আলোর জগত ডেস্কঃ দেশে অতি দরিদ্রের হার ১১ ভাগে নামিয়ে আনা হয়েছে উল্লেখ করে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে হতদরিদ্র কেউ থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি ও বাস্তবায়ন কমিটির যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গ্রামে দারিদ্রে হাহাকার, থাকার জায়গা নেই, খাওয়া কিছু নেই এই কষ্টগুলো বাবাকে ব্যথিত করেছে। সেজন্যই তিনি জীবনের সবকিছু ত্যাগ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কষ্ট স্বীকার করে গেছেন। তার কষ্টের কারণেই আমরা স্বাধীন রাষ্ট্রের জাতি হিসেবে পেয়েছি মর্যাদা। দারিদ্রের হার কমিয়ে এনেছি এক সময় বাংলাদেশে হত দরিদ্র বলে কিছু থাকবে না।
ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুযায়ী (পিপিপি), যাদের দৈনিক আয় ১ ডলার ৯০ সেন্টের কম, তাদের হতদরিদ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১ কোটি ৬২ লাখ মানুষের দৈনিক আয় ১ ডলার ৯০ সেন্টের কম। আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যরেখা অনুযায়ী, এরা হতদরিদ্র। উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে বাংলাদেশ যে স্বীকৃতি পেয়েছে সেটা ধরে রাখতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্চ মাসটা আমাদের জন্য খুবই অর্থবহ মাস। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন। আবার ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। কাজেই ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত বছরটাই আমরা মুজিব বর্ষ হিসেবে উদযাপন করবো।
জাতির পিতার জন্মশতাবার্ষিকী যথাযথভাবে উদযাপন করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জীবনের সবকিছু ত্যাগ করে এ দেশের মানুষের জন্যই কষ্ট স্বীকার করে গেছেন জাতির পিতা। আর সেই কষ্টের ফসল হিসেবই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, স্বাধীন জাতির মর্যাদা। কাজেই এটা আজকে আমাদের একটা জাতীয় কর্তব্য। আমি মনে করি, তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী আমরা ভালভাবে উদযাপন করবো।
অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বক্তব্য রাখেন। উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।