আলোর জগত ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই তিন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে শিগগিরই একটি কর্মশালার মাধ্যমে তা চূড়ান্ত করা হবে বলে গতকাল বুধবার জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।
জাতীয় শিক্ষানীতিতেও প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করার কথা বলা হলেও এত দিন তা বাস্তবায়ন করেনি মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা পদ্ধতি শিশুদের মধ্যে অতিরিক্ত লেখাপড়ার চাপ ও ভীতি তৈরি করছে বলে শিক্ষাবিদরা বলে আসছেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের নজর দিতে গত ১৩ মার্চ এক অনুষ্ঠানে অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী। তবে শিক্ষাবিদরা পঞ্চম শ্রেণির পিইসি পরীক্ষাও তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিলেও এতে সাড়া দিচ্ছে না সরকার।
সচিব আরও বলেন, এ বছর থেকেই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। না হলে আগামী বছর থেকে বাস্তবায়ন করা হবেই। এ ছাড়া প্রাক-প্রাথমিকের সময়কাল এক বছর বাড়িয়ে দুই বছর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশের ৬৫ হাজার ৫৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয় না, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। সরকারি প্রাথমিকে ২০১৪ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালু করা হয়। প্রাক-প্রাথমিকের প্রথম ব্যাচে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের প্রাথমিক সমাপনীতে অংশ নিয়েছে।
আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, কিন্ডারগার্টেন থেকে শিশুদের সরকারি বিদ্যালয়মুখী করতেই প্রাক-প্রাথমিকের সময়কাল দুই বছর করার প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে শিগগিরই নির্দেশনা জারি করা হবে।