ঢাকা ১২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

রাজীবের মৃত্যু : প্রতিবেদন ৮ জুলাই

আলোর জগত ডেস্ক :   রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেপরোয়া দুই বাসের চাপায় সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ জুলাই নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ বুধবার মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী নতুন এ দিন ধার্য করেন।

আরো পড়ুন :   মেহেরপুরে বন্দুকযুদ্ধে যুবক নিহত

আরো পড়ুন :  বগুড়া-৬ উপনির্বাচন : খালেদা জিয়াসহ মনোনয়নপত্র নিচ্ছেন বিএনপির ৫ জন

২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। বাসটি হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছলে হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসির বাসটি ঘেঁষে অতিক্রম করে। এ সময় দুই বাসের প্রবল চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এতে তার মাথায়ও প্রচণ্ড আঘাত লাগে।

দুর্ঘটনার পর তাকে প্রথমে শমরিতা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ১০ এপ্রিল ভোর পৌনে ৪টায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন রাজীব। এরপর ওইদিন সকাল ৮টায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। একই বছরের ১৭ এপ্রিল তিনি মারা যান।

মৃত্যুর আগে ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় পেনাল কোডের ২৭৯/৩৩৮ এর ‘ক’ ধারায় মামলা করেন রাজীব (মামলা নম্বর ১১(৪)১৮)। ২৭৯ ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছর ও ৩৩৮ ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছরের জেল।

মামলার পরই বিআরটিসি বাসের চালক ওয়াহিদ ও স্বজন পরিবহনের বাসের চালক মো. খোরশেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। রাজীবের মৃত্যুর পর বেপরোয়া যান চালিয়ে হত্যার অভিযোগের একটি ধারা ওই মামলায় যুক্ত করার আবেদন করেন শাহবাগ থানা পুলিশ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

রাজীবের মৃত্যু : প্রতিবেদন ৮ জুলাই

আপডেট টাইম : ০৫:১০:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :   রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেপরোয়া দুই বাসের চাপায় সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ জুলাই নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ বুধবার মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী নতুন এ দিন ধার্য করেন।

আরো পড়ুন :   মেহেরপুরে বন্দুকযুদ্ধে যুবক নিহত

আরো পড়ুন :  বগুড়া-৬ উপনির্বাচন : খালেদা জিয়াসহ মনোনয়নপত্র নিচ্ছেন বিএনপির ৫ জন

২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। বাসটি হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছলে হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসির বাসটি ঘেঁষে অতিক্রম করে। এ সময় দুই বাসের প্রবল চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এতে তার মাথায়ও প্রচণ্ড আঘাত লাগে।

দুর্ঘটনার পর তাকে প্রথমে শমরিতা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ১০ এপ্রিল ভোর পৌনে ৪টায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন রাজীব। এরপর ওইদিন সকাল ৮টায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। একই বছরের ১৭ এপ্রিল তিনি মারা যান।

মৃত্যুর আগে ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় পেনাল কোডের ২৭৯/৩৩৮ এর ‘ক’ ধারায় মামলা করেন রাজীব (মামলা নম্বর ১১(৪)১৮)। ২৭৯ ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছর ও ৩৩৮ ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছরের জেল।

মামলার পরই বিআরটিসি বাসের চালক ওয়াহিদ ও স্বজন পরিবহনের বাসের চালক মো. খোরশেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। রাজীবের মৃত্যুর পর বেপরোয়া যান চালিয়ে হত্যার অভিযোগের একটি ধারা ওই মামলায় যুক্ত করার আবেদন করেন শাহবাগ থানা পুলিশ।