ভারতের ছুড়ে দেওয়া ৩৫৯ রানের বড় টার্গেটের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি অজিদের। দলীয় তিন রানেই নেই এক উইকেট। ১২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার উসমান খাজা ও পিটার হ্যান্ডসকম। দুজনের ১৯২ রানের জুটি অস্ট্রেলিয়াকে আবারও ম্যাচে ফেরায়। যদিও ৯১ রানে ফিরে যান খাজা।
অপর প্রান্ত থেকে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন হ্যান্ডসকম। থামেন ১১৭ রানে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৩ রানে ফিরলেও লড়াই চালিয়ে যান টারনার। ভারতের হয়ে দুটি উইকেট নেন বুমরাহ। আর একটি করে নেন ভুবনেশ্বর কুমার, যুযবেন্দ্র চাহাল ও কুলদিপ জাদব।
সিরিজ জয়ের হাতছানি নিয়েই এদিন মাঠে নেমেছিল ভারত। টস ভাগ্যটাও ছিল বিরাট কোহলির পক্ষে। ব্যাটিংয়ে শুরুটাও ছিল দাপুটে। সিরিজে ব্যর্থ শিখর ধাওয়ান ছিলেন ভিন্ন মেজাজে। রোহিত শর্মাও ছিলেন ছন্দে। ৩১ ওভারে দু’জন গড়েন ১৯৩ রানের জুটি। রোহিত শর্মা ৯২ বলে ৯৫ রানে ধরেন সাজঘরের পথ। ৫ রানের জন্য মিলল না শতরান।
রোহিত ফিরে গেলেও ব্যাট থামেনি শেখর ধাওয়ানের। নিজের ১৬তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি। ১৪৩ রানে থামেন তিনি। মূলত এই জুটির ওপর দাঁড়িয়েই ভারত পাহাড় সমান স্কোর গড়তে সক্ষম হয়।
কোহলি মাত্র ৭ রানে ফিরলেও ঋষব পান্ত ৩৩, বিজয় শংকর ২৬ রান করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। তবে শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেনি। ভুবনেশ্বর কুমার, কুলদীপ যাদব, জুজবেন্দ্র চাহালরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৫৮ রানে থামে স্বাগতিকরা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্যাট কামিন্স ক্যারিয়ারে নেন ৫ উইকটে। এছাড়া জিয়ে রিচার্ডসন ৩ উইকেট ও একটি উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা।