০১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের এক দশক আজ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:১৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • ২১২ Time View

আলোর জগত ডেস্ক :   আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস। বহুল আলোচিত বিডিআর বিদ্রোহ ও পিলখানা হত্যাযজ্ঞের ১০ বছর পূর্ণ হয়ে ১১ বছরে পা দিয়েছে। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস সদর দপ্তর রক্তে রঞ্জিত করেছিল বাহিনীর কিছু বিপত্গামী সদস্য। তাঁদের হাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন দেশের মেধাবী সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। ওই ঘটনায় করা মামলার বিচারকাজ চলছে দুই ভাগে। হত্যা মামলার বিচার শেষ হয়েছে নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টে। তবে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়নি এখনো। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণাঙ্গ রায় লেখার কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। আর বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় বিচার শেষ হয়নি নিম্ন আদালতে। ওই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

দীর্ঘদিন শুনানি শেষে ২০১৭ সালের নভেম্বরে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ১৫২ আসামির মধ্যে ১৩৯ জনকে ফাঁসি এবং আটজনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল এবং খালাস দেওয়া হয় ১২ আসামিকে। জজ আদালতে খালাস পাওয়াদের বিরুদ্ধে আপিল করলে ৬৯ জনের বিরুদ্ধে ৩১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ, চারজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং ৩৪ জনের খালাসের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

রায় কখন প্রকাশ হতে পারে সেই সম্পর্কে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম জাহিদ সরোয়ার কাজল। হাইকোর্টের রায়ে খালাস পেলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা এ বিষয়েও জানান তারা।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ এবং ২৭৮ জনকে খালাস দেন।

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালিন বিডিআর সদর দফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

বিচার চলাকালে বিডিআরের ডিএডি রহিমসহ চার আসামির মৃত্যু হয়। বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীর দণ্ড হয়। সাজা ভোগকালীন সময়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সাকিবকে টপকে টেস্ট সেরা তাইজুল

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের এক দশক আজ

Update Time : ০৪:১৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :   আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস। বহুল আলোচিত বিডিআর বিদ্রোহ ও পিলখানা হত্যাযজ্ঞের ১০ বছর পূর্ণ হয়ে ১১ বছরে পা দিয়েছে। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস সদর দপ্তর রক্তে রঞ্জিত করেছিল বাহিনীর কিছু বিপত্গামী সদস্য। তাঁদের হাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন দেশের মেধাবী সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। ওই ঘটনায় করা মামলার বিচারকাজ চলছে দুই ভাগে। হত্যা মামলার বিচার শেষ হয়েছে নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টে। তবে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়নি এখনো। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণাঙ্গ রায় লেখার কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। আর বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় বিচার শেষ হয়নি নিম্ন আদালতে। ওই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

দীর্ঘদিন শুনানি শেষে ২০১৭ সালের নভেম্বরে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ১৫২ আসামির মধ্যে ১৩৯ জনকে ফাঁসি এবং আটজনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল এবং খালাস দেওয়া হয় ১২ আসামিকে। জজ আদালতে খালাস পাওয়াদের বিরুদ্ধে আপিল করলে ৬৯ জনের বিরুদ্ধে ৩১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ, চারজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং ৩৪ জনের খালাসের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

রায় কখন প্রকাশ হতে পারে সেই সম্পর্কে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম জাহিদ সরোয়ার কাজল। হাইকোর্টের রায়ে খালাস পেলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা এ বিষয়েও জানান তারা।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ এবং ২৭৮ জনকে খালাস দেন।

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালিন বিডিআর সদর দফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

বিচার চলাকালে বিডিআরের ডিএডি রহিমসহ চার আসামির মৃত্যু হয়। বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীর দণ্ড হয়। সাজা ভোগকালীন সময়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু।