নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এ দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।
১৮৮২ সালের এ দিনে ড. রবার্ট কোচ যক্ষ্মার জীবাণু আবিষ্কার ও এ রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের পথ উন্মোচন করেন। তাকে স্মরণ করেই এই দিনটিতে যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়ে থাকে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘এখনই সময় অঙ্গীকার করার, যক্ষ্মা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার’।
দেশে বর্তমানে ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে শিশু যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৩৫২ জন।
তবে দ্রুত নগরায়ন, কর্মজীবী মানুষের স্থানান্তর, জিন এক্সপার্ট মেশিনের অপ্রতুলতা, জনসাধারণের মাঝে অসচেতনতা ও কুসংস্কারসহ বিভিন্ন কারণে এখনো ২৬ শতাংশ যক্ষ্মারোগী শনাক্তের বাইরে।
যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে বলা হয়, যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
২০৩৫ সালের মধ্যে সরকার যক্ষ্মা রোগীর মৃত্যুর হার ৯৫ শতাংশ ও প্রকোপের হার ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায়। এ লক্ষ্যে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সঙ্গে ব্র্যাকসহ ২৫টি বেসরকারি সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ চেস্ট অ্যান্ড হার্ট অ্যাসোসিয়েশন মহাখালীর বিসিপিএস মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী ইনোগ্রাল সেশন এবং সায়েন্টিফিক সেমিনারের আয়োজন করেছে।