ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪

উন্নয়নের নতুন ধাপে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

আলোর জগত ডেস্ক :  চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণকাজ শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নয়নের নতুন ধাপে প্রবেশ করলো বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’নির্মাণের খননকাজ উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপমহাদেশের প্রথম যোগাযোগ বিপ্লব এই টানেল। এ অঞ্চলে বিশেষ অর্থনৈতিক উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখবে টানেলটি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোনো পার্থক্য রাখতে চাই না। শুধু শহরে উন্নয়ন হবে, তা আর হবে না। গ্রামের প্রতিটি মানুষ যেন নাগরিক সুবিধা পায়, সে বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এক সময় অশান্ত ছিল। আমরা উদ্যোগ নিয়ে শান্তি চুক্তি করে পরিস্থিতি শান্ত করেছি।  এখন এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। অনেক প্রকল্পের কাজ এরইমধ্যে শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২২ সালে প্রস্তাবিত টানেল নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকেই টানেল দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন। চার লেনের দুটি টিউব সম্বলিত ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার এপ্রোচ রোড এবং ৭২৭ মিটার ওভার ব্রিজ সম্পন্ন টানেলটি চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে আনোয়ারা উপজেলাকে সংযুক্ত করবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নয় হাজার আটশত আশি কোটি চল্লিশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সহায়তা তিন হাজার নয়শত সাতষট্টি কোটি একুশ লক্ষ টাকা এবং চীন সরকারের অর্থ সহায়তা পাঁচ হাজার নয়শত তের কোটি ঊনিশ লক্ষ টাকা।

মহানগরীর এবং মডেল শহর দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কে সংযুক্তির উদ্দেশ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। টানেলটি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাকে শহরাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করবে। প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৩২ ভাগ এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, গৃহায়ন ও গণপুর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দীন প্রমুখ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ মির্জাগঞ্জের আরিফুল স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান

উন্নয়নের নতুন ধাপে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৭:২৩:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :  চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণকাজ শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নয়নের নতুন ধাপে প্রবেশ করলো বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’নির্মাণের খননকাজ উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপমহাদেশের প্রথম যোগাযোগ বিপ্লব এই টানেল। এ অঞ্চলে বিশেষ অর্থনৈতিক উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখবে টানেলটি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোনো পার্থক্য রাখতে চাই না। শুধু শহরে উন্নয়ন হবে, তা আর হবে না। গ্রামের প্রতিটি মানুষ যেন নাগরিক সুবিধা পায়, সে বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এক সময় অশান্ত ছিল। আমরা উদ্যোগ নিয়ে শান্তি চুক্তি করে পরিস্থিতি শান্ত করেছি।  এখন এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। অনেক প্রকল্পের কাজ এরইমধ্যে শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২২ সালে প্রস্তাবিত টানেল নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকেই টানেল দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন। চার লেনের দুটি টিউব সম্বলিত ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার এপ্রোচ রোড এবং ৭২৭ মিটার ওভার ব্রিজ সম্পন্ন টানেলটি চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে আনোয়ারা উপজেলাকে সংযুক্ত করবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নয় হাজার আটশত আশি কোটি চল্লিশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সহায়তা তিন হাজার নয়শত সাতষট্টি কোটি একুশ লক্ষ টাকা এবং চীন সরকারের অর্থ সহায়তা পাঁচ হাজার নয়শত তের কোটি ঊনিশ লক্ষ টাকা।

মহানগরীর এবং মডেল শহর দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কে সংযুক্তির উদ্দেশ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। টানেলটি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাকে শহরাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করবে। প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৩২ ভাগ এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, গৃহায়ন ও গণপুর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দীন প্রমুখ।