আলোর জগত ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মিয়ানমারের দুই রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়েছেন। আজ পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় কক্সবাজারের পেকুয়ায় আরো দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। উভয় ঘটনা মিলে কক্সবাজার জেলায় মোট চারজন নিহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার খারাংখালী এলাকায় উভয় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি টেকনাফের ২নং বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার খারাংখালীর নাফ নদ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে দুই রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় সেখানে টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদের বাধা দেন। এতে তারা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের দেহ তল্লাশি করে এক লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে বিজিবি বাদী হয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় কক্সবাজারের পেকুয়ায় আরো দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশে তৈরি ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৬ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুই জলদস্যুকে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে র্যাবের পক্ষ থেকে পেকুয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আজ বুধবার ভোর চারটার দিকে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা পেকুয়ার মগনামা ঘাটের বাজারের কাছে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে।
র্যাব জানিয়েছে, বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুইজনের পরিচয় এখনো পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। তবে তারা পেকুয়া বা আশপাশের এলাকার সন্দেহভাজন জলদস্যু হতে পারে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য র্যাব কাজ করছে।
র্যাব-৭ জানিয়েছে, ‘সমুদ্র উপকূলে ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার খবর গোপনে পেয়ে র্যাব আজ বুধবার ভোরে অভিযানে যায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুঁড়ে একদল জলদস্যু। পাল্টা জবাবে র্যাবও গুলি চালায়। বেশকিছুক্ষণ ধরে উভয়পক্ষে চলে বন্দুকযুদ্ধ। এতে ঘটনাস্থলে সন্দেহভাজন দুই জলদস্যু নিহত হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ৪টি ওয়ান শুটার গান, ৩টি এসবিবিএল, ১টি ডিবিবিএল ও ২৬ রাউন্ড গুলি।’
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানায় পৃথক তিনটি মামলা রুজু করার প্রস্তুতি চলছে। নিহত দুইজনের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়ানতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।