০১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে রোবট রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭
  • ৩২১ Time View

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের প্রথম রোবট রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু হয়েছে। এ রেস্টুরেন্টে কোনো মানুষ নয়, কেবল রোবটই কাস্টমারদের খাবার সরবরাহ করছে। রাজধানীর মিরপুর রোডে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন এবং আসাদ গেটের কাছে প্রধান সড়কের ফ্যামিলি ওয়ার্ল্ড টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় এ রেস্টুরেন্টটির অবস্থান।

বুধবার প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অডিটরিয়ামে রেস্টুরেন্টটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যাত্রা শুরু উপলক্ষে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ এবং রোবট প্রস্তুতকারী সংস্থা এইচ জেড এক্স ইলেকট্রনিক টেকনোলজি কোম্পানি যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজকরা বলেন, বাংলাদেশে এটিই এ ধরনের প্রথম রেস্টুরেন্ট যেখানে রোবটের মাধ্যমে কাস্টমারদের খাবার সরবরাহ করা হবে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন মাইলফলক এবং নতুন দিগন্তের সূচনা করলো। বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে এ রেস্টুরেন্টটি পরিচালনা করবে বলে সম্মেলনে জানানো হয়।

 

শিশুদের বিনোদন ও খাবারের বিষয়টি চিন্তা করেই এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। রেস্টুরেন্টটির পরিচালক রাহিন রাইয়ান নবী বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় যে ওয়েটাররা কয়েক ঘণ্টা কাজ করার পরে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। সেই ক্লান্ত অবস্থায়ই তারা কাস্টমারদের খাবার সরবরাহ করতে বাধ্য হন। কিন্তু রোবট কখনোই ক্লান্ত হবে না। তাই যখন রোবট খাবার সরবরাহ করবে তখন এটি কাস্টমারকে আরও ভালো সেবা দিতে পারবে। সেটি সব বয়সের মানুষের জন্য অত্যন্ত রোমাঞ্চকর পরিবেশও তৈরি করবে। বিশেষ করে শিশুরা সবচেয়ে বেশি রোমাঞ্চিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খাবারের দাম সাধ্যের মধ্যেই রাখা হবে যাতে সব শ্রেণির মানুষই এ সেবা নিতে পারেন। শিশুদের জন্য আমাদের বিশেষ কিছু খাবার থাকছে। এবং আমরা খাবারের মান ও পারিবারিক পরিবেশ অবশ্যই বজায় রাখা হবে। যাতে করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যে কেউ এখানে খেতে আসতে পারেন।’

যারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তাদের সবাইকেই রোবটের কার্যক্রম দেখেন। উপস্থিত সবার জন্যই এটি ছিল একটি সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা।

 

রেস্টুরেন্টটির পরিচালক আরো বলেন, একজন ওয়েটারের পক্ষে সব সময় খাবারের গুণগতমান নিশ্চিত করা ও জীবানুমুক্ত থাকা সম্ভব হয় না। তাই আমরা রোবট দিয়ে এসব কাজ করাচ্ছি। রেস্টুরেন্টটিতে প্রাথমিকভাবে দুইটি রোবট কাজ শুরু করবে।

সংবাদ সম্মেলনে রেস্টুরেন্টটির পরিচালক রাহিন রাইয়ান নবী, এইচ জেড এক্স ইলেকট্রনিক টেকনোলজি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাক্স সোয়াজ, কাস্টমার রিলেশন ম্যানেজার তানভিরুল হক উপস্থিত ছিলেন।

এইচ জেড এক্স ইলেকট্রনিক টেকনোলজি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাক্স সোয়াজ জানিয়েছেন, বাংলাদেশে রোবট ডিজিটালাইজেশনের জন্য যে কোনো সহযোগিতা করার জন্য তারা সব সময় প্রস্তুত।

 

যে কারণে এ উদ্যোগ

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আনোয়ারুন নবী মজুমদারের দুই সন্তান তাসিন রওনাক নবী এবং রাহিন রাইয়ান নবী বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য অধ্যয়নরত অবস্থায় চীন সফরে যান। সেখানে গিয়ে তারা চীনের রোবট দ্বারা খাবার সরবরাহ পদ্ধতি দেখে আকৃষ্ট হন। তারা তখন সংশ্লিষ্ট রোবট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাক্স সোয়ার্জ এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বাংলাদেশে রোবট রেস্টুরেন্টে চালুর বিষয়ে আলোচনা করেন। এর প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে এটি বাংলাদেশে চালু করা হয়।

সর্বসাধারণের সুবিধার্থে প্রাথমিক অবস্থায় আগামী এক মাসের জন্য শিশুদের ‘কিডমিল’ এবং দেশীয় খাবারের সেট ফুড পরিবেশন করা হবে। যার মূল্য সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকার বেশি হবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সাকিবকে টপকে টেস্ট সেরা তাইজুল

বাংলাদেশে রোবট রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু

Update Time : ০৫:০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭

বাংলাদেশের প্রথম রোবট রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু হয়েছে। এ রেস্টুরেন্টে কোনো মানুষ নয়, কেবল রোবটই কাস্টমারদের খাবার সরবরাহ করছে। রাজধানীর মিরপুর রোডে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন এবং আসাদ গেটের কাছে প্রধান সড়কের ফ্যামিলি ওয়ার্ল্ড টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় এ রেস্টুরেন্টটির অবস্থান।

বুধবার প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অডিটরিয়ামে রেস্টুরেন্টটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যাত্রা শুরু উপলক্ষে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ এবং রোবট প্রস্তুতকারী সংস্থা এইচ জেড এক্স ইলেকট্রনিক টেকনোলজি কোম্পানি যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজকরা বলেন, বাংলাদেশে এটিই এ ধরনের প্রথম রেস্টুরেন্ট যেখানে রোবটের মাধ্যমে কাস্টমারদের খাবার সরবরাহ করা হবে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন মাইলফলক এবং নতুন দিগন্তের সূচনা করলো। বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে এ রেস্টুরেন্টটি পরিচালনা করবে বলে সম্মেলনে জানানো হয়।

 

শিশুদের বিনোদন ও খাবারের বিষয়টি চিন্তা করেই এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। রেস্টুরেন্টটির পরিচালক রাহিন রাইয়ান নবী বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় যে ওয়েটাররা কয়েক ঘণ্টা কাজ করার পরে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। সেই ক্লান্ত অবস্থায়ই তারা কাস্টমারদের খাবার সরবরাহ করতে বাধ্য হন। কিন্তু রোবট কখনোই ক্লান্ত হবে না। তাই যখন রোবট খাবার সরবরাহ করবে তখন এটি কাস্টমারকে আরও ভালো সেবা দিতে পারবে। সেটি সব বয়সের মানুষের জন্য অত্যন্ত রোমাঞ্চকর পরিবেশও তৈরি করবে। বিশেষ করে শিশুরা সবচেয়ে বেশি রোমাঞ্চিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খাবারের দাম সাধ্যের মধ্যেই রাখা হবে যাতে সব শ্রেণির মানুষই এ সেবা নিতে পারেন। শিশুদের জন্য আমাদের বিশেষ কিছু খাবার থাকছে। এবং আমরা খাবারের মান ও পারিবারিক পরিবেশ অবশ্যই বজায় রাখা হবে। যাতে করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যে কেউ এখানে খেতে আসতে পারেন।’

যারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তাদের সবাইকেই রোবটের কার্যক্রম দেখেন। উপস্থিত সবার জন্যই এটি ছিল একটি সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা।

 

রেস্টুরেন্টটির পরিচালক আরো বলেন, একজন ওয়েটারের পক্ষে সব সময় খাবারের গুণগতমান নিশ্চিত করা ও জীবানুমুক্ত থাকা সম্ভব হয় না। তাই আমরা রোবট দিয়ে এসব কাজ করাচ্ছি। রেস্টুরেন্টটিতে প্রাথমিকভাবে দুইটি রোবট কাজ শুরু করবে।

সংবাদ সম্মেলনে রেস্টুরেন্টটির পরিচালক রাহিন রাইয়ান নবী, এইচ জেড এক্স ইলেকট্রনিক টেকনোলজি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাক্স সোয়াজ, কাস্টমার রিলেশন ম্যানেজার তানভিরুল হক উপস্থিত ছিলেন।

এইচ জেড এক্স ইলেকট্রনিক টেকনোলজি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাক্স সোয়াজ জানিয়েছেন, বাংলাদেশে রোবট ডিজিটালাইজেশনের জন্য যে কোনো সহযোগিতা করার জন্য তারা সব সময় প্রস্তুত।

 

যে কারণে এ উদ্যোগ

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আনোয়ারুন নবী মজুমদারের দুই সন্তান তাসিন রওনাক নবী এবং রাহিন রাইয়ান নবী বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য অধ্যয়নরত অবস্থায় চীন সফরে যান। সেখানে গিয়ে তারা চীনের রোবট দ্বারা খাবার সরবরাহ পদ্ধতি দেখে আকৃষ্ট হন। তারা তখন সংশ্লিষ্ট রোবট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাক্স সোয়ার্জ এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বাংলাদেশে রোবট রেস্টুরেন্টে চালুর বিষয়ে আলোচনা করেন। এর প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে এটি বাংলাদেশে চালু করা হয়।

সর্বসাধারণের সুবিধার্থে প্রাথমিক অবস্থায় আগামী এক মাসের জন্য শিশুদের ‘কিডমিল’ এবং দেশীয় খাবারের সেট ফুড পরিবেশন করা হবে। যার মূল্য সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকার বেশি হবে না।