ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

তোমরাই গড়বে আগামীর বাংলাদেশ

আলোর জগত ডেস্ক :   দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের কর্ণধার। আজকের শিশুদের মধ্যেই কেউ প্রধানমন্ত্রী হবে, মন্ত্রী হবে, বড় বড় চাকরি করবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা আমাদের শিশুদের সেভাবে গড়ে তুলতে চাই। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে, দেশকে ভালোবেসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তারা দেশ গড়ে তুলবে। আজ মঙ্গলবার সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় শিশু-কিশোর কুচকাওয়াজ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সমবেত শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তোমাদের। তোমরাই গড়ে তুলবে আগামী দিনের বাংলাদেশ। ইনশাআল্লাহ এই বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ-উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ।

শিশু-কিশোরদের আশীর্বাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তোমরা বাবা-মার কথা শুনবে, শিক্ষকদের কথা শুনবে, নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলবে, সুন্দরভাবে জীবন যাপন করবে, সেটাই আমরা কামনা করি।

এই শিশু-কিশোরদের মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের কুফল সম্পর্কে জানাতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এর হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করতে হবে। অভিভাবক, বাবা-মা—তাঁদের অবশ্যই সব সময় লক্ষ রাখতে হবে সন্তান কোথায় যায়, কার সাথে মেশে, কিভাবে মেশে। সকলে যাতে লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দেয়। খেলাধুলা, শরীরচর্চা, নানা ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শিশুদের মনন ও মেধা যেন বিকশিত হয়।

সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অভিবাদন মঞ্চে আসার পর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী হেঁটে প্যারেড পরিদর্শন করেন।

শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পর্যায়ে শুদ্ধ সুরে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক—এই তিন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ৯০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

পুরস্কার বিতরণের পর সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিশু-কিশোরদের সংগঠন মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিবেশন করে। কুচকাওয়াজের পর শিশু-কিশোরদের সমাবেশে এবারের থিম সং ‘নোঙ্গর তোল তোল সময় যে হল হল’ গানটি পরিবেশন করা হয়। গানের সুরের দোলায় স্টেডিয়াম মাঠ অতিক্রম করে দৃষ্টিনন্দন নৌকা। নৌকার পেছনে বর্ণাঢ্য গাড়িবহরের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন-অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। সব শেষে শিশু-কিশোর সমাবেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পরিবেশনা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিশু-কিশোর সংগঠনের মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনা উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

তোমরাই গড়বে আগামীর বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ১০:২৪:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :   দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের কর্ণধার। আজকের শিশুদের মধ্যেই কেউ প্রধানমন্ত্রী হবে, মন্ত্রী হবে, বড় বড় চাকরি করবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা আমাদের শিশুদের সেভাবে গড়ে তুলতে চাই। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে, দেশকে ভালোবেসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তারা দেশ গড়ে তুলবে। আজ মঙ্গলবার সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় শিশু-কিশোর কুচকাওয়াজ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সমবেত শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তোমাদের। তোমরাই গড়ে তুলবে আগামী দিনের বাংলাদেশ। ইনশাআল্লাহ এই বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ-উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ।

শিশু-কিশোরদের আশীর্বাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তোমরা বাবা-মার কথা শুনবে, শিক্ষকদের কথা শুনবে, নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলবে, সুন্দরভাবে জীবন যাপন করবে, সেটাই আমরা কামনা করি।

এই শিশু-কিশোরদের মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের কুফল সম্পর্কে জানাতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এর হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করতে হবে। অভিভাবক, বাবা-মা—তাঁদের অবশ্যই সব সময় লক্ষ রাখতে হবে সন্তান কোথায় যায়, কার সাথে মেশে, কিভাবে মেশে। সকলে যাতে লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দেয়। খেলাধুলা, শরীরচর্চা, নানা ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শিশুদের মনন ও মেধা যেন বিকশিত হয়।

সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অভিবাদন মঞ্চে আসার পর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী হেঁটে প্যারেড পরিদর্শন করেন।

শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পর্যায়ে শুদ্ধ সুরে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক—এই তিন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ৯০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

পুরস্কার বিতরণের পর সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিশু-কিশোরদের সংগঠন মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিবেশন করে। কুচকাওয়াজের পর শিশু-কিশোরদের সমাবেশে এবারের থিম সং ‘নোঙ্গর তোল তোল সময় যে হল হল’ গানটি পরিবেশন করা হয়। গানের সুরের দোলায় স্টেডিয়াম মাঠ অতিক্রম করে দৃষ্টিনন্দন নৌকা। নৌকার পেছনে বর্ণাঢ্য গাড়িবহরের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন-অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। সব শেষে শিশু-কিশোর সমাবেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পরিবেশনা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিশু-কিশোর সংগঠনের মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনা উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।