আলোর জগত ডেস্কঃ রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে নির্বাচন কর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ হামলায় ৬ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি সড়কের নয়মাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আনসার বাহিনীর ভিডিপি সদস্য আল আমিন (১৭), বিলকিস বেগম (৪০), মিহির কান্তি দত্ত (৪০), জাহানারা বেগম (৪০), পথচারী মন্টু চাকমা (২৭) ও শিক্ষক মো. আমির হোসেন (৪০) নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম জানা সম্ভব হয়নি।
বাঘাইছড়ি থানা পুলিশের ওসি এমএ মনজুর জানিয়েছেন, সাজেক ইউনিয়নের তিনটি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন শেষে নির্বাচনী কর্মকর্তারা আনসার ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বিজিবি প্রহরায় চাঁদের গাড়ি (জিপ) করে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরে ফিরছিলেন। এসময় তাদের গাড়িতে থাকা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ওপর ব্রাশফায়ার করা হলে চালক গাড়ি না থামিয়ে দ্রুতগতিতে গাড়িটি চালিয়ে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে গাড়িতে থাকা কর্মকর্তাদের নামানোর পর একে একে গুলিবিদ্ধরা মৃত্যুবরণ করেন।
প্রসঙ্গত, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় কোনো রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি। ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রভাবশালী নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান বড়ঋষি চাকমা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) অন্যতম শীর্ষ নেতা সুদর্শন চাকমা। এই দুই নেতার ভোটযুদ্ধ নিয়ে উত্তাপ ছিল সেখানে। ভোটের প্রচারণার মধ্যেই গত ৭ মার্চ উপজেলার বঙ্গলতলিতে হামলায় নিহত হন ইউপিডিএফের নেতা উদয় জয় চাকমা চিক্কোধন। সর্বশেষ ভোটের দিন সকালেই নির্বাচনে অনিয়ম, ভোট ও কেন্দ্র দখল এবং চারটি কেন্দ্রে রাতেই ভোট দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ এনে সকাল ১০টায় ভোট বর্জন করেন জনসংহতি সমিতির প্রার্থী বড়ঋষি চাকমা। ভোট বর্জন করেন তিনজন ভাইস চেয়ারম্যানও।