত কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল বাছিরকে বরখাস্ত করেছে দুদক।খন্দকার এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে অ্যান্টিকরাপশন অফিসার (এসিও) হিসেবে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে চিকিৎসার চেক হস্তান্ত, সাবেক এম পি নুরুল আমিন রুহুল

ডিআইজি মিজানের ঘুষকাণ্ড তদন্তে কমিটি গঠন

আপডেট টাইম : ০৩:৪৫:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :  দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত প্রতিবেদন প্রভাবিত করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে ডিআইজি মিজানের ঘুষ দেয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছে পুলিশ সদর দফতর। অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (অ্যাডমিন অ্যান্ড অপারেশন) ড. মইনুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের এ তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) শাহাবুদ্দীন কোরেশী ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মিয়া মাসুদ হোসেন।

আরো পড়ুন :   ত্যাগীদের অবহেলা করলে আ.লীগ টিকবে না : যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের

আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এআইজি সোহেল রানা বলেন, ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একটি জাতীয় পত্রিকায় ‘তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার’ শিরোনামে মিজানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হলে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরসহ দুদকের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সম্প্রতি দুদকের প্রতিবেদনে তার দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির তার (মিজান) কাছ থেকে রিপোর্ট পরিবর্তনের জন্য ৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

তথ্য পাচারের অভিযোগে ইতিমধ্যে ওই তদন্ত কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল বাছিরকে বরখাস্ত করেছে দুদক।খন্দকার এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে অ্যান্টিকরাপশন অফিসার (এসিও) হিসেবে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।