নিজস্ব প্রতিবেদক :   ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচন এবং উত্তর ও দক্ষিণ সিটির সম্প্রসারিত অংশের ওয়ার্ডগুলোর নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম হলেও সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় ভোটার দিবসের র‍্যালিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

অধিকাংশ দলের বয়কটের মধ্যে গতকাল ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচন ও ঢাকার দুই সিটির সম্প্রসারিত অংশের ওয়ার্ডগুলোর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নিরুত্তাপ প্রচারের পর ভোটগ্রহণের চিত্র ছিল তেমনই। সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে বিকাল চারটা পর্যন্ত চলা নির্বাচনে অনেক কেন্দ্র ঘুরে সেগুলোকে ভোটারশূন্য অবস্থায় দেখা যায়।

সব দলের অংশগ্রহণ না থাকায় ভোট নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ না থাকার কথা আগেই স্বীকার করেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তার সঙ্গে গতকালের বৈরি আবহাওয়ায় ভোটার উপস্থিতি অনেক কম ছিল। শেষ পর্যন্ত ৩১.০৫ শতাংশ ভোট পড়ে।

তিন কারণে গতকালের নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটার উপস্থিত কম হওয়ার কয়েকটি কারণ আমি বের করেছি। তা হলো ডিএনসিসিতে স্বল্প মেয়াদের জন্য উপনির্বাচন হওয়া, একটি বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়া এবং নির্বাচনের দিন প্রচুর বৃষ্টি হওয়া। এসব কারণ থাকার পরও নির্বাচনের পরিবেশ যা ছিল তা স্বাভাবিক। আমরা সন্তুষ্ট।

ঢাকা সিটি নির্বাচন নিয়ে কমিশন সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, হ্যাঁ, সন্তুষ্ট। তবে বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে ভোটারদের যে উপস্থিতি, তা এ দেশের ভোটের প্রকৃত চিত্র নয়। তার দাবি, এ দেশের মানুষ সারি বেঁধে ভোট দিতে যায়।

১ মার্চ ভোটার দিবস পালিত হওয়ায় ভোটাররা উদ্বুদ্ধ হবেন বলেও মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে সংসদ ভবনের সামনে থেকে শুরু হওয়া র‌্যালিতে অংশ নেন। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়। এতে কমিশনার মাহবুব তালুকদারসহ নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশের (ডিএনসিসি) মেয়র পদের উপনির্বাচন এবং উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ওয়ার্ড কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ডিএনসিসি মেয়র নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। তিনি ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৩০২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।