ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

অবশেষে হাতিরঝিল ছাড়ছে বিজিএমইএ

আলোর জগত ডেস্ক:  অবশেষে বহুল আলোচিত হাতিরঝিলের বিজিএমইএ ভবন খালি হচ্ছে আগামী ৩ এপ্রিল। ওই দিন রাজধানীর উত্তরায় তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠনটির নতুন প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, আগামী ৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিজিএমইএ-র নতুন ভবন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছন বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।

তিনি জানান, উত্তরার নতুন ভবনের চারতলার কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আমাদের কাজ সেখানে চালিয়ে নিতে পারবো। তবে ভবনে চলাচল উপযোগী সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও চলছে।

জানা গেছে, দুই টাওয়ারসমৃদ্ধ বিজিএমইএ নতুন বহুতল ভবনটি উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত।

১৩ তলা কমপ্লেক্সেটির ৬ষ্ঠ তলায় এখন চলছে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ। ৪ লাখ ৬৪ হাজার বর্গফুটের কমপ্লেক্সটিতে থাকছে দুটি বেইজমেন্ট। এর ওপর ১৩ তলার দুটি টাওয়ারের মধ্যখানে থাকবে ৫ তলা টাওয়ার।

নির্মাণের শেষ পর্যায়ে এসে কাজ চলছে দিন-রাত।

কমপ্লেক্সের এক থেকে চার তলা ব্যবহার করবে বিজিএমইএ। থাকবে অডিটরিয়াম, এক্সিবিশন সেন্টার, শোরুমসহ নানা আধুনিক সুবিধা। নির্মাণ খরচ তিনশ কোটি টাকার বড় অংশই আসছে ফ্লোর বিক্রি করে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিলের মধ্যে হাতিরঝিলের ভবনটি খালি করে দেওয়া হবে এই মর্মে আদালতের কাছে মুচলেকা দিয়েছে বিজিএমইএ।

উল্লেখ্য, রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই কাওরানবাজার সংলগ্ন বেগুনবাড়ি খালে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর দেশের একটি ইংরেজি দৈনিকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই দিনই প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনিরউদ্দিন আদালতে উপস্থাপন করেন।

এর পরদিন বিজিএমইএ ভবন কেন ভাঙ্গার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তার কারণ জানতে চেয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিজিএমইএ’র ভবন ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন। রায়ে বিজিএমইএকে নিজস্ব অর্থায়নে ভবনটি ভাঙতে বলা হয়। ওই বছরের ৫ এপ্রিল বিজিএমইএ’র আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন।

পরবর্তী সময়ে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়ান। এর দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ হাইকোর্টের ৬৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপির পর লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। যেটা ২০১৬ সালের ২ জুন খারিজ হয়ে যায়। এরপর বিজিএমইএ আবার রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) আবেদন করেন। তাও শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২ জুন সেই সময়কার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ খারিজ করে দেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

অবশেষে হাতিরঝিল ছাড়ছে বিজিএমইএ

আপডেট টাইম : ০৩:৪০:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক:  অবশেষে বহুল আলোচিত হাতিরঝিলের বিজিএমইএ ভবন খালি হচ্ছে আগামী ৩ এপ্রিল। ওই দিন রাজধানীর উত্তরায় তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠনটির নতুন প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, আগামী ৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিজিএমইএ-র নতুন ভবন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছন বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।

তিনি জানান, উত্তরার নতুন ভবনের চারতলার কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আমাদের কাজ সেখানে চালিয়ে নিতে পারবো। তবে ভবনে চলাচল উপযোগী সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও চলছে।

জানা গেছে, দুই টাওয়ারসমৃদ্ধ বিজিএমইএ নতুন বহুতল ভবনটি উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত।

১৩ তলা কমপ্লেক্সেটির ৬ষ্ঠ তলায় এখন চলছে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ। ৪ লাখ ৬৪ হাজার বর্গফুটের কমপ্লেক্সটিতে থাকছে দুটি বেইজমেন্ট। এর ওপর ১৩ তলার দুটি টাওয়ারের মধ্যখানে থাকবে ৫ তলা টাওয়ার।

নির্মাণের শেষ পর্যায়ে এসে কাজ চলছে দিন-রাত।

কমপ্লেক্সের এক থেকে চার তলা ব্যবহার করবে বিজিএমইএ। থাকবে অডিটরিয়াম, এক্সিবিশন সেন্টার, শোরুমসহ নানা আধুনিক সুবিধা। নির্মাণ খরচ তিনশ কোটি টাকার বড় অংশই আসছে ফ্লোর বিক্রি করে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিলের মধ্যে হাতিরঝিলের ভবনটি খালি করে দেওয়া হবে এই মর্মে আদালতের কাছে মুচলেকা দিয়েছে বিজিএমইএ।

উল্লেখ্য, রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই কাওরানবাজার সংলগ্ন বেগুনবাড়ি খালে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর দেশের একটি ইংরেজি দৈনিকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই দিনই প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনিরউদ্দিন আদালতে উপস্থাপন করেন।

এর পরদিন বিজিএমইএ ভবন কেন ভাঙ্গার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তার কারণ জানতে চেয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিজিএমইএ’র ভবন ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন। রায়ে বিজিএমইএকে নিজস্ব অর্থায়নে ভবনটি ভাঙতে বলা হয়। ওই বছরের ৫ এপ্রিল বিজিএমইএ’র আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন।

পরবর্তী সময়ে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়ান। এর দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ হাইকোর্টের ৬৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপির পর লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। যেটা ২০১৬ সালের ২ জুন খারিজ হয়ে যায়। এরপর বিজিএমইএ আবার রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) আবেদন করেন। তাও শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২ জুন সেই সময়কার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ খারিজ করে দেন।