আলোর জগত ডেস্ক : ২৬ শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা মাস ব্যাপী অক্লান্ত পরিশ্রম করে সৌধ প্রাঙ্গণকে দিয়েছে এক নতুন রুপ। নানা রঙ্গের বাহারী ফুলের চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে স্মৃতিসৌধের সবুজ চত্বর। চত্বরের সিড়ি ও নানা স্থাপনায় পড়েছে রং-তুলির আচড়। নিরপত্তার জন্য ওয়াচ টাওয়ার নির্মান, উচ্চ মাত্রার সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক নজরদারীসহ সৌধ এলাকায় থাকবে তিন স্তুরের নিরাপত্তা বলয়।
স্মৃতিসৌধে আগত দর্শনার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত এবং এর আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিসহ মোতায়েন থাকবে শহস্রাধিক পুলিশ সদস্য।
দিবসটির প্রথম প্রহরেই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী শহীদ বেধীতে ফুল দিয়ে বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। তাই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদানের জন্য একটি সুসজ্জিত দল তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আগামী ২৩ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত স্মৃতিসৌধের অভ্যন্তরে সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। ২৬ মার্চ সকালে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তা সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
স্মৃতিসৌধের ফুল বাগানের ক্ষতিসাধন না করতে এবং গাবতলী থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সড়কে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনসহ কোন ধরণের তোরণ না লাগানোর জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশের বিভিন্ন গাছ, রোড ডিভাইডার রং দিয়ে সাজানোর পাশাপাশি আমিনবাজার থেকে নবীনগর পর্যন্ত এলাকায় উচ্চ মাত্রার এলইডি লাইট স্থাপন করা হয়েছে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান জানান, মহান স্বাধিনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও বিদেশী কূটনিতিকসহ লাখো জনতা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করবেন। এজন্য সাভার গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক পুরো কমপ্লেক্সকে দেড় মাস ধরে ধুয়ে-মুছে, রংতুলির আচড়ে, রং-বেরংয়ের ফুল দিয়ে সাজিয়ে তুলেছেন। স্মৃতিসৌধে আগত দর্শনার্থীসহ সকলের নিরাপত্তার জন্য ২২ টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ পুরো এলাকা জুড়ে লাইটিং করা হয়েছে। এছাড়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এখানকার পুলিশ ও আনসার ক্যাম্পকে সর্বোচ্চ সকর্কতামূলক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশের এলাকা জুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। সৌধ এলাকায় নিরাপত্তা চৌকি, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার বসানোর পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য ফোর্স আরও বাড়ানো হয়েছে। সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারী বাড়নোসহ নিরাপত্তার স্বার্থে সাভারের আমিন বাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ন স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং কন্ট্রোল রুম থেকে সেগুলো নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।