আলোর জগত ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরেছেন, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার সংস্কৃতি পাকিস্তানি ও বিএনপি জামায়াতের। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে। আর ২০১৪-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রীকে যারা পুড়িয়ে মেরেছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পেতেই হবে বলেও জানান তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভার শুরুতে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন দিয়ে হত্যা করে তারা (জড়িতরা) জঘন্য কাজ করেছে। এ ধরনের জঘন্য হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই।
তিনি বলেন, অপরাধীদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শাস্তি তাদের পেতে হবে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত আছে তাদের খুঁজে বের করা হবে। তারা কেউ রেহাই পাবে না।
বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, এইচ টি ইমাম, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সৈয়দ রেজাউল রহমান, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রফেসর আব্দুল খালেদ, প্রফেসর হামিদা বানু, মুকুল বোস, অ্যাম্বাসেডর জমির, মশিউর রহমান, মহীউদ্দিন খান আলমগীরসহ অন্যরা।
নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে এর আগেও ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।
এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে কৌশলে একটি বহুতল ভবনে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।
ঘটনার চারদিন পর বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত। বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়।