আলোর জগত ডেস্ক : দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিসহ সবাইকে বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করি। গড়ে তুলি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ আমাদের সবার জীবনে অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে এ প্রত্যাশা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন বছরের প্রথম দিনে আমরা অতীতের গ্লানি ভুলে জীবনের এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে আশায় বুক বাঁধি। দেনা-পাওনা চুকিয়ে নতুন করে শুরু হয় জীবনের জয়গান। পহেলা বৈশাখ তাই যুগ যুগ ধরে বাঙালির মননে-মানসে শুধু বিনোদনের উৎস নয়, বৈষয়িক বিষয়েরও আধার’।
বাংলা নববর্ষ এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং বাঙালি জনগোষ্ঠী বর্ষবরণ উৎসবকে ধারণ করেছে তাদের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলা নববর্ষের উন্মেষ মূলত গ্রামীণ জীবন ঘিরে। হালখাতা উৎসব এবং গ্রামীণ মেলা ছিল একসময়ের মূল আকর্ষণ। হালখাতা উৎসব কালক্রমে প্রবেশ করেছে নগরজীবনে। দেশের প্রতিটি শহরেই পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ ঘিরে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। রাজধানী ঢাকায় আশির দশকের সংযোজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’, যা আজ জাতিসংঘের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে’।
নববর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়, হালখাতা, নতুন পোশাক এবং মিষ্টান্নসহ হরেক রকমের খাবারের জমজমাট আয়োজন, সব মিলিয়ে বাংলা নববর্ষ বিনোদনের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে নতুনত্ব এনেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাঙালির এই শাশ্বত সর্বজনীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে নানা উদ্যোগ নিয়েছি। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বাংলা নববর্ষ উৎসব-ভাতা প্রবর্তন করা হয়েছে। আমরা আজ জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করছি। গত ১০ বছরে আমরা দেশের প্রতিটি খাতে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করেছি। আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ‘রোল মডেল’। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে আমাদের সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছে’।