ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

ট্রাম্পকে ‘ম্যাজিক ম্যান’ বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ফাইল ছবি

আলোর জগত ডেস্ক :   যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ম্যাজিক ম্যান’ (জাদুকর) বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জার্নাল পলিটিকোতে প্রকাশিত এক সাক্ষাত্কারে ড. মোমেন ২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, আপনি পছন্দ করুন আর নাই করুন, তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। আপনি পছন্দ করুন আর নাই করুন, আজ পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক লোক তাঁকে সমর্থন করে। তিনি একজন ম্যাজিক ম্যান।

উল্লেখ্য, ড. মোমেন দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। তিনি তাঁর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে মূল্যায়নের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, মানবাধিকার লংঘনের তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই বেশি প্রযোজ্য।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে গত সপ্তাহে প্রথম বারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ড. মোমেন পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেন, অভিবাসী সম্প্রদায়ের কঠোর পরিশ্রমেই যুক্তরাষ্ট্র আজকের অবস্থানে এসেছে। তাই অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া বা অভিবাসী ঠেকাতে সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের মতো উদ্যোগ ট্রাম্পের নেওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টি সংকুচিত করার বদলে প্রসারিত করা উচিত।

ড. মোমের বলেন, সার্বিকভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের খুব বেশি নাক না গলানোরও তিনি প্রশংসা করেন।

রোহিঙ্গা গণহত্যাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবেই ট্রাম্প প্রশাসনের অভিহিত করা উচিত বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কারণ ‘গণহত্যা’ বললে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এখতিয়ার বলেও তিনি জানান।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য কোটি কোটি টাকার মানবিক সহায়তা দেওয়ায় ট্রাম্প প্রশাসনের প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওয়াশিংটনের এখন তার জাপানের মতো এশীয় মিত্রকে ভূমিকা বাড়াতে বলা উচিত। এমনকি তা মিয়ানমারের বড় মিত্র চীন বিরক্ত হলেও এমনটি করা উচিত।

ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার জন্য মিয়ানমারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ওই দেশটির সামরিক অধিনায়কসহ অন্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আরো ভূমিকা রাখতে পারে। এমনকি চীনের সঙ্গেও এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করতে পারে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

ট্রাম্পকে ‘ম্যাজিক ম্যান’ বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০২:১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :   যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ম্যাজিক ম্যান’ (জাদুকর) বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জার্নাল পলিটিকোতে প্রকাশিত এক সাক্ষাত্কারে ড. মোমেন ২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, আপনি পছন্দ করুন আর নাই করুন, তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। আপনি পছন্দ করুন আর নাই করুন, আজ পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক লোক তাঁকে সমর্থন করে। তিনি একজন ম্যাজিক ম্যান।

উল্লেখ্য, ড. মোমেন দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। তিনি তাঁর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে মূল্যায়নের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, মানবাধিকার লংঘনের তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই বেশি প্রযোজ্য।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে গত সপ্তাহে প্রথম বারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ড. মোমেন পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেন, অভিবাসী সম্প্রদায়ের কঠোর পরিশ্রমেই যুক্তরাষ্ট্র আজকের অবস্থানে এসেছে। তাই অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া বা অভিবাসী ঠেকাতে সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের মতো উদ্যোগ ট্রাম্পের নেওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টি সংকুচিত করার বদলে প্রসারিত করা উচিত।

ড. মোমের বলেন, সার্বিকভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের খুব বেশি নাক না গলানোরও তিনি প্রশংসা করেন।

রোহিঙ্গা গণহত্যাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবেই ট্রাম্প প্রশাসনের অভিহিত করা উচিত বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কারণ ‘গণহত্যা’ বললে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এখতিয়ার বলেও তিনি জানান।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য কোটি কোটি টাকার মানবিক সহায়তা দেওয়ায় ট্রাম্প প্রশাসনের প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওয়াশিংটনের এখন তার জাপানের মতো এশীয় মিত্রকে ভূমিকা বাড়াতে বলা উচিত। এমনকি তা মিয়ানমারের বড় মিত্র চীন বিরক্ত হলেও এমনটি করা উচিত।

ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার জন্য মিয়ানমারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ওই দেশটির সামরিক অধিনায়কসহ অন্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আরো ভূমিকা রাখতে পারে। এমনকি চীনের সঙ্গেও এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করতে পারে।